জীবন এক নৈব্যক্তিক প্রশ্নের সমাহার
ভেতরের কামনাগুলো দক্ষ জাহাজের
ক্যাপ্টেনের মতো হলে বেশ ভালো হতো।
আদেশ নির্দেশ সব সংকাহীনভাবে
একসাথেই একীভূত হতো।
আসলে বন্ধনহীন কামনা
সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলেনা
ব্যক্তিত্বের পরিণত সম্পর্ক যদি
আভিজাত্যের প্রমোদ দিশায় বদলানো যেত
তবে হয়তো জীবন তার নিবিড় আলিঙ্গনে
হারাতো সুনিবিড় সরলতা।
যখন, এলোমেলো দহনে জ্বলেছি খরায়
আবার গড়েছি নিজেই নিজেকে।
যখন কেউ পাশে থাকার কথা
তখন চলেছে দূরে
যখন কেউ থাকার কথা দূরে
তখন এসেছে কাছে
আসলে প্রয়োজনহীন সবকিছু যেন
এলোমেলো ভাবে ছুটে চলছে
জীবনের এই অদম্য শিখায় জ্বলতে জ্বলতে
পথের পরে পথ পাড়ি দিয়েছি
এমন প্রকৃত কাউকেই পাইনি।
মৃত্যু তো এক শব্দহীন একনিষ্ঠ সংস্কৃতি
তার স্বরূপ স্বীকৃত ঈর্ষনীয়।
মহাকালের যাত্রায় যে গৌরবান্বিত পথ পাড়ি দিয়েছে
অধরে অধরে তার শব্দহীন উচ্চারিত কন্ঠস্বর
স্বর বর্ণের সুকোমল নস্টালজিয়া
এই সময়ের আলোকে দিগন্তর ওপারে ঘুমিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাস,
রাত্রি দিনের অসমাপ্ত পথ স্পর্শ বিহীন চিহ্ন বিবর্তনের খেলায় মাতে
আমার কাছে কারো কারো জীবন
চিহ্ন বিহীন কষ্টের বিষন্ন সুটকেস
কোনদিন অধিকারের স্বীকৃতি পায়নি
যতবার প্রতিবাদ করেছে
ততবারই হয়েছে আহত রক্তাক্ত।
ততবারই দরজা থেকে ধাক্কা মেরে দেখিয়েছে অজানা পথ।
হ্যাঁ, আজ আমি নিজেই নিজেকে বলি,
মনে করি এ পথ তোমার…
আমি বারবার জেনেছি চেহারায় পুরুষ নয়
নারীর মতো পুরুষকে পুরুষ হয়ে উঠতে হয়
আর নারীকে নারী;
যেখানে অপরিপক্ক মস্তিষ্ক দ্বিধাদ্বন্দ মান
আগন্তকের অভাগ্য খোঁজে
সেখানে চোখ তার বৃষ্টির ধারা ছুঁয়ে
এগিয়ে যায় দূরবর্তী সমুদ্রের পথে
যেখানে একরাশ ঝড়ের পূর্বাভাস
নীলকন্ঠী সঙ্গীতের সুর
আর নিরানন্দ শঙ্খচিলের
পথ ছুঁয়ে ভেসে চলে সমুদ্রের বুকে
এক তামাটে শরীর।
নারী যখন পুরুষের মন খোঁজেনা
নারী যখন বাঁধাকপির মত নিজেকে অনুভব করে না
তখন অস্ফুট কন্ঠক হীন চিমনিতে কয়লার
ধোঁয়ায় জেগে ওঠে শ্বাসকষ্টের জীবন
তুমি হয়তো জানবে না কোনদিন।
অস্ফুট কন্ঠক হীন চিমনিতে কয়লার
ধোঁয়ায় জেগে ওঠে শ্বাসকষ্টের জীবন
তুমি হয়তো জানবে না কোনদিন।