অক্টোবর ৩০,২০১৮
জ্ঞানই শক্তি আর সেই শক্তিই হচ্ছে আলো; কোনভাবেই তাকে অবহেলা না। মূঢ় ও অজ্ঞতার দিকে নিয়ে যাবেন না।
জ্ঞান সঠিক জায়গায় প্রয়োগের মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করে সেখান থেকেই সৃষ্টি হয় আলোর বিকিরণ।
জ্ঞান উৎপন্ন হয় আত্মার আত্মপ্রকাশ থেকে আত্ম উপলব্ধি থেকে।
চিন্তা হচ্ছে জ্ঞানের খোরাক চিন্তা না করলে জ্ঞানের দরজায় কড়া নাড়তে পারবেন না।
আর আপনি যদি সেই জ্ঞানের প্রতিফলন চান তাহলে আপনাকে জ্ঞানের দরজায় পৌঁছাতে হবে। আর সেটা হবে আপনার বুদ্ধিমত্তার জোরে।
শক্তি দিয়ে জ্ঞানের পথে প্রবেশ করা যায় না।
শক্তি উৎপন্নের জন্য যেসকল প্রকৃত জ্ঞান থাকা দরকার তা যদি আপনার মধ্যে না থাকে তাহলে আপনার দ্বারা কোনো কাজই স্বাস্থ্যকর হবে না সাধিতও হবেনা।
যে চিন্তা মানুষের জীবনে মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে মানসিক চাপ তৈরি করে উদ্বিগ্ন ও ভঙ্গুর হৃদয় তৈরি করে সে ককখনও জ্ঞান নয়।
আর তা যদি সুস্থ মস্তিস্কে নিরাপদ পথে ধীরস্থির ভাবে চিন্তা করে সঠিক বুদ্ধির প্রয়োগ করে সমাধান করা যায় সেইতো জ্ঞান। যে বুদ্ধিমত্তা ও প্রখর শক্তির জোরে মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখে সমস্ত দুর্বলতা থেকে দূরে রাখে তবেইতো সমাধান।
মনে রাখবেন কখনোই জ্ঞানী হওয়ার জন্য চিন্তা করবেন না।
যখন নিজেকে জ্ঞানী ভাবতে শুরু করবেন। যখনই নিজেকে শক্তিধর ভাবতে শুরু করবেন।
যখনই নিজেকে সবার থেকে উন্নত ভাবতে শুরু করবেন তখনই আপনার ভিতরে মূঢ় বাসা বাঁধবে, অজ্ঞতা আপনাকে শেষ করতে থাকবে।
আপনি আপনার প্রকৃত সত্তাকে হারাবেন।
আপনি আপনার প্রকৃত নিজস্বতাকে খুন করবেন।
তবে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে আমি অন্যদের মতোই সাধারণ মানুষ।
আপনি আপনার এই সামান্য পরিচয়েই খুশি থাকুন, মানুষই পৃথিবীর সবথেকে বড় আবিস্কারক।
জন্মের পর মানুষই আবিষ্কার করে পৃথিবী এতোটাই কঠিন এতোটাই সুন্দর আর এতোটাই সহজ সরল।
মানুষই বিবেকবান তাদেরই বিবেচনাবোধ প্রকৃত তারাই জানে আপনি তাদের থেকে আলাদা।
চমৎকার সব জীবন ভিত্তিক পরামর্শ। অনেক ভালোবাসা প্রিয় শামীম বখতিয়ার।
জ্ঞান উৎপন্ন হয় আত্মার আত্মপ্রকাশ থেকে আত্ম উপলব্ধি থেকে।
খাঁটি কথা শামীম ভাই।
যখনই নিজেকে সবার থেকে উন্নত ভাবতে শুরু করবেন তখনই আপনার ভিতরে মূঢ় বাসা বাঁধবে, অজ্ঞতা আপনাকে শেষ করতে থাকবে।

