আমাদের জীবন কোথায় গিয়ে থামবে
আমরা কি জানি না তা?
আমাদের জীবন থেমে যায় আমাদের কর্মের উপর
আমাদের কর্ম আমাদের জীবনের
ওপর নির্ভর করে বয়ে যায় সামনের দিকে।
পুরাকালে যখন তোমায় প্রথম দেখেছি
সেখানে কোনো প্রেম ছিল না
প্রেম হৃদয় থেকে নির্গত কিছু অদৃশ্য
আকারের মাধ্যমে হৃদয়ে কাঁপন ধরায়।
তোমাকে কোনদিন প্রেমের কোন শব্দ বলা হয়নি
কিংবা কোনো চিঠি লেখা হয়নি
আমি এখন রাতের আকাশের চাঁদ থেকে
রূপালী আলোর সুগন্ধি নিয়ে
সোনালী কলমের কালি ফুরিয়ে অন্তরে ভাসমান কিছু শব্দ সাজাই
এখানে কোন মিল্কিওয়ে নেই,গ্যালাক্সি নেই
ছায়াপথ নেই, নেই কোনো তারকা কুঞ্জ
পৃথিবীর সোনা ঝরা সোনালী আকাশ
দিনের আলোয় ভাবনায় ভাসিয়ে দেয় নিজেকে;
মুক্তির অসম বার্তাবাহক
অন্তরে কুহু ডাকে বলে যায় কিছু
তোমাকে হারাবার ভয়ে বারবার হারিয়েছি তোমায়…
তোমাকে বেঁধে রাখার আকুতিতে
বারবার নিজেকে বেঁধেছি অনন্ত চাদরে।
তবুও তুমি;
তবুও তুমি চলে গেছো ভালোবাসার গন্ধম ভেঙ্গে
তবুও তুমি হৃদয়ের মসনদে জাজ্বল্যমান
কষ্টের বুনোপাখি পৃথিবীর মেঘ চিড়ে ছুটে চলা অজানা পথ।
কষ্টের আকুলতা বুঝবার সে মায়া নেই তোমার;
তবুও যন্ত্রণার কুপে বারবার নিজেকে ডুবিয়ে
পাড়ি দিয়েছে এক অন্ধকার যুগ; বোঝাতে পারিনি।
তবুও মানুষ সবকিছু হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায়
নতুন করে নোঙ্গর ফেলে কোন এক ঘাটে
জাহাজ ডুবে যাওয়ার ভয়ে যাত্রাভঙ্গ দিয়েছে কি মানুষ?
কভুও কখনও কি ওঠেনি জাহাজে?
যে পাখি
চুনি পান্না হীরার প্রলোভীত মহে মোহিত হয়ে
উচ্চভিলাষী আকাঙ্ক্ষায় হাত বাড়ায়
সেও থেমে যাবে একদিন। কোন এক উচ্চবিলাসী তীরন্দাজের (শিকারির) হাতে তাক করা তীর বিদ্ধ হয়ে।
আকাশের তারকাপুঞ্জ ও খসে পরে
কোন এক শক্তির আঘাতে
তবে তোমরা কি তা নিয়ে বিচলিত নও
সবুজে ঘেরা সুউচ্চ সূচালো পাহাড় মেঘের ধাক্কায় বজ্র নামে জমিনে।
আমরা স্থির দাঁড়িয়ে দেখি
অস্তিত্বের কলরব কোথায় গিয়ে থেমে যায়
তবুও তা উপলব্ধি করি না।
কিন্তু ভালোবাসা থেমে যায়
ভুল বোঝাবুঝি ঘৃণা কিংবা তৃতীয় প্রলোভিত
বহতা নদীর জলে ভাসিয়ে।
আমাদের আবারও দেখা হবে
গোলাকার পৃথিবীর এই মেটোপথ ধরে
আমাদের আবারও দেখা হবে
চলমান এই জনযাত্রায়। পরিচিত হওয়া,
পরিচিত ছিলাম, এই মুচকি হাসিতে
কিম্বা কষ্টের বুনো যাত্রায় আমাদের অতীত
চলে যাবে দূর আকাশে।
এখানে আমাদের বর্তমান বলে কিছু থাকবে না
হয়তো কোনো স্মৃতির পাতা থেকে
নিজেদের কষ্টের বুনোহাঁস ভেসে উঠবে
অনন্ত আকুলতায়। যেখানে আমরা
নিজেদের ভুল গুলো পরিমাপ করে
বুঝে নিতে পারি, বুঝে নিতে পারব।
যন্ত্রণায় বিদ্ধ কষ্টের করাঘাত ভেঙে দিয়ে মন।
পুরাকালে আমরা মিলিত হয়েছিলাম
কোন এক সুন্দর সুসময়ে।
তোমার এখন ভেঙ্গে ফেলা বেরি
মুক্ত ডানার মতো দুই দুইটি পাখম
যেখানে খুশি যেতে পারো।
এখানে চলাচলের কোন পাসপোর্ট নেই
আচমকা বুকে কোন বিরহ নেই
বেদনা নেই যন্ত্রণা ক্ষত নেই,
কারণ তোমার মনটাই নেই হয়তো অতীতেও ছিলনা।
কালো পর্দার আড়ালে যে চোখ আছে
মুখ আছে শরীর বেঁধে রাখা ঢেকে রাখা
এক ঝটকায় খুলে ফেলো অন্তরের চোখ
কৃষি অপরাধ কি সেই ভুল কি ছিল সেই প্রলুব্ধ তা
যার জন্য মোহিত হয়ে ভেঙ্গে ফেলো জীবনের সেই পরিনাম।
অর্থের প্রলুব্ধ মহে আমি নিজেকে কোনদিন ছোট করিনি।
তবে কি এটাই সেই জীবন?
জীবনের কি আর কোন কিছু বাকি রয়েছে?
জীবন থেমে যাওয়া এক বৃক্ষের মত
যখন অস্তিত্বের কলরব থেমে যায় তখন নিরপেক্ষ সমান মানুষ।
মনে রেখেছ কি সেই অতীতের গল্পকথা
একেকটি মেসেজ, নিজেকের সাজানো
জীবনের অপেক্ষামান এক একটি স্মৃতি
একেকটি অপেক্ষা যা কষ্টের দাবানলে পুড়ে
নিজেকে প্রসিদ্ধ করে শূন্যতায় ফিরে যায় সবকিছু।
তবুও হাজারো চেষ্টায় ভুলতে চাইলেও
কখনো ভুলতে পারিনি, ভুলতে পারবো না।
সময় চলে যায় তার অদৃশ্য গতিতে
দিন চলে যায়, মাস চলে যায়
নিয়ম করে বছরের পর বছর চলে যায়
স্মৃতি রয়ে যায় অন্তরের অবোধ্য কুঠিরে
যেখানে তুমি আছো থাকবে মন ভাঙ্গার মসনদে যেখানে বসে আছ তুমি।
আমি এখন রাতের আকাশের চাঁদ থেকে
রূপালী আলোর সুগন্ধি নিয়ে
সোনালী কলমের কালি ফুরিয়ে অন্তরে ভাসমান কিছু শব্দ সাজাই।
ভাল লাগলো ,মুগ্ধ হলাম