সংকীর্তন

যেভাবে বুকের মধ্যে বরবউ নামিয়ে খালি রিকশা ফিরে যায়
যেভাবে সাদা সন্দেশ হয়ে অনুরোধের রোদ ফুটে আছে
যেখানে বেড়াল বাচ্চা-পাড়ার জায়গা খুঁজছিল — মাথায় গুলাম আলি খান

সকালবেলার সুর চন্দনসমান

প্রতিদিন দশ মিনিট আকাশের ক্লাস
খবরদার কেউ যদি সূর্য দেখে চোখের পলক ফেলেছিস!
না হলে কী করে হবে পায়েসগাছ রান্নাঘরের পেছনে?
যেদিন বাজারের পয়সা থাকে না, তিনটে পায়েসপাতা
কড়াইতে ফেললেই ঘিভাত, মাংস, পাঁপড়, মিষ্টি পান…

সকালবেলার স্বপ্ন চন্দনসমান

দুটো ইঁটে চারভাঁজ বস্তা পাতা জাজমেন্ট সিট
দু’পায়ের পাতার মধ্যে কালোবজ্র হাতুড়ি পড়ছে
ঘুরে-ফিরে যতবার দ্যাখো, খোয়াভাঙা মিস্তিরি
একটু করে উঠে যাচ্ছে নিজস্ব টিলায় আলিশান

সকালবেলার ঘাম চন্দনসমান

আজ আবার বেহুঁশ জ্বর আপনার বন্ধুর
সারা গা ঝাঁঝরা, কোথা থেকে রক্ত টানে বলুন তো!
মুখে কিছু দিলে বমি, শুয়ে আছে, শুয়েই — যেন বিছানা নক্ষত্রযান

সমস্ত, যে কোনও যাওয়া…

11 thoughts on “সংকীর্তন

  1. সংকীর্তন বারকয়েক পড়লাম প্রিয় চন্দন দা।
    আপনাকে আমার বহুমাত্রিক চেতনার লিখক মনে হয়।
    অনেককে দেখেছি বিশেষ ধারার লিখায় নিজেকে বন্দী করে ফেলেন। আপনি বিপরীত। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_smile.gif

    1. আমি একরকম লিখতে পারি না। হতে পারে আমার মানসিক গঠন খুব গোছানো নয়, সেই জন্যেই।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।