এই মেঘ এই রোদ্দুর এর সকল পোস্ট

জীবন সাজিয়ে দাও ডায়ান্থাস ফুলের মতন

chh

ঝরা শিউলী হতে চাই না, চাই না বকুল হতে
হতে চাই সে ফুল, যে ফুলের আয়ূ অথৈ
হাঁটতে চাই না ঝরা ফুলের পথে,
ফুলে পা মাড়িয়ে চলি, তাতে স্বস্তি কই!

তুমি মন জমিনে রুয়ে দাও ম্যাজেন্ডা ডায়াস্থাস
রঙবাহারী ফুল ফুটুক, পাপড়ি মেলুক ডানা
চাই না হতাশা দাও আর, দাও দীর্ঘশ্বাস
আমার মন ভুবনে ঝগড়া ফ্যাসাদ এখন থেকে মানা।

মানা শুনলে ভালো, না শুনলে আমি একলা পাখি
বসে থাকবো ঠায় মনে মুগ্ধতা নিয়ে
যাবো না বেরসিক তোমাকে আর ডাকি;
তুমি তো কেবল পারো শান্তি নিতে ছিনিয়ে।

এবেলা মন বড় আনমনা,
ভাবনাতে নেই কেউ
তুমি এসো রংবাহারী মন নিয়ে, করো না ছলনা
মনে ওঠাও বন্ধু ভালোবাসার ঢেউ।

রঙের ধরায় পানসে সময় কাটাতে চাই না
মন যে ফুল, পাপড়ির ডানা মেলতে চায়
রাখবে এবেলা ছোট বায় না
সুখ রোদ্দুর দেবে তুলে মনের মাঁচায়।

দীর্ঘশ্বাসের প্রহরগুলো দিয়ে দেব ছুটি
যদি রুয়ে দাও গোলাপী ডায়ান্থাসের চারা
ফুটুক ডালে ডালে প্রেম ফুল, মৌ পোকারা খাক সুখে লুটোপুটি,
কই তুমি? সম্মুখে এসে হও খাড়া।

.
(স্যামসাং এ সেভেন, ঢাকা)

আকাশ আমার ভরলো আলোয়

ch

ভোরের আকাশে ঝুলে আছে শরতের আলো;
শ্রাবণের রঙ নেই নীলে, হলো না আর মেঘ কালো;
শ্রাবণ যায় বৃথা, বৃষ্টির ধারা আর বইলো না
তীব্র উষ্ণতায় মনে শান্তি আর রইলো না।

এই শ্রাবণ যেন তুমি, আগুন খরা
যেন আগুন দিয়ে গড়া
কেমন অহম বলো তার, ঠিক যেন তুমি,
একটু খানি বৃষ্টি হয়ে ঝরে না শ্রাবণ,
ভরলো না সুখে মনের জমি।

কেমন যেন হয়ে গেল শ্রাবণ, তোমার মত
বর্ষার মৌসুমে হিম জল না ঢেলে বুকে বাড়ালো তাপের ক্ষত;
উষ্ণতার আচে পুড়ে যাই
কী করে বুকের তারে বলো সুখ বাজাই।

বৈরী হাওয়ায় ভেসে যাই, ডুবে যাই
কী করে সুখের ফুল দিয়ে মনঘর সাজাই?
শ্রাবণ যেন তুমি হয়ে গেল
আগুন আগুন, করে দিল জীবন এলোমেলো।

তুমি শরত হও না, হলে না হেমন্ত
কেমন বিতৃষ্ণায় পুড়ছে এ মনতো;
শ্রাবণ তাকালো না ফিরে, শ্রাবণ যেন তুমি
করেই গেল কী দিন কী রাত, একই গোয়ার্তমি।

তুমি শরতের মেঘের মত হলে না নরম,
আর শ্রাবণ ঝরায় না বৃষ্টি, ঢেলে দিল গরম
পুড়ে পুড়ে ছাই, নেয়ে ঘেমে বিতৃষ্ণা ডুবে ডুবে
সুখের স্বপ্ন গেল কর্পূরের মত উবে।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, চুনারুঘাট)

জোনাক জ্বলা একটি রাতে

ch

জোনাক জ্বলা একটি রাতে
তুই কী আমার পাশে হাঁটবি?
সারি সারি গাছের তলে
হেঁটে তুই কী কথা বাটবি?

আয় না একদিন গাঁয়ের পথে
হেঁটে হেঁটে শান্তি কুড়াই
চাঁদের আলোয় জোছনা মেখে
দেহ আর মন একটু জুড়াই।

তুই কি আমার সঙ্গী হবি
আঁধার রাতে হাঁটবি পথে
উঠবি নাকি এক রাত্রিরে
হাতটি ধরে আলোর রথে।

মিষ্টি হাওয়া বইবে যেদিন
যদি জানাই নিমন্তন্ন
সকল কর্ম ফেলে তুই কি
চলে আসবি আমার জন্যয?

ধরবি হাতে দিবি স্পর্শ
ভালোবাসবি আমায় কি তুই?
আসবি একদিন হাঁটবি পাশে
অপেক্ষাতে থাঁকি নিতুই।

তুই আমার পাখি হবি
মনের মাখে বসবি এসে
জোনাক পোকা হবি কি তুই
যাবি বন্ধু সুখে ভেসে?

জোনাক জ্বলা রাত প্রহরে
হাঁটতে ইচ্ছে তোকে নিয়ে
আয় না একদিন দুজন মিলে
সুখ মুগ্ধতা নিই ছিনিয়ে।

রক্ত জবার মত মন আমার

ch

কেবল যে তুমিই কষ্ট দাও তা নয়
কর্মস্থলও আমায় হৃদয়ে তুলে দেয় ব্যথার ভার
তুমি অথবা কর্মস্থল কারো সাথেই নেই আর প্রণয়
আমি একলা নেই যেন কোথাও আমার পরিবার।

বুকে যে রক্ত ক্ষরণ হয় তা কেব তুমিই দাও না
কর্মস্থলও আমায় ভাসায় ব্যথায়
সবারই স্বার্থ যেন আমার কাছেই পাওনা;
কত খোটা কত লাঞ্ছনা পাই কথায় কথায়।

সবাই রক্ত জবার রঙ চিনে, রক্ত ক্ষরণ কী চিনে না
আমি বড্ড আবেগী ছিলাম, মন ছিল সবুজ
কত করে সমস্যাগুলো বলি, বলতে বলতে মুখে তুলি ফেনা
কেউ বুঝে না আমায়, তোমরা বড্ড অবুঝ।

আমার মন বুঝলো না কেউ, না অফিস, না তুমি
বুকের ব্যথা দেখাবো আর কারে
আমি রক্ত জবা, ঝরেই যাবো, বুকের নদীতে ব্যথার ঊর্মি
আমি যেন আমারও নই, আমি ডুবি ব্যথার বালিচরে।

কেউ রাখেনি কথা, সবাই চাপিয়ে দেয় কষ্ট
কাউকে কিছু বলিনি, কেদেছি শুধু
আমার মূল্যবান সময়গুলো তোমরাই করেছো নষ্ট
বুকের উঠোন আজ মরু ধুঁধু।

রক্ত জবা গাছ বুক উঠোনে করেছি বপন
দেখে যেয়ো রক্ত ক্ষরণের রঙ কেমন
একদিন সব পাবো ফিরে দেখে যাই দিবা স্বপন
এসব ভেবে ভেবে কষ্ট পাই, আমি এবেলা আনমন।

.
(ক্যানন, চুনারুঘাট)

আকাশে যেন চৈত্রের খরা

choo

বর্ষা চলে যায়, শ্রাবণের ধারা বয় না ধরায়
আকাশটা দখল নিয়েছে চৈত্রের খরায়
দিন যেন তোমার মতন, কড়া রোদ্দুর;
বিতৃষ্ণা জমছে মনে এক সমুদ্দুর।

আকাশে শুভ্র মেঘেদের আস্ফালন
কী করে অঝোর ধারার বৃষ্টির স্বপ্ন করি লালন
চাই বয়ে যাক বৃষ্টির ধারা মর্তের উপর সকাল দুপুর;
বৃষ্টি পড়ুক ঝরোঝর টাপুর টুপুর।

বৃষ্টি আসে না আর, দিন হয়ে ওঠে তোমার মত
উষ্ণতায় ছেয়ে যায় বুক, বাড়ে বুকে বিতৃষ্ণার ক্ষত
দীর্ঘশ্বাসই দিল প্রকৃতিও, যেমনটি দাও তুমি
আকাশও যে করে যাচ্ছে গোয়ার্তমি।

আকাশের বুকে জমুক কালো মেঘ
ঝরুক ধরায় শ্রাবণের আবেগ
দু’ফোটা বৃষ্টির বিন্দু শান্তি নিয়ে আসুক আমার জন্যর
আকাশ কেন বল তো তোমার মতই হলো বন্য ।

থোকা থোকা শুভ্র মেঘফুল
মেঘফুল হয়ে যাক আমার যত ভুল
তোমার ভুলগুলো যেন চৈত্রের খরা
অনুতাপ নেই তাই, বৃষ্টি নিয়ে আসে না মেঘ হরকরা।

ও আকাশ বৃষ্টি ঝরা, বন্ধুর মত হোস না তুই
কালো মেঘ তোর বুকে নিয়ে আয়, মন বাড়িয়ে ছুই
আকাশটা কেন তোমার মতই হয়ে ওঠলো আজ;
শুনতে যে চাই বৃষ্টির রিনিঝিনি আওয়াজ।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, সিএমএইচ, ঢাকা, মিরপুর)

প্রার্থনা এই আমার

chho

প্রার্থনা এই তোমার নিকট
ওগো মহান প্রভু
পূণ্যিতে দাও ভরে তুমি
আমার মনের বিঁভু।

অশুদ্ধতা মনের যত
দূর করে দাও ত্বরা
নাড়ে যেন শান্তি এসে
মন দুয়ারে কড়া।

পাপে ভরা জীবন আমার
আছি কষ্টে আমি
মাফ করে দিয়ো পাপ আমার
ওগো অন্তর্যামী।

ভ্রান্তির পথে হাঁটছি সদা
পাই না পথের দিশা
চোখের সম্মুখ খাড়া আছে
পাপের অমানিশা।

সোজা পথে চালাও প্রভু
যে পথে নেই কাঁটা
পাপের কাঁটায় রাখলে যে পা
সুখে পড়ে ভাটা।

এই দুনিয়ার মোহ আমায়
অন্ধ করে রাখে
রঙ তামাশা মন্দ কর্ম
কাছে কেবল ডাকে।

বাঁচাও প্রভু মোহ হতে
মন শুদ্ধ দাও করে
মনের ভিতে পূণ্যির খামার
দাও আল্লাহ দাও গড়ে।

কত অচেনা পথ হয়ে যায় চেনা

chh

চেনাপথগুলো ছেড়ে আসি, সে পথ হয় অচেনা
হয় না সেই পথে হেটে আর মুগ্ধতা কেনা;
অচেনা পথ হয় চেনা হাটলে জীবনের বাকে বাকে
ভিড় জমায় মনে নতুন মুগ্ধতারা ঝাকে ঝাকে।

চেনা পথ অচেনা হয়, তুমিও কি আমার অচেনা পথ
হয়নি চেনা তোমাকে আর,
হলো না আর নেয়া ভালো থাকার শপথ
তোমার আমার সম্পর্কটা হয়ে ওঠলো না মায়ার।

তুমি আমার অচেনা পথ, আমিও হইনি চেনা তোমার
কেউ কাউকে বলতে পারিনি, ভালোবাসি বেশুমার;
কেমন যেন সময় আমাদের সম্পর্ক করতে থাকলো বিচ্ছিন্ন
আমরা তবুও হাঁটি অচেনা পথ ধরে, পাশে আছি, মন ভিন্ন।

কোথায় হারালাম, কেন এমন হলো, হলো না কেউ কাউকে চেনা
তুমিও হতাশায় নিমজ্জিত, সত্যল? বলবেনা?
হাসিহীন তুমি থেকে যাও একাকি
ভেবে দেখো সময় কতটুকু আর বাকি।

দুজনার পথ দুটো, অথচ একই পথে হাটি তবু
আমরা বিষণ্ণতা কুড়িয়ে অসুস্থ করে রাখি মনের বিভু।
সমঝোতায় হলো না আর সংসার পাতা
আমাদের জীবন নামায় বিষাদের কাব্যরগাথা।

দীর্ঘশ্বাসের লহর ছড়িয়ে দিই অচেনা পথে হেটে হেটে
কেউ আর দেখি না কারো মন ঘেটে
চুপ কথার রাজ্যে হারিয়ে আমরা সুখ খুজি
কখনো মন ব্যেথায় ডুবে গেলে আলগোছে একাকিত্বের বুকে মুখ গুজি।

.
এই মেঘ এই রোদ্দুর দীর্ঘশ্বাস

মন কথনিকা-৪৯৭৩

মন কথনিকা-৪৯৭৩

উঠলে ভোরে ঘুম সরে না, যায় না জেগে থাকা
ভোরের আলোয় হলো না আর মনেতে সুখ আঁকা,
রাত বারোটা ঘুমালে হায়, কেমনে উঠি ভোরে
সকাল হলে দেখি বিছনায় আছি ঘুমের ঘোরে।

মন কথনিকা-৪৯৭৪

কেমন যেন আবহাওয়া, কুয়াশাতে ঢাকা
জৈষ্ঠ্য মাসে ঘাসের বুকে শিশির বিন্দু আঁকা
বদলে যাচ্ছে ঋতুগুলো বদলে যাচ্ছে মানুষ
রঙ্গের মানুষ বৃক্ষ কাটে, উড়ায় স্বার্থের ফানুস।

মন যেন এক প্রেম ফুল

ch

তুমি পাতা আমি ফুল, এসো খেলি লুকোচুরি
তুমি সবুজ আমি বেগুনি…..আমরা ভালোবাসার শাখে প্রেম কুঁড়ি;
তুমি হাসো আমি কাঁদি
তুমি কঠিন আমি হই আহ্লাদি।

এইতো জীবন ফুল ফুল প্রেম, আবার কাঁটা
আমাদের জীবন ঝগড়াঝাটি, বিবাদ ফ্যাসাদ
আবার খুব সাদামাঠা;
তুমি হাতুড়ি আমি মোম, তুমি জ্বলো আমি গলি
তবুও মাঝে মাঝে বুক বৃক্ষে ফুটে প্রেমের কলি।

আমি বিষণ্ণ তোমার বিষাদের ভরা মুখ
কত শত অভিমান দাঁড়িয়ে থাকে সম্মুখ
তুমি কালো মেঘ, আমি রঙধনু
কখনো বা বেজে উঠে বুকে ভালোবাসার বেণু।

তুমি পাতাল আমি আকাশ
কখনো মুহুর্মুহু দীর্ঘশ্বাস
আমি মনে রাখি না, তুমি ভুলো না
কখনো প্রেম ফুল দেব তুমি মন দোর খুলো না।

আমি ফিরে আসি, তুমি কঠোর, বুকে জমাও ঘৃণা
তুমি জানো এমন আচরণে শান্তি মিলবে না
তবুও বুকে পুষো বিদ্বেষ
আমিও অমান্য করি আদেশ নির্দেশ।

তুমি ক্যাকটাস, আমি কচুরীপানা ফুল
ফুল হয় না কখনো আমাদের যা ছিল ভুল
তুমি হাসো বাঁকা ঠোঁটে আমি কষ্ট পাই
আছি তবু কাছাকাছি, অসুখে বিসুখে বিপদে
আমাদের ভেতর আর হিংসা নাই।
.
(ক্যানন ৬০০ডি, ঢাকা)

গোধূলীর আ‌লোয় চি‌নে নি‌য়ো পথ

ch

বি‌কেল দাও বি‌কি‌য়ে আমার কা‌ছে, মন ক‌রো নিলাম
‌তোমা‌কেও না হয় এক‌টি বি‌কেল দিলাম
‌গোধূলীর আ‌লোয় পথ ‌চি‌নে নি‌য়ে
‌কিছু মুগ্ধতা চ‌লো আ‌নি ছি‌নি‌‌য়ে।

চ‌লো ঘু‌রে আ‌সি বৃ‌ষ্টি ভেজা এই শহ‌রের অ‌লিগ‌লি
জা‌নো ম‌নের শা‌খে উ‌ঁকি দি‌য়ে‌ছে ই‌চ্ছের ক‌লি
‌ভেজা দি‌নের বু‌কে হে‌ঁটে বেড়াই, যা‌বে কোথাও?
ভাল্লা‌গে না ঘ‌রে ব‌সে অযথাই হাউকাউ।

‌চ‌লো মে‌ঠোপ‌থ ধ‌রে হা‌ঁটি
যেখা‌নে বৃ‌ষ্টি সে‌জে‌ছে প‌রিপা‌টি
ঘা‌সের উপর বৃ‌ষ্টির বিন্দু, আকা‌শে স্বচ্ছ মেঘ
তু‌মি একবার দাও না ছু‌ঁয়ে আমার আ‌বেগ।

বৃ‌ষ্টি ঝ‌রে গে‌লে আকাশটাও স্বচ্ছ আ‌লোয় ভরপুর
কাটা‌বে আমার সা‌থে এক‌টি দুপুর
যা‌বে বি‌কে‌লের বু‌কে হাট‌তে
পার‌বে আমায় নি‌য়ে যত গোপন কথা আমার সা‌থে বাট‌তে?

আকা‌শের বু‌কে রাখ‌বো বিষ নীল দু‌টো চোখ?
বিষ যত উ‌ড়ে যা‌বো, প্রকৃ‌তি হ‌তে টে‌নে নাও সুখ
আম‌ি না হয় বিষ কাঁটা তোমার গলায়
চুপ থে‌কো, হে‌ঁটো স‌ঙ্গে, কী যা‌বে আস‌বে কথা বলা না বলায়।

‌মে‌‌ঠোপ‌থের কিনা‌রে ঘা‌সের বাগান
‌যেখা‌নে আজ হ‌য়ে‌ছিল বৃ‌ষ্টির রিনিঝিনি গান
বৃ‌ষ্টির সুর থে‌মে গেল সহসা, ঘাস সাজ‌লো মু‌ক্তোর দানায়
চ‌লো না এসব মুগ্ধতা কুঁড়া‌তে, উ‌ড়ি বি‌কে‌লের বু‌কে কল্প ডানায়।

.
(স‌্যামসাং এস নাইন প্লাস, গ্রীণ ম‌ডেল টাউন, ঢাকা)

কিছু সময় কাটতো যদি নির্জনে

ch

খোলা আকাশের নিচে একান্ত আমার কিছু সময় হত যদি
চোখ দুটি বানিয়ে রাখতাম নদী,
কাঁদতাম আবার হাসতাম
আবার কল্পতরীতে সুখে ভাসতাম।

কিছু অভিযোগ তুলে ধরতাম প্রকৃতির কাছে
আহারে মনে কতই না অভিমান জমা আছে
দেখিয়ে দিতাম আকাশকে হয়ে উর্ধ্বমুখী,
উচ্ছাস ফিরে পেতে সবুজে দিতাম উঁকি।

একটি নির্জন প্রহর যদি আমার হত
মিহি হাওয়ার মলমে সাড়াতাম বুকের ক্ষত
না পাওয়ার যে হাহাকার মনের কোণে
হাহাকার ছুঁড়ে ফেলে কিছু নতুন স্বপ্ন বুকে যেতাম বোনে।

আমি আকাশের কাছে করতাম অনুনয়
মানুষের সাথে নয় আমার যেন মেঘেদের সাথে বাড়ে প্রনয়,
চোখের কুঠুরিতে মুগ্ধতা কিছু করতাম জমা,
মনকে বানিয়ে রাখতাম না আর নর্দমা।

আমার একান্ত কিছু প্রহর চাই
যেখানে হাউকাউ, স্বার্থের গান নাই
আমি খোলা আকাশের নিচে এক খন্ড জমি চাই
যে জমিতে দাঁড়ালে আকাশ দেখতে পারি, মনে সুখ পাই।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, স্থান অজানা)

কর্ময‌জ্ঞে হা‌রি‌য়ে‌ছি মন

ch

‌কোথা দি‌য়ে যে সময়গু‌লো পালায়, পাই না আর টের
সময় হ‌তে নি‌জের জন‌্য সময় আর কর‌তে পা‌রি না বের;
সময় ব‌্যস্ততার যাতাক‌লে ফে‌লে
আ‌মি ছে‌ড়ে উ‌ড়ে যায় দূ‌রে, ডানা মে‌লে।

পাই না ‌নি‌জের জন‌্য সময় আর অফুরন্ত
মন যে হ‌য়ে উঠ‌লো দুরন্ত;
সয় না আর সয় না ব‌্যস্ততার জ্বালা
কত আর দেখ‌বো ক‌র্মের যাত্রাপালা।

পালা‌তে চাই দূ‌রে, যেখা‌নে নেই প‌রি‌চিত জন
‌কে দে‌বে আমায় এক টুক‌রো নির্জন
ক‌বিতার ছন্দ হা‌রি‌য়ে কা‌ঁদি, ‌নিস্তব্ধ ম‌নের বাড়ী
বয়স ফুরা‌য়ে যায়, ক‌বে আর টান‌বো ক‌র্মের পি‌ছে দা‌ঁড়ি।

চাই চাই, অ‌তি চা‌হিদার ভি‌ড়ে আ‌মি আর নাই
আ‌মি যেন ধু‌লো বা‌লি ছাই
ফুঁ দিলেই আ‌মি ‌বিষণ্ণতার সমুদ্দু‌রে হাবুডুবু খাই
‌দিন‌শে‌ষে নি‌জে‌কে বড্ড ক্লান্ত পাই।

আমার বেলাগু‌লো চু‌রি হ‌য়ে যায়, কর্ম বড্ড না‌ছোরবান্দা
স্বা‌র্থের ফুল ফুটা‌তে মানুষজন ক‌রে নিত‌্যই ধান্ধা;
সে ধান্ধা‌তে মন রে‌খে আ‌মি নি‌জে‌কেই হারাই;
ই‌চ্ছে ক‌রে সব ছে‌ড়ে ছু‌ড়ে দূর ‌কোথাও যে‌তে পা বাড়াই।

বু‌কের ভেত‌রে ব‌্যথার নদী
ব‌য়ে চ‌লে‌ছে নিরব‌ধি;
মাথায় বোঝা হয় কর্ম, আ‌মি ভু‌লের পর ক‌রি ভুল
ভুলগু‌লো এ জীব‌নে হ‌বে না আর ফুল।

ভু‌লের সাগর পা‌ড়ি দি‌তে কতই না কষ্ট, কী পে‌রেশা‌নি
কত মন্দ কথা বাহার শু‌নি, শু‌নি কত শাস‌নের বাণী
কা‌জের বোঝা ঘা‌ড়ে চা‌পি‌য়ে তোমরা ত‌ড়িৎ গ‌তি‌তে চাও কাজ
শু‌নো না কান পে‌তে বু‌কের গহী‌নে দীর্ঘশ্বা‌সের আওয়াজ।

যখন দীর্ঘশ্বাস উ‌ঠে বু‌কে

ch

‌বিশাল আকা‌শে তাকাই যখন দীর্ঘশ্বাস আট‌কে থা‌কে বু‌কে
‌ছোট ছোট মে‌ঘেরা এ‌সে দাঁড়ায় চো‌খের সম্মু‌খে
‌নিঃশ্বাস ছে‌ড়ে ভা‌বি….. কী আর করার আ‌ছে আমার
আকাশ‌কে জানাই অ‌ভি‌যোগ, কেন রে আকাশ
আমার বু‌কে ক‌ষ্টের খামার…

আকাশ আমায় ভা‌লো রা‌খে, সুখ পাই অনায়া‌সে
ভুল‌তে ক‌‌রি চেষ্টা
ম‌নে জাগাই ভা‌লো থাকার তেষ্টা
কাটা‌তে চাই না ছোট জীবন কেবল আয়া‌সে।

আকা‌শে ‌চোখ রা‌খি তাক
‌কেন ‌যে মন আকা‌শে দু‌র্বিপাক
ভা‌লো থাক‌তে চাই তবুও বিষণ্ণতা এ‌সে ধ‌রে ঝে‌ঁকে
আ‌মি চাই না কা‌লো মেঘ নেই ম‌নে মে‌খে।

চাই মন আকা‌শে ‌রোদ্দুর জ্বলুক ঝলম‌লি‌য়ে
সময় কেন আমায় রা‌খে না কষ্ট ভু‌লি‌য়ে
কান্না চো‌খে রা‌খি, ঠো‌ঁটে রা‌খি রাগ
জ্ব‌লে না আর মন দেয়া‌‌লে সু‌খের চেরাগ।

মন আকা‌শে কেবল কা‌লো মেঘ’রাই উ‌ড়ে
আর ম‌নের উচ্ছলতা যায় দূ‌রে
চাই শুভ্র মে‌ঘের মত মন থাকুক পুত প‌বিত্র,
এখা‌নে কেউ নেই আমার, কেউ নয় যেন মিত্র।

বুকটা লা‌গে ফাঁকা, যেমন মেঘহীন আকাশ
ফাঁকা বু‌কে জমা হয় মুহুর্মূহু দীর্ঘশ্বাস
‌বিষণ্ণ মে‌ঘের মত মন আজ
‌সেখা‌নে নেই আজ সু‌খের আওয়াজ।

.
(স‌্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

বৃষ্টি ভেজা দিনে এক কাপ উষ্ণতা চাই

ch

ঝুম বৃষ্টির এই দিনে মন যেন ডানা মেলা পাখি
এমন সুখের দিনে সময় দিয়ে যাক ফাঁকি
এক কাপ চা হাতে আজ বৃষ্টি বিলাসী
টুপটাপ ঝরুক বৃষ্টি, আমি বৃষ্টি ভালোবাসি।

ঝুপঝাপ রিনিঝিনি আয় বৃষ্টি আয়
ঘিরে রাখ আজ আমায় ভীষণ মায়ায়,
ও বৃষ্টি চা খাবি, এসে বস চায়ের কাপে
নে করে নে স্নান চায়ের উত্তাপে।

আয় বৃষ্টি আয়, ঝমঝমিয়ে আয় না
আশা করি রাখবি আমার বায়না,
চা দেব আজ খেতে
দে বৃষ্টি আজ তোর বুক পেতে।

পাখি আমি ডানা মেলা পাখি, উড়ি মেলে ডানা
আজ আমার অফিস পাড়ায় যেতে আছে মানা,
চায়ের কাপে বৃষ্টির জল
বৃষ্টি থামিস না, করিস না আজ ছল।

ঝুমঝুমিয়ে নাম রে বৃষ্টি আকাশ ভেঙ্গে ঝর
দে কাঁপিয়ে বৃক্ষ লতা, টিনের চাল থত্থর,
উষ্ণ জলে ভেজাচ্ছি ঠোঁট
আয় বৃষ্টি আয় আরাম করবো কিছু লোট।

.
(স্যামসাং এস নাইন প্লাস, ঢাকা)

আজ আকা‌শে উ‌ড়ে শুভ্র মেঘ

ch

জন্ম‌দি‌নের বার্তা নি‌য়ে মে‌ঘেরা উ‌ড়ে আকা‌শের সীমানা ঘে‌ঁষে
আ‌মি আজ গি‌য়ে‌ছি মানু‌ষের ভা‌‌লোবাসায় ফে‌ঁসে,
ফিসফিস, চু‌পিচু‌পি শু‌নি ব‌সে চুপচাপ
আকা‌শে বা‌জে জন্ম‌দি‌নের দফ ধুপধাপ।

শুভ্র ‌মে‌ঘের মত মন, ম‌নের অ‌লিগ‌লি‌তে মেঘ উ‌ড়ে
কতই না সু‌খের ক‌লি উ‌ঠে আজ বক্ষ ফু‌ঁড়ে;
নেই মন আকা‌শে একটুও কা‌লো মেঘ
ক‌বিতায় রে‌খে দিলাম ছ‌ন্দে তাল ল‌য়ে ম‌নের আ‌বেগ।

মন আকা‌শে নেই নী‌লের ‌ছোঁয়া
আজ মন উ‌ঠো‌নে যেন কাশফু‌লের চারা রোয়া
‌সে চারায় ফুল ফু‌টে, হাওয়া এ‌লে পাপ‌ড়িগু‌লো উ‌ড়ে যায়
‌কে রে, কে এ‌সে ম‌নের তা‌রে সু‌খের বাজনা বাজায়?

ভু‌লে‌নি কেউ আমায়, ভু‌লি‌নি তো ক‌বিতার ছন্দ
ভা‌‌লোবাসায় আচ্ছন্ন আ‌মি, নেই কা‌রো সা‌থে আজ দ্বন্দ্ব;
আ‌মি যেন আকাশ, মন যেন মেঘ
মন উ‌ড়ে স্বাধীনতায় পে‌লেই সুখ হাওয়ার বেগ।

থাকুক স্মৃ‌তিগু‌লো ক‌বিতার ছ‌ন্দে, অক্ষ‌রে অক্ষ‌রে
থাকুক সুখগু‌লো সাজা‌নো মন ঘ‌রে থ‌রে থ‌রে;
থাকুক মন আকাশটা আজ শুভ্র মে‌ঘে ভরা;
আজ নেই মন উ‌ঠো‌নে ‌চৈ‌‌ত্রের খরা।

‌কে যেন ব‌লে যায় এ‌সে কা‌নে কা‌নে
শুভ জন্ম‌দিন……..সু কামনা গা‌নে গা‌নে;
মন আকা‌শে তাই উ‌ড়ে মে‌ঘের কণা
কী যে সুখ ম‌নে আ‌মি ছাড়া কাউ‌কে বল‌বো না।
.
(স‌্যামসাং এস নাইন প্লাস, ভিস্তারায় আকাশ পথে)