একটি অনুগল্পের অপমৃত্যু অতঃপর-
ঠিক একযুগ বয়সে বালিকা আনা ফ্রাংক হবার স্বপ্নে বিভোর। গোপনে বাবার পুরাতন ডায়েরীটা নিজের সম্পদ বানিয়ে ফেলে। লেখার মান খারাপ না। স্থানীয় দৈনিকে দু-দশটা লেখাও ছাপা হয়।
তার ঠিক আধ যুগ পরে সদ্য কৈশোর পেরুনো তরুণী তার স্বপ্নটাকে খুব হিসাব করে ওয়ারিয়ানা ফালাচি পর্যন্ত নিয়ে যায়। হাত বাড়িয়ে দাও। বালিকা তার হাত বাড়িয়ে দেয় স্বপ্ন ছোঁয়ার সাধে।
তারপর, ঠিক দুই যুগ বয়সে সারাদিনের ক্লান্তির ঘাম শাড়ির আঁচলে মুছে সেদিনের সেই আনা ফ্রাংক কিংবা অর্ধ যুগ আগের ওয়ারিয়ানা ফালাচি বাজার-সদাই এর ফর্দ লিখতে বসে। বাজার-সদাইয়ের হিসাব মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
হিসাব মেলেনা বাজার-সদাই কিংবা জীবনের। সবকিছু বড্ড বেহিসাবি মনে হয়।
জীবনের অধ্যায় গুলোন কত দ্রুতই না বদলে যায়।
হিসাব মেলেনা বাজার-সদাই কিংবা জীবনের। সবকিছু বড্ড বেহিসাবি মনে হয়।
সত্যিই তাই।
শুভেচ্ছা জানবেন
ভালো লাগলো অণুগল্প।
হুমম… বেহিসাবীই বটে।
সম্ভবত আপনার লেখা এই প্রথম পড়লাম, অসাধারণ লিখেছেন। সবচেয়ে যেটা ভাল লাগল বেশি তা হল আপনার প্রকাশ ভঙ্গি দারুন, মুগ্ধ হলাম। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জীবন এমন বেহিসেবীই । সব হিসেব মেনে চলে না ।
অনুগল্প পড়তেই ভালো লাগে । স্বল্প পরিসরে অনেক কথা বলে ফেলা ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।
অদ্ভুত জীবনের পরিচ্ছেদগুলো।