নাটক – এক খণ্ড জীবন [ পর্ব-১]


চরিত্রায়নঃ

দাদা —
দাদী —
খায়রুল —
খায়রুলের স্ত্রী —
নাতনী —
নাজির —

দৃশ্য – ০১

[স্থানঃ মেস বাসা। অন্ধকার রুম। পর্দা, জানালা,দরজা সব বন্ধ। রুমে নাজির একা ঘুমাচ্ছে। বাকি বন্ধুরা সবাই কলেজে চলে যাওয়াতে বিশাল বাসাটায় নাজির এখন সম্পুর্ণ একা। অগোছালো ভাবে রুমের বিভিন্ন জায়গাতে কাপর চোপর পড়ে আছে। যেখানে সেখানে সিগারেটের সুগা, সিগারেটের অংশ পড়ে আছে। দুই পর্দার ফাঁক দিয়ে রোদের হালকা সুর্যের আভা রুমের ভিতর ঢুকছে। নাজিরের বিছানায় এলোমেলো ভাবে মোবাইল, ঘড়ি, হ্যডফোন, সিগারেটের প্যাকেট ইত্যাদি পড়ে আছে।]

নাজির আড়মোড় দিয়ে ঘুম থেকে হালকা ভাবে চোখ খুলে আশপাশটা একটু দেখার চেষ্টা করে। তারপর জানালার পর্দাটা একটুখানি টেনে বাহিরে দিকে তাকায়। রোদের পখড়তা চোখে এসে বারি খায় নাজিরের। নাজিরের চোখ দুটি ছোট হয়ে আসে। জানালার পর্দাটা সোজা করে পাশ ফিরে মোবাইলটা হাতে নিয়ে সময় দেখে। তারপর আবার একটা কুড়ি দিয়ে সোজা হওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু একেবারে না উঠে ঝিম ধরে বসে থাকে।
খাট থেকে নিচে নেমে একটু পানি খেয়ে একটা সিগারেট ধরায়। আস্তে আস্তে টুথ ব্রাশে পেষ্ট লাগিয়ে চোখ কচলাতে কচলাতে হাই তোলে নাজির। এগিয়ে যায় বারান্দার দিকে। সিগারেট টানা শেষ করে ব্রাশটা মুখে দিয়ে এক দৃষ্টিতে সামনের দিকে তাকিয়ে থাকে। দাঁত ব্রাশ করতে করতে কোথায় যেন হারিয়ে যায় নাজির।

দৃশ্য – ২

বাথরুমে মুখ ধূয়তে ধূয়তে হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠে। দ্রুত মুখে পানি দিয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসে নাজির। ফোনটা রিসিভ করে।

নাজিরঃ হ্যালো.. .. আস্ সালামুআলাইকুম। কে বলছিলেন?
মনিরঃ হ্যালো, নাজির আমি মনির। কিরে তু্ই আজ কলেজে আসলি না কেন?
নাজিরঃ ভাল লাগতেছিল না তাই। ক্লাস শেষ করে পারলে আমারে একটা ফোন দিস। আর এই ফোন নম্বরটা আবার কার?
মনিরঃ নয়া নিছি।
নাজিরঃ আচ্ছা এখন রাখি। পরে কথা বলি। বাই।
মনিরঃ ওকে। বাই।

নাজির ফোনটা বিছানার উপর রেখে রান্না ঘরের দিকে যায়। নাস্তা নিয়ে খেতে খেতে নিজে নিজেই বিরবির করছে। আর বলছে-
“যাই কোথাও গিয়ে ঘুড়ে আসি।”
নাস্তা শেষ করে টিভিটা অন করে নাজির। কাধের ব্যাগটা হাতে নিয়ে লুঙ্গি, গামছা সহ আরো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস ভরতে থাকে। তারপর ঘড়িটা হাতে নিয়ে চোখ বড় বড় করে ঘড়িতে দেখে প্রায় দুইটা বেজে গেছে। খুব দ্রুত রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আসে নাজির।

ফেনা সম্পর্কে

মুক্ত ও সাদা মনের মানুষ হতে আগে চাইতাম। কিন্তু এখন শুধু একটু মুক্তি চাই, চাই জীবনটা শেষ হবে এই অপেক্ষার অবসান।

16 thoughts on “নাটক – এক খণ্ড জীবন [ পর্ব-১]

  1. ঝোরো গতিতে খণ্ড জীবন প্রথম খণ্ড পড়ে গেলাম ফেনা ভাই। পরের পর্বে কি থাকছে জানার জন্য আবার ফিরে আসবো। :)

    1. অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

      অপেক্ষায় থাকুন পরের পর্ব পড়ার জন্য।

      ভাল থাকবেন সব সময়।

  2. শুরুর ২টি কাহিনী পরিচ্ছেদ পড়লাম। আমার মনে হয় ৩টি করে স্লট রাখা যেতে পারে। :)

    1. অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মুরুব্বী। আগামী পর্ব থেকে চেষ্টা করব তিনটি করে দিবার।

      ভাল থাকবেন সতত।

  3. নাটকীয় দৃশ্যায়ন অপূর্ব। নাট্যাকারকে অভিনন্দন জানাই।
    সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
    জয়গুরু!

    1. অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই অধমের লেখা পড়ার জন্য।

  4. এই পর্যন্ত পড়ে রাখলাম। দ্বিতীয় খণ্ড আসেনি। 

    1. পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। পর্ব -২ দেওয়া হয়েছে।

    1. অপেক্ষার জন্য অনেক ধন্যবাদ। 

      ২য় পর্ব দেওয়া হয়েছে।

  5. শুরুটা পড়লাম। এখন দ্বিতী পর্বে চলছি। :)

  6. পড়েছিলাম কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি। ধন্যবাদ কবি ফেনা ভাই। :)

  7. সহজ সরল সুন্দর লিখা।দেখি পরের পর্বে কি হয়? 

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।