শৈশব বাক্সঃ ৩ অটোগ্রাফঃ

সেলেব্রেটিদের সাথে ফটোগ্রাফ বা অটোগ্রাফ কোনটাতেই কোন কালে কোন আগ্রহ ছিল না। এখনও নেই। নাক উঁচু মেয়েদের এসবে আগ্রহ থাকে না।

বিষয় সেটা না। বিষয় হলো- তখন রীতিমতো সুনীল সমরেশ আর শীর্ষেন্দুর যুগ চলছে। সুনীল বাবু এসেছেন জাতীয় কবিতা উৎসবের অতিথি হিসেবে। এক আপুর তার অটোগ্রাফ চাই-ই চাই। আমাকে সাথে নিয়ে গেলেন। আমি একটু দূরে একটা গাড়ীতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। অটোগ্রাফ ও ফটোগ্রাফ শিকারীদের কাণ্ডটা দেখছি। হঠাৎ লেখক গাড়ীর দিকে এগুতে লাগলেন, বুঝলাম লেখকের গাড়ীর সামনে দাঁড়িয়ে আছি। যেমনি সরে যেতে নিয়েছি অমনি শুনতে পেলাম – ওই মেয়েটিকে আসতে দাও। আমি ‘হা’ হয়ে গেলাম এবং ‘হা’ হয়েই তার দিকে এগিয়ে গেলাম। নাম-টাম জিজ্ঞেস করে হাত বাড়ালেন আমি ‘হা’ হয়েই ব্যাগ থেকে একখানা নোট প্যাড তার দিকে বাড়িয়ে দিলাম।

জীবনের একমাত্র ও শেষমাত্র অটোগ্রাফ।

(পুনঃশ্চ জীবনে একটা অটোগ্রাফ নেবার ইচ্ছে ছিল এবং এখনো আছে। শচীন টেন্ডুলকারের।)

6 thoughts on “শৈশব বাক্সঃ ৩ অটোগ্রাফঃ

  1. বেশ মজার অভিজ্ঞতা আপনার।
    আপনার একখানা অটোগ্রাফ আছে। আমার তাও নেই। জীবনে কোনদিন কারো অটোগ্রাফ নেয়া হলো না। তবে এই অটোগ্রাফখানা পাইলে নিতামঃ

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।