দর্শনোৎকণ্ঠা

দর্শনোৎকণ্ঠা

প্রেমদাস

কি করিব কোথা যাব কি হৈবে উপায়
যারে না দেখিলে মরি তারে না দেখায়
যার লাগি সদা প্রাণ আনচান করে
মোরে উপদেশ করে পাসরিতে তারে
এতদিন ধরি মুঞি হেন নাহি জানি
যে মোর দুখের দুখী তার হেন বাণী
আন ছলে রহি কত করে কানাকানি
প্রেমদাস বলে তুমি বড় অভিমানী।

5 thoughts on “দর্শনোৎকণ্ঠা

  1. ‘এতদিন ধরি মুঞি হেন নাহি জানি
    যে মোর দুখের দুখী তার হেন বাণী।’

    __ চেনা চেনা লাগে; কিন্তু এই মুহূর্তে মনে আসছে না;
    কি ভাষারীতিতে এই লিখাটি রচিত জানতে ইচ্ছে করছে প্রিয় কবি তুবা। :)

  2. মনে হচ্ছে সেই পদাবলীর যুগে চলে গেলাম।

    ইউ আর গ্রেটhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    1. প্রেমদাস কবি ও পদকর্তা ! নম্বীপের অন্তর্গত গোকুলনগর বা কুলির গ্রামে বাস। কাশুপগোত্রীয় গঙ্গাদাস বৃদ্ধ প্রপিতামহ মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের সমসাময়িক ছিলেন ; সুতরাং ষোড়শ শতাদের মধ্যভাগ ইহার জন্মকাল অনুমান করা যাইতে পারে। ইনি ষোড়শ বর্ষে বৈরাগ্য অবলম্বন করিয়া গুরুদন্তু প্রেমদাস নামে অভিহিত হন। ১৬৩৪ শকে প্রেমদাস কৰিকৰ্ণপুরের চৈতন্যচক্ৰোদয় নাটকের পদ্যানুবাদ প্রকাশ করেন। ইহাই প্রেমদাসের প্রথম রচনা । পরে ১৬৩৮ শকে ইনি ৰংগীশিক্ষা প্রণয়ন করেন । প্রেমদাস স্বপ্নে গৌরাঙ্গদেবকে দর্শন করিয়া সুমধুর গৌরলীলাবিষয়ক পদাবলী প্রণয়ন করেন । এই পদাবলীতে কবির সমধিক কৃতিত্ব প্রকাশ পাইয়াছে। ৰীমহাপ্রভুর উদয়বিষয়ক পদটী পরম্পরিত রূপকের একট প্রকৃষ্ট উদাহরণ, এবং ঐগৌরাঙ্গের রূপবর্ণনার পদটা প্রাচীন কবিকুলের রূপবর্ণনার জামর্শ বলিলেও অত্যুক্তি হয় না । প্রেমদাসের অনেক পদ নরোত্তম দাসের প্রার্থনার স্থায় সুমধুর বলিয়া বোধ হয়। প্রেমদাস বৈষ্ণবশাস্ত্রে প্রগাঢ় পণ্ডিত ছিলেন ।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।