“বিদ্বত্ত্বঞ্চ ণৃপত্ত্বঞ্চ নৈব তুল্যং কদাচন
স্বদেশে পূজ্যতে রাজা বিদ্বান সর্বত্র পূজ্যতে।“
তুমি বিষ্ণুগুপ্ত, তুমি কৌটিল্য, তুমিই চাণক্য
অর্থশাস্ত্রের প্রাণপ্রদীপ হে তক্ষশীলাপুত্র
তোমার অভাব রয়ে গেছে এই বঙ্গদেশে।
দেশ মাতা, দেশ ভ্রাতা, দেশ সর্বহরা
রাজন্যকূল আমার মামাতো…
রাজারা বাড়ছে ক্রমাগত
বিদ্বানের অভাবে দেশ মরুভূমি
চাণক্য প্রভু’হে তুমি আরবার জন্মাও এ দেশে।
চলতে চলতে কবে খসে গেছে দেশের জুতোর তলা
বিদেশী কেউ বলেছিল, আহারে মৃত্যু এসেছিল পিছন থেকে
মাতৃজঠরে শিশুটি ফুঁসে উঠেছে এসব শুনে
তবু বিকার নেই কারো
মৃতপ্রায় দেশে সবাই হাঁটে, খায়-দায় আগেরই মত।
নির্ধারন হোক এই মাটির সীমা
অনর্থ নিয়ে যাক বিল গেটস বা অন্য কেউ
আন্তর্জালে সারাদিন প্রেমের মাছ না ধরে
চলে যাক সবাই ক্ষেত-খামারে
চাণক্য শিক্ষায় শিক্ষিত একটি স্বদেশ চাই।
আহবান সৎ এবং সুন্দর প্রিয় বন্ধু তুবা।
আপনার কবিতাকে আমি শুধু কবিতাই বলি না;
প্রমিত ভাষার যে অপরূপ শৈলী সেটা শেখারও অনন্য মাধ্যম মনে করি।
আমার কবিতায় আপনার মন্তব্যগুলো আমাকে দারুন অনুপ্রেরণা যোগায়। স্তব্ধ হয়ে আপনার মন্তব্য পড়ি। আমাকে নিয়ে আপনার যে আশা সেটা যেন অটুট থাকে, এটাই আমার প্রচেষ্টা।
ভাগিনা বলিল, “মহারাজ, পাখিটার শিক্ষা পুরা হইয়াছে।”
রাজা শুধাইলেন, “ও কি আর লাফায়।”
ভাগিনা বলিল, “আরে রাম! ”
“আর কি ওড়ে।”
“না।”
“আর কি গান গায়।”
“না।”
“দানা না পাইলে আর কি চেঁচায়।”
“না।”
রাজা বলিলেন, “একবার পাখিটাকে আনো তো, দেখি।”
পাখি আসিল। সঙ্গে কোতোয়াল আসিল, পাইক আসিল, ঘোড়সওয়ার আসিল। রাজা পাখিটাকে টিপিলেন, সে হাঁ করিল না, হুঁ করিল না। কেবল তার পেটের মধ্যে পুঁথির শুকনো পাতা খস্খস্ গজ্গজ্ করিতে লাগিল।
আপনার কবিতা পড়ে আমার এই উদ্ধৃতিটা মনে পড়ল।
খুব চমকে উঠলাম। কতকাল আগে পড়া কয়েকটা লাইন আবারো পড়তে পেলাম। ভালো থাকুন।
“বিদ্বত্ত্বঞ্চ ণৃপত্ত্বঞ্চ নৈব তুল্যং কদাচন
স্বদেশে পূজ্যতে রাজা বিদ্বান সর্বত্র পূজ্যতে।“