আমাদের সময়গুলো বিষাদের সুতায় গাঁথা,
সময়ের বুকে মনোমালিন্যের পাটি পাতা,
তাতে তুমি একাই থাকো শুয়ে, ঠোঁটে নেই মধু বুলি,
আমায় নিয়ে আকাশ পাতাল ভাবনা বুঝি, বুকে খেলে হোলি!
কী বিষণ্ণতায় কেটে যায় তোমার প্রহর, হাসীহীন
ইচ্ছে করে, কী আছে খুলে দেখি তোমার বুকের গহীন,
আমার স্মৃতিশক্তি অল্প, তাই ভুলে যাই বিবাদ
তুমি জ্ঞানী,প্রখর স্মৃতি তোমার, মনে তাই করে যাও ঘৃণার আবাদ!
কী করে সময় হেঁটে যায় বুকের উপর মর্মর সুর তুলে,
শুনতে কী পাওনা? নিজের মাঝেই বাঁচো, দিন দুনিয়া ভুলে,
আমার ভিতর হাহাকার সময় চলে যাওয়ার আক্ষেপ পুষি,
দোষী না হয়েও হই সদা সর্ব দোষে দোষী!
কর্কশ সুর আমার, এমন তো আল্লাহর দান,
মেনে নিতে পারো নি তুমি নাদান,
তোমার সুরেও কী আর আছে মধু মিশানো? করো অনুভব,
মনে যদি না থাকে সুখ, থাকলেও কী! বিত্ত বৈভব!
এত কাছে আমরা, অথচ যোজন যোজন দূরে,
আমরা ঠোঁট খুললেই বাজে কথা বেসুর সুরে,
ঠোঁট উল্টিয়ে দূরে সরে গিয়ে একা থাকি,
আর এদিকে সময় আমাদের দিয়ে যায় ফাঁকি।
কী এমন বাতচিত, যে একটুতে রেগে গিয়ে সম্পর্ক ভুলি,
সাজাতে পারিনি আর জীবন পাতা, হাতে আমাদের বিষণ্ণ রঙ তুলি,
আর কখনো পাবো না ফিরে ফুলেল সময়, নৈরাশ্যের জলে ভাসি,
বেঁচে থাকতে সময় দেখবে না আর আমাদের ঠোঁটে তুষ্টির হাসি।
কখনো পাবো না ফিরে ফুলেল সময়, নৈরাশ্যের জলে ভাসি,
বেঁচে থাকতে সময় দেখবে না আর আমাদের ঠোঁটে তুষ্টির হাসি।