রাত্রি নিয়ে কবিতায় প্রলাপ

ddd1

একটি রাত্রি বাসা বাঁধে এই বুকে
একটি রাত্রি মহাকাশে মেলে ডানা
নির্জনতায় অন্ধকারের শিখা
করোটিতে জ্বালে বুনো গন্ধের ভয়।

একটি রাত্রি নদী নয়, তবু নদী
আরক্ত কষ্ট গড়ে নিরুক্ত দ্বীপ
কষ্টকে কেউ চেনে না বিশ্বময়
তাবৎ পুরাণ ঘেঁটেও গ্রন্থাগারে।

কম কথা নয় সমুদ্রপাড়ি দেওয়া
সিন্দাবাদের জাহাজ উধাও আজ
কবিতা তো জানি সন্ধ্যার মেঘমালা
তবুও রাত্রি চায় মননের মধু।

আমাকে সবাই যতই প্রশ্ন করে
উত্তরে শুধু বিদেহী সানাই বাজে
আকাশদুহিতা দু’হাতে ছড়ায় গ্লানি
কান্না কেন- যে স্বপ্নের আল্পনা।

একটি রাত্রি হৃদয়ে শব্দ গাঁথে
আরাত্রি নাচে প্রেতিনীরা সংরাগে
একটি রাত্রি মরা জ্যোৎস্নার ক্ষত
প্রমিথিউসের করুণ ক্যাসেট যেন।

একটি রাত্রি কফিনে পেরেক ঠোকে
শুভ্র আঁধারে ভেসে যায় লোকালয়ে
একটি রাত্রি শেষ মৃত্যুর আগে
জেগে থাকে, দেখ-
সারাটি রাত্রি জুড়ে।

ddd12

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter