ষোলকলা কৌশল

আমি অকর্মা বলে- বাকীরা লুটাইতো গাছে ছড়ার মুনাফা সুকৌশলে। বরই পাকলে বরই, জাম পাকলে জাম, গাছে ছড়তে পারতাম না বলে ঢিল ঢাল ছুড়ে যা পড়তো তাই খাইতাম।
ওরা মচকা মেরে খেতো কচকচে পেয়ারা, কাঁচা আম।
…তলায় থেকে আমি হুদাই চিল্লাইতাম।

শীতের মৌসুমে আমাদের খেজুর গাছ খোদাই হতো। গাছির বাটালের ধারে সব ক’টা খেজুর গাছ তৈরি হতো পরিপাটি রমণীর সাজে, চেঁচে চেটে যাদের গ্রীবার নিচে চাঁদের মত চকচক করতো উজ্জ্বল মোহনা, সিনা সন্ধি, যেখান থেকে ঝরতো ফোঁটা ফোঁটা রসের ধারা। আমি ঐ একটা গছেই চড়তে পারতাম, খোপ বেয়ে বেয়ে। রসের লালসায় সকাল সন্ধ্যা হতাম উন্মুখ, নিকষ বরষায় প্রেতে দিতাম জিহ্বা, লুটাইতাম গাছে চড়ার সুখ।

রোজ রোজ।
আমিও করতাম মধুবালার খোঁজ। যার জন্যে- জাগতো মালতী লতার দোলা, কোকিলার সুরে গাইতাম গান, ডাকতাম গোপনে- মোহন জলে, হংসমিথুন লীলায়, অবিরাম তই তই বোলে।
এই মর্ম জ্বালা। সাপ লুডু খেলা। তুরুপের তাস। চড়াই উৎরাই ফেরিয়ে শিখি আরোহণ। ষোলকলা কৌশল। রসে- কষে মাখামাখি, চিনি সাধের জীবন।

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

1 thought on “ষোলকলা কৌশল

  1. মর্ম জ্বালা। সাপ লুডু খেলা। তুরুপের তাস। চড়াই উৎরাই ফেরিয়ে শিখি আরোহণ। ষোলকলা কৌশল। রসে- কষে মাখামাখি, চিনি সাধের জীবন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।