এক
যদি প্রেমকে নিজের আত্মা বলে নিই
টেবিলে মুখোমুখি কনুইয়ের ভরে বসি আমি আর নোনা পৃথিবী
যদি ছবিকার মেরে দিয়ে সারা গায়ে ছবি মেখে ফেলি
নত করি পুরুষাঙ্গ, মৃদু করি মাথার নি:শ্বাস
উঁচুভাবে মণ্ড তুলে নিজেকে গভীর করে এতটা খাওয়াই
তবে ভাই
তোমাদের পেটে পেটে সূর্যোদয় হবে
দুই
পরিশিষ্টে এসেছি, যাব শীতলযাত্রায়
(যা:, প্রথমেই সব ফেচকে দিলাম)
শন শন ক’রে বিভীষণ ওজনের দু’চাকা
কুল-ভাঙা স্টার্ট নিয়ে বে-জায়গায় বন্ধ হয়ে যায়
টেক্কা এসে ঘেঁটি ধরে তুলে নিচ্ছে চিঁড়ের গোলাম
জাগরণ চোখের আড়ালে, তার মৃত্যু নাম
এই ব’লে লেজ খাড়া তুলে রাখো বিশ্বাস
আর ভাবো, পরিশিষ্টে কী নতুন বাঁক নিতে পারে কিসসা…
তিন
রাত্রি যবে না ঘুমায় আমার ভিতরে
যথা বুকের উপরে স্বেদ, ছিদ্র ছিদ্র পড়ে থাকে টিয়ার বাসায়
নিজের মুখের গন্ধে লুপ্ত সোপান খোলে — হা শৈশব
নিজের অসুখ আমাকে পড়তে দেয় দর্শনের শেষ পাতা
ঈশ্বরজয়ের হাততালি
ওরে মন, বীজ ফেলে যাওয়ার আশায় কাপাস তুলোর বেশি ওপরে ওঠোনি…
রাত্রি যবে উপবিষ্ট আমার ভিতরে
টুথপেস্ট-সাদা ভোর হয়
সুফির উল্লাসগান অনামিষ জল থেকে উপরে উৎখাত করে
মাছের পিচ্ছিল
সেখানে চক্ষু রেখে তাড়াতাড়ি শেষ পংক্তি লিখি
অথবা যাহা বা লিখি, শেষ পংক্তি হয়
(ক্রমশিত…)
চমৎকার লিখা প্রিয় চন্দন দা। এবং বরাবরের মতো সুন্দর।