• জীবন কি?
• জীবনের পরিভাষা কি?
• আমাদের এই ব্রহ্মাণ্ডের সকল বস্তু কি জীবনের
অস্তিত্ব প্রমাণ?
• এই ব্রহ্মাণ্ড কি?
• এই ব্রহ্মাণ্ডের কি জীবন নেই?
• ব্রহ্মাণ্ড কি জীবন নয়?
মানব অস্তিত্বের ৪৬ হাজার বছরের ইতিহাস একদিনে তৈরি হয়নি। এটা রেভ্যুলেশন এর মাধ্যমে অতীত থেকে বর্তমান বর্তমান থেকে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলছে।
• এখানে আর কি কোনো সীমাবদ্ধতা রয়েছে?
• আর কি কোন বিবর্তনের পথ রচিত হচ্ছে?
হয়তো হচ্ছে আমরা তা বুঝতে পারছিনা প্রকৃতিতে যা ঘটে চলছে সেটা নানাভাবে উঠে আসে কিন্তু আমাদের এই বিবর্তনের পথ ধরে আপন অস্তিত্বের জেগে ওঠা এক জটিল সমীকরণ।
এভাবেই প্রত্যেকটি বস্তু কিম্বা প্রত্যেকটি কণার উদ্ভাবিত জীবনীশক্তি মানুষকে পৌঁছে দিয়েছে এক অনন্যতর জীবনের দিকে।
যা থেকে মানুষ আজ আহরণ করছে এত কিছু
যা থেকে মানুষ ভবিষ্যতের দিকে ছুটে চলছে এক অমর পথের অমোঘ যাত্রায়।
• প্রাচীনকাল থেকে আমাদের বর্তমান সভ্যতার জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে মানবের অজস্র গবেষণায় সম্ভবত মানুষ তার অজান্তে তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সৃষ্টির প্রত্যেকটি বিন্দুকে একে একে যত্নের সহিত জীবন দিয়েছেন। সেই হিসেবে বলা যায় সভ্যতার অগ্রযাত্রায় মানুষ তাদের জীবন পরিচালনার জন্য নিজেকে আরও শক্তিশালী আরও দুর্বার দুর্দম ঘোড়ায় সওয়ার করে জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে তার শক্তিকে বাড়িয়ে চলছে।
মানুষ আজ আকাশে ওড়ে আকাশপথে বিচরণ করে। চাঁদে যায় মার্চে যায় যায় এক গ্রহ থেকে আরেক গ্রহে। তারা এখন নতুন একটি কলোনি তৈরির প্ল্যান করছে। এবং তারা একদিন ঠিকই প্রতিস্থাপন করবে সেই কলোনি তিনি মানবসভ্যতা নতুন করে বেঁচে থাকার স্বাদ গ্রহণ করবে আরেকটি গ্রহে। তাইতো মানুষের জটিল-কঠিন পথকে সহজ করার জন্য তাদের সঞ্চারিত জ্ঞানের মাধ্যমে খুবই নিখুঁতভাবে সাফল্যের সহিত তার যাত্রাপথকে উন্নততর করে চলছে এবং নিত্য নতুন সৃষ্টির দিকে নিজেকে মনোনিবেশ করেছে।
আমরা তা দেখছি আহরণ করছি নিত্যনতুন সৃষ্টি। তাদের সুদুরপ্রসারী চিন্তাভাবনার মাধ্যমে যেভাবে তাদের মস্তিষ্ক জ্ঞানকে অনন্যও উন্নততর করেছেন এক মহাসমুদ্র জ্ঞানের চেয়েও অসীম।
তাইতো আমরা প্রতিনিয়ত অনুভব করছি
• একটি গাড়িতেও জীবন দিয়েছে!
• একটা ট্রেনের ও জীবন আছে
• একটি ক্যামেরার ও জীবন দিয়েছে
• ইলেকট্রিসিটির ও জীবন রয়েছে
• হাতে রাখা মোবাইলটার ও জীবন রয়েছে
• ব্যবহার করার ল্যাপটপ কম্পিউটার কারো জীবন রয়েছে
• আকাশে উড্ডয়ন রত ওই যানেরও জীবন রয়েছে।
আমাদের এই অন্তর্জগৎ মহা ব্রক্ষ্মাণ্ডের চেয়েও দীর্ঘ তার চেয়েও দূরদর্শী দৃষ্টি শক্তি সম্পন্ন তার চেয়েও বড় তার চেয়েও দ্রুতগামী। ব্রহ্মাণ্ডের এই জগত সংসারে মানুষ অর্জন করেছে এক মহা জ্ঞানশক্তি, বুদ্ধি, বিবেক, চেতনাবোধ যা এক মহা চিন্তার ভান্ডার। এক মহা অসীম জানার ভান্ডার। এই মহাজাগতিক সংসারে মানুষের তৈরি যা কিছু রয়েছে প্রত্যেকটি বস্তুরই জীবন রয়েছে?
তাহলে জীবন ছাড়া কি রয়েছে! প্রকৃতিতে বয়ে চলা বেড়ে ওঠা যা কিছু রয়েছে প্রত্যেকটি বস্তু প্রত্যেকটি কণারই জীবন রয়েছে। সম্ভবত আমরা যেখানে জীবনের লক্ষণ আমাদের মস্তিষ্ক জ্ঞানে আজো কোনভাবে কোন অবস্থাতেই খুঁজে পাইনি সেখানে আরো গভীরভাবে জীবন তার অস্তিত্ব রেখে যায়। সেখানে আরও জ্ঞান আহরণের ব্যাপার রয়েছে সেখানে আরও চিন্তার ব্যাপার রয়েছে গবেষণার ব্যাপার রয়েছে আর মানুষ এখানে পৌঁছাবে এটা নিশ্চিত।
কেউ কেউ বলতে পারে … সেখানেই হয়তো আমাদের সীমাবদ্ধতা। আমি যতটুকু বুঝি আমাদের যেখানেই সীমাবদ্ধতা ঠিক সেখান থেকেই শুরু হয় জানবার। যা আরো গভীরভাবে জ্ঞান অর্জনের পথ উন্মোচন করে। সৃষ্টির পথ উন্মোচিত করে রহস্যের পথ উন্মোচিত করে।
অত্যন্ত সুন্দর লেখা। শুভ কামনা
আমাদের যেখানেই সীমাবদ্ধতা ঠিক সেখান থেকেই শুরু হয় জানবার। যা আরো গভীরভাবে জ্ঞান অর্জনের পথ উন্মোচন করে। সৃষ্টির পথ উন্মোচিত করে রহস্যের পথ উন্মোচিত করে।