মন্দ্রসপ্তক

m3

কেবলই পিছিয়ে যায় নীলিমারা দূর থেকে দূরে
গ্যালাক্সির ঘুরপথে পথ খোঁজে অমোঘ কুয়াশা
অসহ্য বদ্বীপ ডাকে ব্যর্থতাকে শূন্য অন্তঃপুরে
পোকা- মাকড়ের চোখে ছায়া ফেলে নীরক্ত পূর্বাশা

ঈষদুষ্ণ অন্ধকারে বৃষ্টি ঝরে নিরর্থক মন্ত্রে
চন্দনের বনে ব্যর্থ গবেষণা ফেলে দীর্ঘশ্বাস
আমিষের সারবস্তু পাক খায় অতীতের অন্ত্রে
আত্মহননের স্বপ্নে জেগে ওঠে পাথুরে প্রবাস

মন্দ্রসপ্তকের জাদু ডেকে আনে সমুদ্র হাঙর
বিস্ফোরণে ফেটে পড়ে অনন্তের অরূপ চাঙর।

m1

( মন্দ্রসপ্তক = মন্দ্র মানে মুদ্রা। সেটা নাচ বা গানের মুদ্রা হতে পারে। পয়সা বা টাকা নয়। সপ্তক মানে হচ্ছে সাত। সারেগামা- র সা যখন শুরু হয় সেটা উঁচুতে উঠতে থাকে। সা শেষ হয় নীচের দিকে এসে। তারপর পা শুরু। সা র শুরু উপরে হয়ে নীচে এসে শেষ হয় এবং পা শুরু হয়। এর মধ্যবর্তী সময়টুকু হচ্ছে মন্দ্রসপ্তক। এটার অন্য একটি নামও আছে তা হচ্ছে তারাসপ্তক। … রুদ্র-অক্ষর )

মুরুব্বী সম্পর্কে

আমি আজাদ কাশ্মীর জামান। আছি মুরুব্বী নামের অন্তরালে। কবিতা পড়ি, কবিতা লিখার চেষ্টা করি। ভেতরে আছে বাউল মন। খুঁজে ফিরি তাকে। জানা হয়নি এখনো। ঘুরতে ঘুরতে আজ পৃথিবীর স্বর্গে। এখানেই পরিচয় হয়েছিলো, কবিতা পাগল এক মানুষের সংগে। নাম জিয়া রায়হান। যার কিছু শব্দকথা, এ্যাতোদিন ভরেছে আমার পাতা। উথাল পাথাল হাওয়া, হৃদয়ে জাগালো দোলা পেলাম কিছু সমমনা মানুষের দ্যাখা। দিনভর আর রাতভর শুধু কবিতায় গেলো বেলা। সব ছেড়েছি- সব পেয়েছি- ভুলতে পারিনি শুধু কবিতার অশ্রুসজল চোখ। ভালো লাগা থেকেই দু’ একটা শব্দ সাজাবার চেষ্টা করি। মাতাল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাটির কলসে, তবলার ধ্বণী তুলে গাইতে পারি বেসুরো গান- সুর নামের অন্তরালে। ভালোলাগে পোষা কবুতরের পালক ললাটে ছোঁয়াতে। ফুল থেকে রং নিয়ে, খেলি হোলিখেলা, হৃদয়ের উঠোনে। আজ তারি ধমকে এলাম স্বরূপে- স্বকথায় ভরাবো পাতা।   hits counter