প্রিয় সহযোদ্ধা। নতুন পুরাতন সবাইকে শুভকামনা এবং প্রীতি। শব্দনীড় ব্লগে এখন অনেক নতুনদের নিত্য আনাগোনা। তাঁদের অনেককে বিভিন্ন ব্লগে (যদিও নিতান্তই আলস্যের কারণে ভিন্ন কোন ব্লগে যাবার সুযোগ আমার হয়না) সুপরিচিত। অথবা অনেকেই তাদের ব্লগিং জীবনের যাত্রা শুরু করেছেন এই শব্দনীড়েই। আমরা যারা সামান্য পুরাতন, নিত্যদিন আমরা তাঁদের যে কোন প্রয়াশকে অকৃপণ অভিনন্দন জানিয়ে যাচ্ছি। পরিচ্ছন্নতা পারস্পরিক সৌহার্দ্যবোধ বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের যে আত্ম প্রত্যয়ের শপথ নিয়ে শব্দনীড় এর অভিযাত্রা … আজ বছরের উপর হতে চললো, শব্দনীড় তা ধরে রাখতে পেরেছে বলে আমার বিশ্বাস। দায়িত্ব নিয়েই বলছি, পোস্ট মডারেশন বা মন্তব্য মডারেশনের মতো খড়গ সম্মানিত ব্লগারদের উপর চাপিয়ে দেবার মতো নীতি বা নৈতিকতায় শব্দনীড় বিশ্বাস করে না। বিষয়টি বিরক্তিকরও বটে। তবু সাময়িক কিছু অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে এ ব্যবস্থাটুকু নিতান্তই বাধ্য হয়ে চালু করেছে শব্দনীড়। এটা আমরা বুঝি। আনন্দের সংবাদ হচ্ছে ইতিমধ্যে অনেকেই যারা সুস্থ্য ধারার ব্লগিং এ স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা তাঁদের পোস্ট নন মডারেশন আওতার বাইরে থেকে সরাসরি প্রথম পাতায় পোস্ট প্রকাশ করার অধিকার সংরক্ষণ করছেন। যারা নতুন আসছেন তাঁদেরকে প্রোফাইলে ছবি আপলোডের বিষয়টি স্বয়ং নীড় সঞ্চালক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের পোস্টে। একজন ব্লগারের সাথে সঞ্চালনা পরিষদের সম্পর্ক থাকবে আন্তরিক। ব্লগারকে বুঝতে হবে সঞ্চালক অর্থ শিক্ষক-ছাত্র কিংবা হেড মাষ্টার গোত্রীয় নয়। শ্রেফ ব্লগ বিষয়ক সাহায্যকারী অভিভাবক মাত্র। যিনি অহর্নিশি ব্লগে চোখ রাখেন বিনিদ্র ভাবে, তাকে আমরা শাষণ কর্তা না ভেবে বরং শুভাকাঙ্খী ভাবতে পারি।
একটি সহায়িকাঃ প্রোফাইলে আপনার ছবি আপলোড।
প্রত্যুষে যখন নিজের পিসি নেট এর সংস্পর্শে আসে এবং শব্দনীড় এর দরোজা খুলে যায়, আমার মতো অনেকেই লক্ষ্য করে থাকবেন সাথে আছেন অনলাইনে … জন নিবন্ধিত, … জন অতিথি। কল্পনা করে নিতে সময়ের অপব্যয় হবে না যে, এই অতিথিদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন নিবন্ধিত। সরাসরি লগিন না করে ব্লগ এবং ব্লগের লিখা দেখছেন। অনিবন্ধিতদের প্রতি আমরা আন্তরিক ভাবে আহ্বান জানাতে পারি, আসুন মিলি… বন্ধুত্বের নিবিড় ছায়াতলে। যারা এই শব্দনীড়ে লিখছেন, যাদের সৃষ্টি আপনারা দেখছেন, আপনি আমি আমরা আমাদের স্বীয় চিন্তা চেতনা বোধ এবং মননে গড়ে তুলি একটি নন্দিত প্লাটফর্ম। যেখানে অদৃশ্য সূতোর বন্ধনে দৃঢ় হবে সকলের আত্মিক বন্ধন। চেতনার উন্মেষে আমাদের পরিচয় হোক আমরা শব্দনীড় পরিবার।
যে উদ্দেশে আজকের এই বিরক্তিকর পোস্টের অবতারণা সেটাই এখনো বলা হয়ে উঠেনি। শুরু’র কথা এখন না হয় শুরু করি। একজন আম ব্লগার হিসাবে আপনাদের সম্মুখে একটি বিশেষ বিষয়ের উল্লেখপাত করার ইচ্ছে এতোদিন মনে পুষে রাখলেও না বুঝে উঠার কারণে আলোকপাত করতে পারিনি। আজ কেন জানি মনে হচ্ছে আমি সঠিকটাই বুঝেছি। আসুন আমার অবাধ্য মগজ কি বুঝেছে সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
আমরা সবাই লক্ষ্য করেছি প্রথম পাতায় সঞ্চালক নির্বাচিত (যদি থাকে) তার উপর চলমান একটি পোস্ট বক্স রয়েছে হলুদ ব্যাকগ্রাউন্ডে। এটিকে ইংরেজী তে বলা হয় ফীচার ইন ফীচারড কন্টেন্ট স্লাইডার। আপনি যেখানে নতুন পোস্ট লিখছেন ঠিক তার নীচে Featured Content Slifer Options নামে একটি ঐচ্ছিক ঘর রয়েছে। আমরা যদি স্লাইড ফীচার (চলমান পোস্ট) আকারে আমাদের পোস্ট দেখতে চাই তাহলে ইচ্ছে করলে আমরা এখানে একটি টিক চিহ্ন এঁকে অপশনটি চালু করে দিতে পারি।
এই গেলো সুবিধার কথা। কিন্তু মূল বিষয়টি হলো আজকের এই পোস্টে আমি আমার একটি পোস্টের স্থির চিত্র ব্যবহার করেছি। কেন করেছি তার উত্তর হলো লক্ষ্য করে দেখুন লাল রঙে তীর চিহ্নে আমি দেখিয়ে দেবার চেষ্টা করেছি একটি সামান্য প্রচ্ছদ থাকায় চলমান বারে পোস্টটি একটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। অথচ আরো বেশ কয়েকটি পোস্ট পেরিয়ে যাবে পার্থক্যটা তখন বোঝা যায় পার্থক্যের মধ্যে পার্থক্য কোথায় !!
ইদানীং আমার চোখ বেশ অল্প সংখ্যক ব্লগারকে তাঁদের নিজস্ব লিখায় প্রচ্ছদ ব্যবহার করতে দেখছে। হয় তাঁরা প্রচ্ছদ আপলোডের বিড়ম্বনা সইতে চান না, অথবা সময় স্বল্পতা তাঁদের প্রচ্ছদ বিমূখী করেছে। আমার মত ই যে চূড়ান্ত হবে তা নয়, সামান্য হোক আর অসামান্যই হোক একটি প্রচ্ছদ একটি লিখার পরিভাষা হয়ে উঠতে পারে। হয়ে উঠতে পারে সমার্থক। দর্শক পাঠক সার্থক পোস্টটিকে দেখেন বিশেষ নজরে। আমরা সবাই যদি আমাদের লিখায় একটি প্রচ্ছদ অন্তত ব্যবহার করি অবশ্যই যা হতে হবে পোস্টের মাপের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আর বর্তমান সুবিধা চালু থাকা পর্যন্ত যদি স্লাইডে পোস্টটিকে নির্বাচিত করি তাহলে স্লাইড বক্সের আজকের এই অসৌন্দর্য্য (ক্ষমা চাই) বহুলাংশে হ্রাস পাবে। তো আসুন আমরা আমাদের প্রতিটি লিখায় অন্তত একটি প্রচ্ছদ ব্যবহারের অনুশীলন শুরু করি। বদলে দেই স্লাইড বারের আদল।
নিচের এই কথাগুলোন আমারই একটি পোস্টের। একটা পোষ্ট = একটা দায়িত্ব। নতুন ব্লগার এবং আমার মতো পুরোনো এবং আমারই মতো অলস ব্লগারদের জন্য ফির উৎসর্গ করি।
আমরা যারা নিয়মিত কিংবা অনিয়মিত লিখি
প্রবীন হই কিংবা আধা প্রবীণ হই –
আমরা আমাদের নিয়ে থাকি সর্বদা ব্যস্ত।
নবীন ব্লগারদের লিখা চোখে পরলেও সযত্নে এড়িয়ে যাই।
আমরা কি ঠিক কাজটি করছি?
আমরা অবশ্যই যেমন সুস্থ্য আলোচনা চাইবো বা আশা করবো, তেমনি ভুল বা দৃষ্টিনিন্দিত হলেও তা প্রকাশ করবো। এবং সেটাই উচিত করণীয়। নইলে লিখক তাঁর লিখার মানের অবস্থান নিয়ে শন্কায় থাকতে বাধ্য।
মন্তব্য।
লিখক মাত্রই সেটার আশা কিংবা অপেক্ষা করেন।
ইদানীং ব্লগে নাম মাত্র কয়েকজন ছাড়া প্রত্যেকেই আমরা ঝাড়া গদবাঁধা ছোট্ট স্তুতি মন্তব্য সাজিয়ে পালাই। যেন নিরবে সরব উপস্থিতি জানিয়ে যাই, আমি এসেছিলাম। অথবা নিরব আমন্ত্রণ জানিয়ে গেলাম আমার একটা লিখা আছে – দয়া করে পড়বেন। যেন বিকিকিনির ঘরে ক্রেতাকে জানাই নিমন্ত্রন। (বিনয়ের সংগে বলছি, আমার মতের সাথে অন্যের দ্বিমত থাকলে থাকতেও পারে) ফিরেও আর সেই ফেলে আসা ব্লগটিতে খুব কম জনেই ফেরেন।
এমনকি নতুন ব্লগার বন্ধুদের ঘরে ঢুকতেও আমাদের দ্বিধা কাজ করে প্রচুর। অথচ আমাদের অন্তঃপ্রাণ চেষ্টাই বলুন আর উত্তরসুরীই বলুন,
তা কিন্তু তাঁরাই।
যে কোন লিখা ছাপার অক্ষরে এলে- লিখকেরও একটা দায় বর্তে যায়, “জবাব দিন” শব্দটার কাছে। লিখককে তড়িৎ না হলেও ভেবে সুস্থির হয়ে একটা উত্তর সাজাতে হয়। হোক তা সৌজন্য কিংবা ব্যাখ্যা।
আমি মনে করি ‘একটা পোষ্ট = একটা বিশাল দায়িত্ব’।
আমরা যেন অন্যকে ফাঁকি দিয়ে আগামীতে নিজের বা নিজেদের শূন্যের মধ্যে ফেলে না দিই –
শ্রদ্ধা দিয়ে সবাইকে উৎসাহ দেয়ার নামই হলো
শুভ ব্লগিং।