এক আকাশ অন্ধকার

acccct

একটি মানুষের মধ্যে আমি
এক আকাশ অন্ধকার দেখেছিলাম।

কতজনের সঙ্গেই ত মিশি,
ভালবাসি, ঘৃণা করি, থাকি উদাসীন।
তারা সব টুকরো টুকরো আলো
উজ্জ্বল কি স্তিমিত।

তাদের চেনা যায়, পড়া যায়
মানেও পাওয়া যায় ছাড়াছাড়া।
তাদের সঙ্গে পরিচয় দিয়েই
জীবনের প্রাঞ্জল পুঁথি প্রতিদিন লেখা।
কিন্তু মন নিজের অগোচরে
খোঁজে সেই অনাদি আশ্চর্য অন্ধকার
সব অভিধান যেখানে অচল, সব নামতা নিরর্থক।

সেই এক আকাশ অন্ধকার
আমি পেয়েছিলাম একবার
পথে যেতে কোন এক স্টেশনের প্লাটফর্মে
দুপুর রোদে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে
দুটি অতল চোখের মধ্যে।

সে পুরুষ কি নারী
কেউ যেন জানতে না চায়,
জানতে না চায় কী তার বয়স।
সে সময়ের অতীত, যৌনতার উর্দ্ধে।
তার অন্ধকার ত না-এর শূন্যতা নয়,
নিহারীকা-গর্ভ এক রহস্য-নিবিড়তা।

সত্তার গহনে এই অন্ধকার যদি লুপ্ত হয়,
আমাদের সাজানো শহর
আর সফল জীবন ত শুধু
পরিসংখ্যানের অঙ্ক।

এত খন্ড খন্ড আলোর জটলায়,
এত মাপজোকের দুনিয়ায়
সেই অন্ধকার বয়ে বেড়াবার মানুষ
কি সব ফুরিয়ে গেল!

saif

( স্মৃতি থেকে নেয়া। )

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter