১.
— আপনার চোখ অন্ধকারে জ্বলে নাকি?
— জ্বলে তো, আপনি সেটা দেখবেনও
আমাকে কুকুর ভেবে একটু বিষণ্ণও হবেন
অথচ আমার মন, যা কি-না আলো বা অন্ধকারে সমান
আপনি কিনতু তার জ্বলে উঠবার কারনটা জানতে চাননি!
— যদি জানতে চাই, জানাবেন?
— ইয়ে, মানে………
— থাক আর বলতে হবে না………
এক নারী আজব অহংকারে উদাসীন হতেই পারে
এক পুরুষ সংকোচে দুই পা এগুতে না-ই পারে
অথচ নারীটি চাইছে আরো উজাড় হওয়া দেখতে
পুরুষের মন খারাপ থাকে দিনভর।
২.
–আমার মনটা দিনরাত সমানভাবে জ্বলে জ্বলে
আলো ছড়ায়, কারনটা বলি?
–সত্যি? বলেন, প্লীজ বলেন আমি কারন জানতে চাই
–উঁহু বলা যাবে না
–কেন? এত হেঁয়ালি কেন? মিষ্টি ব্যাথায় জ্বলছি ভীষন
এবার উত্তর চাই, বলেন প্লীজ
–কিসের উত্তর? তুমি আপনপর চেনো না?
কারন জানতে চাও কেন?
কেনই বা এই আপনি-আজ্ঞের দূরত্ব?
আগে এসবের জবাব দাও উত্তর নিজেই পাবে।
পুরুষটা মাতালের মত টলছে আর হাসছে
নারীও লাজুক প্রজাপতিটাকে উড়িয়ে দিয়ে
স্বস্তির নিঃশ্বাসের ওঠানামায় কেঁদে ফেলে
সীমাহীন আনন্দে সেলফোন মূক হয়ে থাকে কিছুক্ষণ।
৩.
আহ, বেহায়া বৃষ্টি ঠিক এ সময়েই আকাশ কাঁপিয়ে
ঝরে ঝরে পড়ে আমপাতাগুলোর উপর
ঘন্টায় ঘন্টায় বাজে সেলফোনের মিষ্টি রিংটোন আর
ফোনের ভেতর জ্বলে জ্বলে নীল আলো ঝরে বৃষ্টি মোহিনী।
আপনার লিখায় মুগ্ধতা রাখি প্রিয় কবিবন্ধু তুবা।

আপনার বন্ধুতা আমাকেও মুগ্ধ করে দারুন।
চমৎকার লিখেছেন।
শুভেচ্ছা জানবেন
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
ভালো লাগলো কবিতা।
অনেক ধন্যবাদ।
বেশ লাগল ——–
ধন্যবাদ।
সুন্দর কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে পুরো লেখাটি মন কেড়ে নিয়েছে। অসাধারণ এক কথায়। শুভকামনা সতত।
প্রহেলিকা অনেক ধন্যবাদ আর শুভ কামনা জানবেন।