কীট
সকালে আকাশে মেঘ ছিলো। তোমার চোখের নিচে জমাট বাঁধা কালি রংয়ের আলো — মায়ামায়া বিষাদের মত মসৃণ। কোথা থেকে একটা ছোট পোকা শাদা শার্টে এসে বসেছে। চাল রঙ্গা শরীরের মাঝখানে ছোট রৌদ্রোজ্জ্বল কমলা বৃত্ত; বৃত্ত জুড়ে সোনালী আঁকিবুঁকি। পোকা নয়, মামুলি শার্টে তুমুল সুন্দর বসে আছে– শান্ত স্থির। হঠাত ইচ্ছে হলো তোমার কপালে পড়িয়ে দেই এই অনিন্দ্য টিপ, পোকার রূপজীবন ধন্য হোক। এমন সময়গুলোতে কি যে হয়– ভুলেই যাই ট্রেনের শিডিউল।
খুচরো দরে খরচ করেছি জীবন– এলোমেলো, এখানে সেখানে। তোমাকে খুঁজেছি উদ্ভ্রান্ত উন্মাদনায় যত্রতত্র– নীরবে নিভৃতে। শেষ ট্রেনের হুইসেল বাজার ক্ষণিক আগে তোমার দেখা পেলাম, ধ্রুবতারার সমান দূরত্বে। আজ তোমার কপালে টিপ পরানোর ইচ্ছে জেদ করে– কতভাবে যে তাকে হত্যা করছি, তবু সে মরেনা।
একটামাত্র মানুষজন্ম কেটে গেলো অকাট অর্থহীন। আবার জন্মালে যেন পোকা হই– ঠিকঠিক চিনে নেই তোমার কপাল, কপালের মধ্যবিন্দু।
.
নক্ষত্র এক্সপ্রেস
তোমার সমস্ত উঠোন, ঘর, ঘরের দেয়াল, সিলিং, বিছানাপত্তর, ড্রেসিং টেবিলের আয়না, মামুলি পাপোশ কানায় কানায় ভরে যাচ্ছে নক্ষত্রে— ঘরের দরজায় নক্ষত্র বোঝাই ট্রেন এসে থামছে একের পর এক।
আমি ছিন্নবস্ত্র পরিব্রাজক– আত্না ও হৃদপিণ্ডের বিনিময়ে নক্ষত্র এক্সপ্রেসের একটা টিকেটও কিনতে পারিনি– এতই দুর্মূল্য।
দুটি কবিতার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় সব্যসাচী মি. আবু সাঈদ আহমেদ। কবিতার জয় হোক।
কবিতার জয় হোক।

আবার কি পূর্ণজন্ম পাবো, কবি দাদা? সেই কর্ম কি আমি করতে পেরেছি?
শুভকামনা রইল কবিতায়
শেষ ট্রেনের হুইসেল বাজার ক্ষণিক আগে তোমার দেখা পেলাম, ধ্রুবতারার সমান দূরত্বে।
আজকে এই নিয়ে দুটি জোড়া প্রেজেন্টেশনের পোস্ট। ভালোবাসা কবি সাঈদ ভাই।
শুভেচ্ছা হরবোলা আবু সাঈদ ভাই।
আমি ছিন্নবস্ত্র পরিব্রাজক– আত্না ও হৃদপিণ্ডের বিনিময়ে নক্ষত্র এক্সপ্রেসের একটা টিকেটও কিনতে পারিনি– এতই দুর্মূল্য।
* অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় কবি….
