:: :: :: ::
হায় ! এ তোমার কি সর্বনাশ, কেগো সর্বনাশা
তোমার পত্র- পল্লব, শাখা- প্রশাখা, কি দুরবস্থা
তোমার বক্ষের আবরণ কই, তুমি কি নগ্ন ?
আমার চোখে কি? …ছি…ছি নাহ্ এইতো ঠিক আছে;
ওগো, তোমার না অর্ধস্ফুট পুষ্প, ভ্রমরা আসতো
ঠিক বসন্তকালে, পাগলা বাতাসে, মাঝে- মাঝে
অসময়ে।
হায় ! এ তোমার কি সর্বনাশ, কেগো সর্বনাশা
তোমার না নীল ছাউনির ঘর? ঘন সবুজ পোষাক
ঘরতো ঠিকই আছে, শুধু তুমিই কিনা নগ্ন
তোমার পুস্পপদ্মে ছিল মৃগনাভীর, কি মোহনীয়
সমগ্র বিশ্ব সমীর ছুটে আসতো, তোমার- আমার, নাহ্
সেই অপ্সরা তুমি ক্ষতবিক্ষত, না- না – এ কিছুতেই
আমার মস্তিস্ক অবিশ্বাসী, কিভাবে করবো বলোনা।
মনে নেই !!
হায় ! এ তোমার কি সর্বনাশ, কেগো সর্বনাশা
তোমার না ষোড়শিনীর অঙ্গ ছিলো? অগণিত কেশ
কে উড়িয়ে নিল, মুণ্ডুটার কি বেহাল দশা- বাবুই বাসা
এলোমেলো, তোমার শাখায় শাখায় রঙিলাকাশ, গণ্ডদেশে
হীরক খচিত, প্রশাখায় অঙ্গরিও, রক্তাভ ওষ্ঠ, উজ্জ্বল নেত্র
আর ললাটে না প্রভাতের শুধীংশু ছিলো, কোথা হারালো
ক্ষুদ্রসময়ে।
হায় ! এ তোমার কি সর্বনাশ, কেগো সর্বনাশা
তোমার সুউচ্চ গ্রীবা, বক্ষসুধা পান করে পালিত বিশ্ববাসী
তোমার আঁচল তলে কি মমতাই না ছিলো, নিঃস্বার্থে করেছো দান
কষ্ট পেলে, তুমি কাঁদছো, ক্ষমা কোরো। আমি বাচাল তবে,
অকৃতজ্ঞ নই।
তোমাতে কিছু দিইনি, শুধু পেয়েছি। কি বললে কালবৈশাখী !!
ঈশ্বর রক্ষা করো, সে তোমাকেও !! আমি না হয় পাপী, তুমি-
তুমি পাপীয়সী নও। তবে কেন তুমি কালের
কালনাশে কালনাশী, চেয়ে দেখো আমিও সমপরিমাণ
সর্বনাশি।
হায় !! এ তোমার কি সর্বনাশ, কেগো সর্বনাশা ?