… তারপর একটি ফুৎকার

da

নরক থেকে উঠে আসছে
দাহ্য উত্তাপ
তেজস্বী রোদ্দুরে
নামছে গনগনে রশ্মি
নিটোল বৃক্ষ, নীরব
গোমড়ামুখো পত্র পল্লবে
জমেছে
পৃথিবীর সমস্ত কায়া কালিমা;
বায়ুশূন্য
গনগনে আকাশে জ্বলজ্বলে উষ্মা
চোখ রাঙাচ্ছে মানুষের চারণভূমে
মানুষের পাপে
মানুষের ঘৃণায়
অবর্ণনীয় অভিশাপে!..
যেনো
মৃয়মান হয়ে আসছে পৃথিবী
থেমে যাচ্ছে পাখিদের কোলাহল
উধাও বন,বৃক্ষরাজি,তৃণের জঙল
চুকে যাচ্ছে –
জীববৈচিত্র্যের আনাগোনা
মিছে লেনদেন
পতঙ্গভুক
মানুষের মোহ মায়া
চিরন্তন ক্ষুধা তৃষ্ণা… আজন্ম আকাঙ্খা!
রুধীরাক্তের উত্থান-পতনে বিবর্ণ সমুদ্র
বিদীর্ণ চাতালে
ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ আত্মহুতি দিতে দিতে
জানিয়ে যাচ্ছে অতলান্ত কাহিনী!..
নির্ভার দুগ্ধ শিশুরা
মাতৃস্তন থেকে মুখ তুলে হাসছে
নিঃশেষের বাকে…
রতিমগ্ন সুখ ত্যাগ করে
রাতের অন্ধকার হাতড়াচ্ছে নবদম্পতি!
নির্ঝর ঝর্ণার স্মৃতি বুকে
দাড়িয়ে থাকা পর্বতশৃঙ্গ, লুপ্ত চোখে
অনন্তের হাহাকার…
বাকী শুধু
ইস্রাফিলের শিঙার গর্জে উঠা!
শুধু একটি ফুৎকার
কেমন হবে সেই ধ্বনি? সেই দুর্মার
ধ্বংসের বীভৎসতা!…

মৃত আত্মারা
দৌড়াচ্ছে উল্কাপিণ্ডের মতো
ঝড়ের বেগে দৌড়াচ্ছে জীবন্ত প্রজাতিরা…

কেউ-ই আর মানুষ নয়
না পশু
না পাখি, জীব জন্তু
অবশেষে সকল আত্মা মিশবে এক মোহনায়
সবার হাতে আমলনামা
কৃতকর্মের ফিরিস্তি দেখে সে-ই কি চিৎকার;
ক্রোধে, শোধে
আর্তনাদে গলবে আগ্নেয় লাভা!…

যার পাদদেশে
অথবা গহ্বরে অনন্তকাল পুড়বে দুর্ভাগারা!

.
১/৬/২৩

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

1 thought on “… তারপর একটি ফুৎকার

  1. গনগনে আকাশে জ্বলজ্বলে উষ্মা
    চোখ রাঙাচ্ছে মানুষের চারণভূমে
    মানুষের পাপে
    মানুষের ঘৃণায়
    অবর্ণনীয় অভিশাপে! https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।