কালকেউটের বাসর

dau

আমি আর কই যামু-
যহন আমারে চিনে না আমার খেতি জমিন
যহন আমারে সে ফিইরা চাহে না, কাদা জলে
মাখতে দেয়না- গড়তে দেয়না কস্তূরী হরিণ…
আমি এখন কোন ক্ষেতে চালামু হালের লাঙ্গল
চাষের কলা কৌশল মেনে চিনে- কোন আশায়
দিমু নিড়ানি সাফ করমু আগাছার জঙ্গল;
আমি না হয় মগ্ন আছিলাম নিশান্তের ধ্যানে-
শ্রাবণে গানে জলধির নৃত্যে
তাই বইলে-কি জমিন ভুলিতে পারে, বেগানা কৃষাণের মদমত্তে!
এখন জমিন জোড়া বধ্যভূমি- বুকের ধন ছেঁড়া স্বপ্ন সমাধি
কান্নার গহীনের বাদ্য বাজে, বাজে শঙ্খধ্বনির মর্মর
রাতের পাখীদের ক্ষুধার্ত শীৎকার- মত্ত শুধু কালকেউটের বাসর!

আমি কোন খানে পামু আশ্রয়, কারে করমু পথের সাথী
যেখানে বেবাকতেই কয় তপ্ত কথা- তয়, কে হইবো অগতির গতি
কে চাইবো ফিরে- অহন
কে বুঝবো এই অধম নাখান্দা নালায়েক (অ)কবির মন
ভিটে বাস্তু হারা- দুদণ্ড ঠাই নাই যার
পথের দিশা হারা- বুকে খণ্ড বিখণ্ড মেঘ, বিচ্ছিন্ন আবেগ
বাড়িয়ে চলিছে সংকট!
কলিজা পোড়া গন্ধ নির্গত দীর্ঘশ্বাসে
বুঝতেইতো পারিনি তুলোর মতন মেঘে- তুষের আগুন পুষে রেখেছে!

৭.৭.১৭

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

1 thought on “কালকেউটের বাসর

  1. কে বুঝবো এই অধম নাখান্দা নালায়েক (অ)কবির মন
    ভিটে বাস্তু হারা- দুদণ্ড ঠাই নাই যার
    পথের দিশা হারা- বুকে খণ্ড বিখণ্ড মেঘ, বিচ্ছিন্ন আবেগ
    বাড়িয়ে চলিছে সংকট! https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।