স্পর্শ প্রহর

আমার এক হাতে সবুজ পতাকা
অন্য হাতে কালো;
সবুজ আনন্দ আর যৌবনের প্রতীক,
কালো শোকের।

যেদিন তুমি আমার হাতে হাত রাখলে
সবুজ বৃক্ষরাজির বিনয়ে, ভরে উঠেছিলো প্রকৃতি
রাতের আকাশে ছিলো নধর চাঁদ
আমার বুকের ভেতরেও
ছিলো বর্ণচ্ছটা।

ঝাউবন অবিরাম ঢেউ তুলে
দিয়েছিলো সুখের বারতা।
আজ উজার হয়েছে ঝাউবন খসে গেছে চাঁদ
জলেরা মেঘ হয়ে ঢেকেছে আকাশ
আমার হাতে কালোপতাকা
নিদ্রাহীন স্বপ্নহীন জেগে থাকা অবিরাম।

মৃত্যুর অল্প আগে
কার কথা মনে পড়ে বেশী
লুকোতে ইচ্ছে হয় কি
দুর্ভেদ্য কোন আবাসে !!

মনে পড়ে কি শৈশবে
জ্যোৎস্না মাখানো যমুনার
তীর ঘেঁষে হেঁটে বেড়ানো
আর চোখে চোখ রাখার কথা;

মনে কি হয়
এই ভারগ্রস্ত অর্থহীন জীবনের
হিসেব নিকেশ শেষ হলেই ভাল !!
নাকি নিমিষেই নেমে আসে অন্ধকার চোখ জুড়ে
মস্তিস্কের কোষগুলো ভেঙ্গে খান খান হয়
ভাবনাগুলো এলামেলো অর্থহীন হয়ে
মিলায় অনন্তে …

কুয়াশায় ভেজা উত্তুরে
বাতাস আমায় আচ্ছ্ন্ন করে
একা আমি শূন্যে ভাসতে থাকি
চরাচর নিঃশব্দে ভাসতে থাকি।

স্পর্শ আবৃত্ত হীম দরোজা খোলা আমার
কালের প্রহর যে ফুরোয় না …

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter