পোস্টমর্টেম : আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন

বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দুইটি পোস্ট আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পোস্ট দুইটি পাশাপাশি রেখে আলোচনা চলতে পারে।
yunus-waker
পোস্ট -১

শনিবার নেত্র নিউজকে দেয়া সেনা সদরের এক বিবৃতিতে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে যে সেনানিবাসে খোদ সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গেই ১১ মার্চ বৈঠকটি হয়েছিল। তবে হাসনাত আব্দুল্লাহকে “ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে তাদেরকে প্রস্তাব বা চাপ প্রয়োগে”র অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বরং হাসনাত আব্দুল্লাহ ও তার দলের আরেক মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমের আগ্রহেই ওই বৈঠকটি হয়েছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে আলোচনা হওয়ার বিষয়টি সেনা সদরের বক্তব্যে অস্বীকার করা হয়নি। সেখানে বলা হয় আলোচনায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গ উঠে আসলে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান নিজের অভিমতের কথা ছাত্রনেতাদের জানান।

বিবৃতিতে সেনাপ্রধানের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, “আওয়ামী লীগের যেসব নেতারা ফৌজদারি মামলায় জড়িত নয় ও ক্লিন ইমেজের অধিকারী তাদের সমন্বয়ে নতুন আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, ফলপ্রসু ও আন্তর্জাতিক মহলে অধিকতর গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকার ও সব রাজনৈতিক দল মিলে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।”
post_img-1737023028546-633243425
হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক স্ট্যাটাসকে তার দলের লোকেরাই শিষ্টাচার বহির্ভূত বলেছে। আমরা তাকে বা তার পোস্টকে আমলে না নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে অর্থপূর্ণ মনে করি। তিনি তার বক্তব্যে জোর করে কোন কিছু চাপিয়ে না দিয়ে বরং বলেছেন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলিকে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন। খুবই পজেটিভ ভাবে দেখছি তার বক্তব্য।

আজকেই নিচের পোস্টটি নজরে এলো। পোস্টের লিংকটি মন্তব্যের ঘরে দিয়ে দিলাম।
FB_IMG_1742709686112

https://www.facebook.com/share/p/16F2ySxoLm/

পোস্ট -২

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর দেশের বাইরে পাচার হয়ে যাওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা ফেরত আনার প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিচ্ছেন। সরকারি কাজে তিনি যুক্তরাজ্যে থাকাকালীন আমার সুযোগ হয় UK পার্লামেন্টের Anti-Corruption ব্রিফিংয়ে অংশ নেয়ার—যেখানে আলোচনা হলো, কীভাবে বাংলাদেশ থেকে সুসংগঠিতভাবে টাকা পাচার হয়েছে এবং Democratic Transition in Bangladesh—কিভাবে সাপোর্ট করা যায়।

গভর্নর বললেন, ২০১৭ সালের পর ৮-৯টি ব্যাংক Systemic Robbery-র শিকার হয়েছে। এমনকি DGFI—এর ক্ষমতা ছিল Fund Divert করার !

শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও, চুরি যাওয়া টাকার পরিমাণ নাকি ৭০ বিলিয়ন ডলার ছুঁতে পারে! যদি এটি ফেরত আনা যায়, তাহলে এটাই হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় Asset Recovery.

এ প্রসঙ্গে গভর্নর যুক্তরাজ্য সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন, তারা এই পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে and take a global lead in Anti-Corruption.

‼️আমার প্রশ্ন ছিল—এই দীর্ঘ ও জটিল Asset Recovery প্রক্রিয়ায় সাধারণ জনগণের উপর কতটা চাপ পড়বে? How much price the ordinary citizens have to pay❓যেহেতু একটা পরিসংখ্যান বলছে, আগামী ১০০ বছর যদি বাংলাদেশিরা নিয়মিত Tax দেয়, তবেই এই লুটপাট করা টাকার পরিমাণের সাথে সামঞ্জস্য আসবে!

গভর্নরের response ছিল unfiltered and painful—“Yes, citizens will have to pay the full price, and even future generations will suffer the consequences.”

দেখেন, money laundering is not a victimless crime. This is a direct violation of people’s economic and civic rights. এটা শুধু টাকার হিসাব না, it will have long-term consequences on future generations—impacting their overall quality of life.

Just pause and think—একটা স্বৈরশাসনের লুটপাট শুধু বর্তমানই না, দেশের ভবিষ্যৎকেও ধ্বংস করে দিয়ে গেছে!

……….

জুলাই আন্দোলন ২০২৪ চলাকালীন সমশ ও দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যে সকল ফৌজদারী অপরাধ করেছে, এইসকল অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদের বিচার অবশ্যই করতে হবে। সেনাপ্রধানের বক্তব্যের আলোকে যদি সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলি আলোচনায় বসে তবে আমরা সাধারণরা উপরের দুই নম্বার পোস্ট বিবেচনায় নিয়ে আলোচনা করার আহ্বান জানাব।

1 thought on “পোস্টমর্টেম : আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।