আমার উনপঞ্চাশটি দুঃখ
আমার একটা দুঃখ নেই। সত্যি বলতে কি সেই অর্থে একটা দুঃখও আমার নেই। লোকে জিজ্ঞাসা করে সুখ কি? আর আমি বলি, দুঃখ তুমি কি? লোকে বলে সুখ সবচাইতে বড়। আমি বলি দুঃখের সাথে তার পাল্লা হয়না ভারী। যখন অনেক দুঃখ ছিল জীবনে, আমি সুখকে খুঁজে বেড়াতাম নিয়ত। তখনকার সেই অভিমানী দুঃখগুলোকে আমি ‘যাহ’ বলে গাল দিয়েছি কত। অথচ দুঃখ; এখন আমি তোমাদের ডাকি ‘এসো’। কিন্তু দুঃখরা আর আসে না। দুঃখরা আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। যাবার সময় বলে গেছে, তুমি আর ডেকো না। তোমাকে আমরা অজস্র হাসিখুশী সুখ বর দিয়ে গেলাম।
এখন আমার কাছে অনেক সুখ, সুখের সাগর আমার। দুই পাহাড়ের মাঝখানে বহমান নদীর মত চকচকে সোনালী-রূপালী সুখ। আমার ব্যাগ ভর্তি রঙিন মাছের মত সুখ। রান্নাঘরের তাকে, গারদে রাখা শাড়ির ভাঁজে, বসবার ঘরের টেবিলে রাখা পোর্সেলিনের দামি জারে, গোটা স্টোর রূমেও তাদের ঠাসাঠাসি। একটু কষ্ট করে যদি শোবার ঘরের লাগোয়া বাথরুমে উঁকি দাও, দেখবে কমোডের ভেতরেও সুখ। পেয়ালা উপচে পড়া সোনালী তরলের মত বেসামাল মূর্খ সুখ সর্বত্র। সুখ যদি ইথারের মত কোন কাল্পনিক তরল হতো তাহলে আমি এক্ষুনি, এক্ষুনি তার অস্বিত্ত্ব প্রমান করে দিতাম নোবেল কমিটির সামনে। সহজ এই সুখের সমীকরণ।
আমি আর তোমাকে বলবো না অপেক্ষা মানেই অভিমান। ঘড়ির কাঁটা দশ ঘর পেরিয়ে কাত হয়ে গেলে প্রতি রাতে স্থির আঙ্গুল টলোমলো চোখে এঁকেবেঁকে দাগ কাটে শ্লেটে। তুমি যে বল প্রেম তবে গেলো কই? আমি বলি, এই দেখো আমার পেছনে, ভয়ে ভয়ে উঁকি দিয়ে দেখছে কেবল তোমাকে। আর বলবো না কাউকে; ‘অপেক্ষা মানেই অভিমান”। একাকী হ্রদের ধারে, আমাদের সব দেনা মিটিয়ে বেঁচে যাওয়া তোমার ধোঁয়াটে চাঁদ বিনিময় হবে আমার বিষাদের সাথে। এমনি নিছক কিছু কথা ছিল তোমার কাজ ফিরতি পথে । এখন গাঢ় আঁধারের কালি লেপটে আছে আকাশে জলের শরীর কেটে পিছলে বেরিয়ে গেছে প্রেম। চিহ্ন কোথাও রাখেনি, রাখেনি শব্দও তার পায়ের শুধু নির্ঘুম তারাদল, ‘কে ছিল পলাতক’ জেনেছে । পলাতক জানলো না কেবল; ‘অপেক্ষা মানেই অভিমান’। … প্রিয় ব্লগার আনন্দময়ী। আজ তাঁর শুভ জন্মদিন।
জীবনের কর্মে এবং সাফল্যে থাকুন বেঁচে। আমাদের সকলের শুভেচ্ছা ভালোবাসা সর্বোপরি শুভকামনা সব সময়ে থাকবে আপনার জন্য। শুভ ব্লগিং।
ফেসবুক লিঙ্ক : আজাদ কাশ্মীর জামান।