: মামা, একটা ভুতের গল্প বল।
: আমাদের বাড়ি পুরানো ঢাকায়। দোতলা পুরাণ বাড়ি। রাতে আমরা কেউ ছাদে যাই না। সন্ধ্যার পরেই ছাদের গেটে তালা দিয়ে দেয়া হয়। মাঝরাতে ছাদে কারা যেন মার্বেল খেলে, প্রতি অমাবস্যার রাতে একজন মহিলা নাঁকি সুরে বিলাপ করে কান্না করেন। ভুতরে বাড়িতে থাকলেও কখনো ভুত দেখি নাই। তবে দিনের আলোতে অনেকবার একটা পরী দেখেছি।
: মামা, তুমি পরী দেখেছো!! কোথায়?
: হ্যা, পরী দেখেছি। সেই পরীকে দেখার জন্য কতদিন হলিক্রস গার্লস কলেজের সামনে দাড়িয়ে থেকেছি।
: ধুত্তরী! মামী জানে?
: ধুত্তরী। বউকে ভুতের গল্প বলতে হয়, পরীর গল্প না। পরীর গল্প বললেই আছড় হয়।
: কি আছড় হয়?
: বউয়ের ঘাড়ে ভুতের আছড় হয়। কোনো ওঝা সেই ভুত ছাড়াতে পারেনা, বড্ড ভয়ানক ভুত। এত ভয়ানক যে…
মামী পর্দার আড়াল থেকে গল্প শুনছিলেন। নিজেকে আর সামলাতে পারলেন না। গল্প শেষ হবার আগেই ঝাড়ু হাতে ঝড়ের গতিতে ঘরে প্রবেশ করলেন। স্পষ্টত: বোঝা যাচ্ছে মামীর ঘাড়ে ভুত আছড় করেছে, ভয়ানক ভুত।
মামার ঘারে পরী করলেই মামীর ঘারে ভুত আছর করে । এটাই নিয়ম ।
অনেক ভালো লাগলো । শুভেচ্ছা আপনার প্রতি ।
ধন্যবাদ আনিসুর রহমান ভাই।
ধন্যবাদ মুরুব্বী আজাদ ভাই।
বাহ। দারুণ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব স্বাভাবিক ভূতের আছর হওয়া । মামার একটা শাস্তির প্রয়োজন তো রয়েছেই ।
ঠিক বলেছেন কবি।
অভিনন্দন হরবোলা আবু সাঈদ ভাই।
ধন্যবাদ কবি সুমন ভাই।
ভুতের আছর বলে কথা।
ধন্যবাদ কবি রিয়া।
ভালোবাসা আবু সাঈদ ভাই।
শুভেচ্ছা সৌমিত্র ভাই।
চমৎকার।
ধন্যবাদ সাজিয়া আফরিন।
ভয়ানক ঝাড়ু বিদ্যা
হেহেহে এই তো বুঝে ফেলেছেন পবিত্র ভাইজান।
হাহাহাহাহাহাহ দারুন মজার
বউয়ের ঘাড়ে ভুতের আছড় হয়। কোনো ওঝা সেই ভুত ছাড়াতে পারেনা, বড্ড ভয়ানক ভুত। এত ভয়ানক যে…
সব জায়গায় সব সময় সব কথা বলতে হয় না। পরীরা বরং পরী হয়েই থাক না অন্তঃপুরে-
দারুন লাগল। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই।
আপনি লিভিং লিজেন্ড সাঈদ ভাই।


ধন্যবাদ ভাই।

বাস্তবতার সমন্বয়ে ভূতের গল্প, সাথে রম্যের মশলা। অবিশ্বাস্য
হা হা হা হা
মামীর ঝাড়ুতে পরী পালাইছিলো মামা? 😛