বর্ণপরিচয়

ঘুড়ে গেলেই একটা ফাঁকা। আমি ফাঁকার মধ্যে দাঁড়িয়ে
মুঠো থেকে ‘প’ ছুঁড়ে দিই। ‘প’ থেকে পৃথিবী এবং প্রশ্ন
প্রতিবাদ প্রতিশোধ এবং প্রেম ছড়িয়ে পড়ে- পড়তে পড়তে
প্রহর চলে যায়-

প্রেম শব্দে প্রভুর চেয়ে প্রেমিকা সহজ- যেহেতু প্রেম
সহজাত কবচকুণ্ডল সহজাত মৃত্যুবোধের সমান
যাকে চেনার ঢের আগে আমাকে ‘ম’ নামক অক্ষর
শিখতে হয়েছে
‘ম’ থেকে মধু – মধু বাতা ঋতায়তে
মধুরক্ষিত মৃত্য- আমি মৃত্যুকে দেখি কিন্তু চিনতে পারিনা-

ছেলেবেলায় ‘চ’ অক্ষর শিখতে শিখতে কেউ চাঁদ হয় কেউ চন্দন
আমি চাতক হয়ে উড়ে যেতাম চিহ্ন থেকে চিহ্নহীন একা-

‘জ’-এর উপর জাহাজ ভাসতো নদী পেড়িয়ে সমুদ্রে
আমি জল চিনতাম
জল চিনতে চিনতে জন্ম
জন্ম চিনতে চিনতে
আমি মৃত্যুর কাছে দাঁড়িয়ে থাকি- দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
বিন্দুর মতো চিহ্ন থেকে চিহ্নহীন-

কবি রত্নেশ্বর হাজরাঃ
জন্ম : ১৯৩৭ খ্রীস্টাব্দ। বরিশাল।
রচনা : বিষণ্ন ঋতু, লোকায়ত লৌকিক, জলবায়ু, গতকাল আজ এবং আমি,
এ দিকে দক্ষিণ, রাজি আছি প্রভৃতি গ্রন্থ ছাড়াও অনুবাদ করেছেন বেশ কিছু বই।

( প্রতিটি একুশের মাস এলেই আমার হৃদয় জুড়ে থাকে তাঁর এই লিখাটি। )

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter