তুমি শরতে আমাকে একবার দেখে যেয়ো
শিশু নিমপাতার পিঠে শতবিকশিত আলো পড়ে আছে
বাতাসের মাথায় দেশলাই ছোঁয়াতেই ধূপকাঠি হল
তুমি এখন কোন হাসিসমাবেশ বকফুলভাজা অথবা
উদ্যান সংস্কারের মধ্যে আছো, কীভাবে নিষ্পলক বৃষ্টি আর
সাবসিকোয়েন্ট চুমুর অধিকারে ফেলে রেখেছ অফুরন্ত ডানহাত
আমি তো জানি না
তোমার রক্তে আজ ক’ফোঁটা শিশির, মাথার চুলে ক’টা বেদানার দানা!
দূর থেকে ঋতুগুলো আসে
রাস্তার আলোজ্বলা বাতায়ন নিভিয়ে নিভিয়ে
যখন সুপ্রভাত আর শুভরাতের মধ্যে নাগাড়ে ঝড়ের বাতাস বয়ে যাচ্ছে
যখন কুয়াশাকে অনন্তমহিমা আর অন্ধকারকে ত্রিদিবেশ মনে হয়
তুমি সেই রকম জুন আর অঘ্রানে একবার আমাকে দেখে যেয়ো
শার্টের দ্বিতীয় বোতাম জগৎসমক্ষে আঁকড়েধরা
মুঠো নিয়ে পৌঁছবে না জানি। আরশোলার নিচু বস্তি,
চিৎকার পানের পিক, ফলের কনিষ্ঠ ভুতি — এইসব
কাদাজলে ভীষণ বিরক্ত হবে, তোমার ফর্সা পায়ের গোছে
তাকিয়ে থাকবে রিকশাওলা।
তবু একশেষবার যদি মনে হয় — নিজের এলেবেলে পরমাত্মার কাঁধে
মাথা রেখে আহা কেউ ঘুমিয়ে পড়েছে
স্টেশানের কাউন্টারে হাত বাড়িয়ে ব’লো
বাতিল সম্পর্ক, একটা, রিটার্ন…
[“সহ্যকে যন্ত্রণা করি” (২০১৮) বই থেকে]
শুভ সকাল প্রিয় কবি চন্দন দা।
আপনার প্রতিটি কবিতা আমার কাছে প্রকৃতই কবিতা মনে হয়। স্যাল্যূট।
দারুন লিখেছেন ভাই, অসাধারন




দুই একটা টাইপো আছে কি?
ভালোবাসা
হ্যাঁ, দাদা। চিৎকার বানানটা ভুল হয়েছিল, কেন না, আমি তখন বাংলা টাইপে খণ্ড ত লিখতে জানতাম না। অন্যসব ঠিকই আছে।
তোমার রক্তে আজ ক’ফোঁটা শিশির, মাথার চুলে ক’টা বেদানার দানা!
অসাধারণ কাব্যময়তা। শুভ সকাল কবি।
অসাধারণ কবি চন্দন দা।
ভালো লাগা রাখছি কবি চন্দন দা।
সুন্দর কবিতা নিঃসন্দেহে।
কবিতাটি ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা কবি চন্দন দা।