সপ্রতিভ যাতনা

যদি কোন দিন জানতে চায় ও এসে
ক্যামন আছো তুমি ?

সেদিন যেন সকল যন্ত্রণা ছাপিয়ে
সকল বেদনা দমিয়ে দু’চোখে উপচে
উঠে আসা অশ্রুর প্লাবন প্রতিহত করে
নির্বিকার কন্ঠে বলতে পারি, আমি –
ভাল আছি, হ্যাঁ আমি ভীষণ ভাল আছি।

ওর বিশ্বাসে গেঁথে যেন দিতে পারি
প্রাত্যহিক কাজে ঈশ্বরের মগ্ন ধ্যানে
সুস্থ্য বোধের সামাজিক মানুষের মত
কেটে যাচ্ছে গৎ বাঁধা আমারও জীবন।

যেন বিচলিত না হয় আমার দৃষ্টি
রুদ্ধ হয়ে না যায় কন্ঠ আমার
বাঁধ যেন ভেঙ্গে না যায় গহীন
গহীনতর যে নদী হৃদয়ের উদ্যেনে।

নিমেষে চোখের আড়াল হতে জড়তা যত
সপ্রতিভ করে না দেয় যেন আশ্চর্য ঘোরে

আবার শুরু হবে নিরর্থক পথ চাওয়া-
একটানে নিত্যকার ক্ষত বিক্ষত হওয়া
বলা যাবে না, বলা হবে না অমূল্য যা

দুঃসহ যাতনায় এক ক্ষতকে পুষছি আমি
দুই চোখের তারায় কালো গোলাপের মতন
যে দান দিয়েছে আমার বড় ভালোবাসার জন।

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter