প্রিয় মন। আজ অনেকদিন পর ভীষণ একা লাগছে। যদিও চিরকালই আমি একা, তবু তুই তো ছিলিস কিছুক্ষণের জন্য হলেও। এখন আমি নেট-এ ভবঘুরের মতন ঘুরছি আর পাশে গান চলছে, গান আমার সর্বক্ষণের সঙ্গী। ওই যে গানটা “তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা”
…. .বাজছে এখন….রোজই শুনি …
মনটা আজ কেমন কেমন যেনো। হঠাৎ করে ইচ্ছে হল একটা চিঠি লিখতে। জানিসই তো চিঠি আজও আমার ভীষণ পছন্দের। এই SMS এর যুগেও। একটা মন কেমন করা ব্যপার আছে চিঠিতে। কিন্তু কি লিখি? হুম.. বলতো? ঠিক কি লিখি তোকে?
যে কথা কাউকে বলা হয়নি। যে কথা তোকেও বলা হয়নি। যা থাকে মনের গভীরের সব থেকে সুরক্ষিত কুঠুরিতে লুকনো সবার চোখের আড়ালে। সে সব কথা? শুনবি? না রে,থাক। সেগুলো আমার বড্ডো আপন কথা। যেগুলো এতদিন জেনেছিস, সেগুলো আমার পাড়ার সবাই জানতো। আশেপাশের বাড়ির, আমার ছোটবেলার বন্ধুরা, আমার আত্মীয়স্বজন সব্বাই। তুই নতুন জেনেছিস। আর আমার ভীষণ আপন কথা আমারই থাক।
হাসছিস বুঝি? ভাবছিস মেয়েটা বড্ডো বাজে বকে? ভাবছিস মেয়েটা বড্ডো গায়ে পড়া তো? মিনিমাম personality টুকুও নেই? তা হাস!! জানিস তো, “smiling is good for health”
কি জানিস, আমার যে এখন বড্ডো কথা বলতে ইচ্ছে করছে। জানিস এখন আমি ভীষণ শান্ত হয়ে গেছি, আর কোন দুষ্টুমি করি না। জানিস আজও আমি যত কথা নিজের সাথেই বলি। তবুও কিছু কথা তো তোর সাথেও বলতাম। যদিও জানি আর তোর কাছে পৌঁছোবে না আমার কোন চিঠি। আমাকে আমি চিনি। মরে যাবো তবুও তোকে আর কিছুই বলবো না। তবুও কত পাগলামী দেখ আমার মধ্যে, তবুও তোকেই রোজ একটা করে চিঠি লিখি, তারপর পুড়িয়ে ফেলি। যেন নিজের চিতা জ্বলতে দেখি সেই চিঠির সাথে। কতজনের এই সৌভাগ্য হয় বল? সেই অর্থে আমি বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী। নিজের চিতা নিজেই জ্বালাই।
সবকিছু সামলাতে সামলাতে বড় ক্লান্ত, বড় একা। বোললে হয়ত তোকেই বলা যেত সবটুকু। জানি তুইও এখন অন্য কোথাও একা। কেন জানিনা বসন্তের এই মিঠে গন্ধমাখা হাওয়ায় তোর খবর পেয়ে যাই ছাদের কোনা ঘঁষে দাঁড়ালেই। তোর-আমার দিনগুলো এখন অন্য কারোর, অন্য কারো সাথে ভাগ করে নিস হয়তো। ক্রমশঃ সরছি দূর থেকে দূরে। কতদিন হয়ে গেছে তোর কথা শুনিনি। কত গল্প জমে যাচ্ছে জানিস? কত কত সময় মনে মনে খুঁজি তোকে। বড় অসহায় লাগে। দূরে সরে গিয়েও অবলম্বন হয়ে আছিস তুই।
হয়তো বিশ্বাস করবি না, তোকেই শুধুমাত্র, হ্যাঁ তোকেই আমি আমার সবটুকু দিয়েছি। আর আজও আমার সবটা জুড়েই শুধুই তুই। তোকেই দেবো আমার যত ভাললাগা, মন্দলাগা। সেই কবেকার গ্রীষ্মের দুপুরের কুলপিমালাই আর ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মায়ের চোখ এড়িয়ে জমা জলে ভাসানো কাগজের নৌকোটাও তোর জন্যেই রেখে দিলাম। হাসি-কান্না-হীরে-পান্নায় মোড়া আমার দিনগুলো আজ থেকে শুধু একলা আমার নয় তোর সাথেও ভাগ করে নিলাম।
যত কথা তোর সাথে আমারই, আর কেউ জানবেনা সত্যি। টেলিপ্যাথি হোক নাহয় চুপিচুপি, ফিসফাস আবডালে, মনে মনে হরদম। এইখানে আছি আমি। সেই যে যেখানে একা রেখে গেছিস। সেখানেই আছি আজও। আর তুই! তুই? শুধু জল-ছায়াতে। খুব ভালো থেকে যাব আমি, শুধু তুই ভালো থাক। ভালো থাক তোর ঘর-বাড়ি, ভালো থাক তোর লোক-জন, ভালো থাক তোর কাজ, ভালো থাক তোর ভালোভাবে থাকারা। ভালো থাক একটুকু আমার থেকে যাওয়া! ভেবে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি রোজ।
এই দেখো কাণ্ড !! বোলতে বোলতে কত্তো লম্বা একটা চিঠি হয়ে গেলো রে। জানি এখন তুই খুব busy? আমার জন্য সময় নেই তোর। ঠিক আছে আমি তবে চিঠিটা খামে মুড়ে রেখে দেব। আজ আর পোড়াবো না। কাল পুড়িয়ে ফেলবো।
আর হিমেল হাওয়ায় তোর উত্তরও খুঁজে পাবো। নীল আকাশের বুকে মেঘেদের আলপনা আঁকা রাজহাঁসেদের মতো নরম পালকের চিকন রঙে। খুঁজে নেবো তোর উত্তর।
ইতি
আমার হারানো মন….
‘নীল আকাশের বুকে মেঘেদের আলপনা আঁকা রাজহাঁসেদের মতো
নরম পালকের চিকন রঙে খুঁজে নেবো তোর উত্তর।’
___ উত্তর আসুক কোন না কোন দিন প্রত্যাশা রাখি।
শুভেচ্ছা বন্ধু .. ভীষণ ভালো থাকুন
তার সাথে আমারো কত কথা। কেউ জানে না এমন কি সেও জানে না। কি অদ্ভুত সম্পর্ক আমাদের।
মাঝে মাঝে মনে হয় হাত বাড়ালেই বুকের নদী ।
বাহ! ভীষণ সুন্দর বললেন .. শুভেচ্ছা জানবেন
অনেকদিন চিঠি পড়া হয় না। আজ ভারী সুন্দর একটি দিন। ইচ্ছে পূরণ হলো।
অনেক খুশি হলাম কবি সুমন আহমেদ দা।
মন ভরিয়ে দিলেন কবি রিয়া।
ধন্যবাদ আবু সাঈদ আহমেদ দা।
সুন্দর ও সাবলীল লেখা পড়ে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
শুভকামনা জানবেন।
শুভেচ্ছা আপনাকেও জানালাম পদাতিক। স্বাগতম আপনাকে।
ক্রমশঃ সরছি দূর থেকে দূরে। কতদিন হয়ে গেছে তোর কথা শুনিনি। কত গল্প জমে যাচ্ছে জানিস? কত কত সময় মনে মনে খুঁজি তোকে। বড় অসহায় লাগে। দূরে সরে গিয়েও অবলম্বন হয়ে আছিস তুই।
সুন্দর ও সাবলীল লেখা,শুভ কামনা …
শুভকামনা এবং শুভেচ্ছা নিন শান্ত দা।
শুভেচ্ছা সতত
অনেক চিঠি থাকে লেখা,
নাই বা হল সাথে দেখা।
মনের ভাষা কেই বা বল বোঝে।
ভালোবাসা মনের মানুষ খোঁজে।
চিঠি পাঠে মুগ্ধ হলাম। শুভেচ্ছা সহ অভিনন্দন।
ভালো থাকবেন রিয়া বোন আমার।
জয়গুরু!
অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি দা।
অনেকদিন পর মন ভরে একটি চিঠি পড়লাম রিয়া আপা।
অনুপ্রাণিত হলাম কবি দিদি ভাই।
অসাধারণ অসাধারণ রিয়া আপু।
ধন্যবাদ প্রিয় কবি দি ভাই।
ইশ কী দারুণ মন ভালো করা লেখা !!!
এ চিঠি নিজের মনে কে নিজের নৈবদ্য।
আশা রাখছি সময় নিয়ে সব চিঠি পড়ে ফেলবো।
অনেক ভালোলাগা।
অনুপ্রাণিত হলাম আপনার মন্তব্যে প্রিয় দিদি ভাই।
আপনাদের ভারতের কাছে আমাদের বাংলার টাইগাররা আজ হেরে গিয়েছে। তাই মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেলো শ্রদ্ধেয় রিয়া দিদি। আপনার লেখা পড়ে মনটা আগের দিনের মতো ফুরফুরে হয়ে গেলো। সত্যি আপনার লেখায় জাদু মিশ্রিত।
ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয় দিদি।
ক্রিকেট নিয়ে আমার তেমন আগ্রহ নেই। শুভকামনা প্রিয় কবি দা।
শুভেচ্ছা সতত
শুভেচ্ছা প্রিয় কবি দা। সম্মান।
তোমাকে নিয়ে লিখতে চাই
একটা অনবদ্য প্রণয়ের চিঠি
যে চিঠির প্রতিটা স্তবকের
ভাজে ভাজে গাঁথা থাকবে
আমার লুন্ঠিত হৃদয়ের সংংখ্যাতত্ত্ব!
চমৎকার মন্তব্য দাদা ভাই।