ঐতিহ্য

বউ তখন আনকোরা। কেশবতী কন্যা আর চাবুক হাতের রান্না। শুধু তরকারিতে, মাছের ঝোলে মাথার চুল পড়ে থাকে, বড্ডো ঘেন্নার জিনিস।

বরও টাটকাই তো। তাই গরাস মাখতে গিয়ে ইলেকট্রিক তারে বসা কাকের সারির মতো লম্বা চুলের গায়ে ভাতের দানা ঝুলতে দেখলে বমি পেয়ে যায়। খেতে বসে মনকষাকষি।

আস্তে আস্তে অপছন্দকে ঐতিহ্য হিসেবে মেনে নিল সংসার। তিন-দশ তিরিশ বছর পার করে এখন গিন্নির মাথা কেশবিরল, রান্নার হাতেও পুরনো ম্যাজিক আর নেই।

আজ সকালে বাজারের ফর্দ দেওয়া হচ্ছে কর্তাকে:-
স্টেশান-বাজারে পেলে একটু খলসে মাছ এনো, কাঁচালংকা, কালোজিরে পঞ্চাশ গ্রাম বাসুদার দোকান থেকে, আর আর… সেই জিনিস দুচারটে।
কোন জিনিস?
ওই যে গো, বিউটি পার্লারে গিয়ে বললেই পাবে।

দেখি, রান্নায় পুরনো তার ফিরে আসে কিনা!

6 thoughts on “ঐতিহ্য

  1. অবশ্যই ইন্টারেস্টিং একটি লিখা। ঘরকন্না যারা করেন তাদের বিশ্বাস হবে।
    ঐতিহ্যই বটে। অভিনন্দন প্রিয় চন্দন দা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_smile.gif

    1. মন্তব্য শুনে আনন্দ হল, দাদা। অভিনন্দন আপনাকেও।

  2. রান্নার ফর্ম ফিরে আসবে – কি যে কইলেন কিছু বুঝলাম না । সে যাই হোক হিউমার গল্পের জন্য অত্যাবশ্যক । শুভেচ্ছা জানবেন ।

    1. গল্পের কাহিনি বোঝা গেছে তো? না হলে একটু ব্যাখ্যা করে দেওয়া যায়।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।