জীবন সম্পর্কে
আমার বেশ অদ্ভুত কিছু ধারণা তৈরি হয়েছে।
তাইতো, আমার হৃদয়ের ধমনিতে
তোমার পায়ের শব্দ শুনতে পাই।
গভীর রাতে ঘুমের মধ্যে শুনি তোমার ডাক।
কখনও কখনও নুপূরের ধ্বনিতে
শুনতে পাই তোমার ফিরে আসার প্রতিবিম্বিত রূপ।
আহ্ সেকী সৌন্দর্যের বিভা
বাতাসের উষ্ণ ছোঁয়ায় আমার দেহের বিবর্তন হয়
মনের বোধিসত্ত্বা পরিবর্ধনের আভাস দেয়।
যেভাবে নদীপ্রণালীতে তোমার জলছবি দেখি প্রতিদিনের রোজনামচা তোমার।
তোমার ভাবনায় থমকে যাওয়া স্রোতের গতিপথ
পাল্টে হয় গতিশীল সে কীভাবে বুঝাবো তোমায়!
তুমি আছো দৃশ্যের মাঝে
দৃষ্টির সীমানা জুড়ে তুমি।
তুমি আছো অন্তরে আবদ্ধ যৌবনের সঞ্চালক তুমি!
তুমি আছো তুমুল উচ্ছ্বাসে মনের গভীরতায়।
তুমি আছো গল্পে,কবিতায় আনন্দে হাসিতে
পথের নিরন্নতায় তুমি
তুমি আছো আনন্দে আনমনে নিরানন্দে সুন্দর সৌহার্দ্য।
তুমি আছো বাঁশির সুরে
দোয়েলের কণ্ঠে প্রাণের প্রত্যুষে তুমি।
চাঁদের উপমায় তুমি।
তুমি সমুদ্রের গভীর তরঙ্গে আলোঝলমল
বিমোহিত লাখো মানুষের চাওয়া।
তোমাকে কি হাত বাড়াতেই আমার হবে পাওয়া;
সৌন্দর্যের অসীমে তুমি;
তোমাকে পাওয়া কার সাধ্বী না পাওয়ার
অসীমতটীয় হাত তোমার,
নক্ষত্রের অপার সুন্দর তুমি।
যেখানে আমি নশ্বরের মাঝে অনশ্বর।
তোমাকে পাওয়া আমার কী দায়।
তবুও হতবুদ্ধি মন তোমাকে চায়
তোমাকে ফিরে পাই কবিতার সারাংশে
তোমাকে পাই গল্পের শুভ্রতায়।
তুমি ছিলে হৃদয়ের গোপন আঙিনায়
নিশ্চিত হাজার বছর।
তবুও জানলে তুমি;
কদিন আগেও তুমি ছিলে কল্পনাপ্রসূত
অথচ আজ তুমি আমার।
প্রকৃতির মতোই সুন্দর তুমি
তুমি আর আমি মিলে যা হয় অসীম।
তবুও আমি ক্ষুদ্রতর নগন্য নগরীর মানুষ
যদি ভালোবেসে কাছে টেনে নাও
আপন করে আপন মাঝে ভালোবাসা দাও
আমিই হবো আজীবন তোমার।
তোমাকে ফিরে পাই কবিতার সারাংশে
তোমাকে পাই গল্পের শুভ্রতায়।
* সুন্দর অনুভব…
কবিতাটি পড়লাম কবি'দা। কিছু কাল পর মনে হয় এমন লেখা পড়লাম আপনার।
লিখায় পুরোনো সেই শামীম বখতিয়ার'কে খুঁজে পেলাম। এমনটাই তো চাই।