শহরে পা বাড়ালে আজকাল অতটা ফিলিংস আসে না।
সে জন্য বলা যায়, সংক্ষিপ্ত ভ্রমণে-ঢুকে পড়ো, সেখানে
মহানগরীর শরবত বিক্রেতা কী একটা সোনার বিস্কুটের
মতো মুখ নিয়ে বসে আছে। আর প্রসাধনীর বাইরে
স্বাগতিক উপশহরে ফুরফুরে রোদ, শৈলীগত টেকনিকে
প্রথম ঘরভর্তি শিশুর চোখে ঘুমহীন আনন্দ-সাফ্লাই দেয়।
এই অহমদৃশ্য যেমন দেখা যায় সার্বভৌম সন্ধ্যায়-গ্রামীণ
বাতাসে কেবল প্রতিবেশীর পাড়াভাঙা দুপুরের গাঙচিল
মেয়ে-প্রান্ত বিকেল,লাল জামরুলের ফ্রককোটে
ফুটতেছে স্নিগ্ধ জবাব,জবানীতে-ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলতি
বছরের উজাড় হওয়া একজোড়া ড্রাগনফলের মতো খ্যাতি,
উপচে পড়া গোপন শিল্প; চা দোকানের
চুমুকখানায়-শেষপর্যন্ত আদা আর চিনির স্বাদে গড়ায়-
নীল অ্যালবাম হতে মহালগ্নি সুর পাড়ি দেওয়া সেয়ান
উপলদ্ধি। এই হল যাপন, নামদার দাম্পত্যের চিকন সুর-
উঁকি মারে সবুজপাতা হলুদ হবার আগে তবু মিথ ফুরোয়
না। মেথরবাড়ির চাঁদ যেন বিষণ্ণপ্রধান কবি আলগোছে
সেতু মাড়িয়ে যাচ্ছে। উদ্ভাসিত যোগাযোগে-আজ তাই
মনে হল!
এই হল যাপন, নামদার দাম্পত্যের চিকন সুর-
উঁকি মারে সবুজপাতা হলুদ হবার আগে তবু মিথ ফুরোয় না।