মাঠে মাঠে সোনা ধান……. হেমন্তের গান (অষ্টম পর্ব)

মাঠে মাঠে সোনা ধান……. হেমন্তের গান (অষ্টম পর্ব)
তথ্য সংগ্রহ, সম্পাদনা ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

হেমন্তের মাঠে-মাঠে ঝরে/শুধু শিশিরের জল;/অঘ্রানের নদীটির শ্বাসে/হিম হয়ে আসে/বাঁশ-পাতা—মরা ঘাস—আকাশের তারা!/বরফের মতো চাঁদ ঢালিছে ফোয়ারা!’—এ পঙ্ক্তিগুলো লিখেছিলেন কবি জীবনানন্দ দাশ। কবির লেখা সেই ‘প্রথম ফসল’ তোলার ঋতু হেমন্ত এবার এসে গেল।ঋতুচক্রের নিয়মেই হেমন্ত এসেছে।

গ্রামবাংলার মাঠে-খেতে চলছে আমন ধান কাটার মহোৎসব। গৃহস্থবাড়িতে নতুন ধানে তৈরি করা পিঠাপুলির সুগন্ধ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। গ্রামীণ সংস্কৃতিতে হেমন্তের এ শাশ্বত রূপ চিরকালীন। ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে মাড়াই ও রোদে শুকানোর কাজ। কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে কৃষকেরা কাজে নেমে পড়ছেন। সকাল ও দুপুরের খাবার কিষানিরা মাঠে নিয়ে যাচ্ছেন, সেখানেই কৃষকেরা আহার সেরে নিচ্ছেন। দিনভর হাড়ভাঙা খাটুনি শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছেন কৃষকেরা।

প্রথম ফসল ঘরে তোলার এ মৌসুম গ্রামীণ সমাজে ‘নবান্ন উৎসব’ হিসেবে পরিচিত। এ সময়টায় ধান কাটার পাশাপাশি নতুন চালে কমবেশি প্রায় সব গৃহস্থ পরিবারে পিঠাপুলি ও পায়েস তৈরি হচ্ছে। খেজুরের রস কিনতে পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। হেমন্ত শেষে শীত ঋতু আসবে। ধান কাটা শেষে শীত মৌসুমে অধিকাংশ গ্রামেই বাউলগানের আসরের আয়োজন করা হয়।

মাঠে মাঠে সোনা ধান….. হেমন্তের গান
গীতি কবিতা-৮ (অষ্টম পর্ব)

কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

মাটি সোনা ডাক দিয়েছে
আয়……আয়রে চাষীভাই।
মাটিতে ফলে সোনার ধান
তুলনা ……..যে তার নাই।

এই মাটিতে সোনা ফলে
মরাল মরালী সাথে চলে
কাটে সাঁতার দিঘি জলে
গাছে গাছে পাখিরা গায়।

মাটি সোনা ডাক দিয়েছে
আয়……আয়রে চাষীভাই।

গাঁয়ের মাটি খাঁটি সোনা,
সোনা ধানবীজ হয় বোনা,
মাটির গন্ধে ঘুম আসেনা,
তাই…. মাটির গান গাই।

মাটি সোনা ডাক দিয়েছে
আয়……আয়রে চাষীভাই।
মাটিতে ফলে সোনার ধান
তুলনা ……..যে তার নাই।

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী সম্পর্কে

লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী –নামেই কবির পরিচয়। কবির বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার পাথরচুড় গ্রামে। প্রকৃতির সাথে পরিচয় ছোটবেলা থেকেই। বর্তমানে কবি বাংলা কবিতার আসর, বাংলার কবিতা ও কবিতা ক্লাবের সাথে যুক্ত। অবসর সময়ে কবি কবিতা লেখেন ও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। কাব্যচর্চার সাথে সাথে তিনি সাহিত্যচর্চাও করেন। গল্প ও রম্য রচনা আর ছোট গল্প লিখেন। বহু একাঙ্ক নাটকও তিনি লিখেছেন। অন্ধকারের অন্তরালে, সমাজের শত্রু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বহু যাত্রাপালা -সোনা ডাকাত, শ্মশানে জ্বলছে স্বামীর চিতা উল্লেখযোগ্য। কবির অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে বিচারক মণ্ডলী তাঁকে বহু সম্মানে ভূষিত করেছেন। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী একাধারে কবি ও অপর দিকে লেখক। তার লেখা “আমার গাঁ আমার মাটি”, আমার প্রিয় শহর জামুরিয়া, আমার প্রিয় শহর কুলটি, আমার প্রিয় শহর আসানসোল, আমার প্রিয় শহর রাণীগঞ্জ বহু পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী প্রকৃতপক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও তিনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বিশ্বাস করেন সব মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। তাই ধর্মে আলাদা হলেও আমরা সবাই ভাই ভাই।

14 thoughts on “মাঠে মাঠে সোনা ধান……. হেমন্তের গান (অষ্টম পর্ব)

  1. গীতি কবিতায় অভিনন্দন মাটি মানুষ এবং প্রকৃতির কবি মি. লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

    1. সুন্দর মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইলো।
      পাশে রাখুন প্রিয়। প্রত্যাশা করি।
      জয়গুরু!

  2. আপনি সত্যি সত্যি প্রকৃতি প্রেমি কবি। আপনার গল্প কবিতায় প্রকৃতির রূপ ফুঠে উঠে। শুভেচ্ছা জানবেন শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।   

    1. সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। প্রিয়কবিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!

    1. সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। প্রিয়কবিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!

  3. ভালোবাসাময় ভালোবাসা কবি ভাণ্ডারী দা। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

    1. সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। প্রিয়কবিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!

    1. সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। প্রিয়কবিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!

    1. সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। প্রিয়কবিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!

    1. সুন্দর মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। প্রিয়কবিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
      সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।