কাল রাতে—ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হল তার সাধ।
জীবনান্দের বিমুগ্ধ এ চরণগুলো আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রেখেছে আমাকে। অদ্ভুত বায়না ধরে ধরে বারবার মনে পড়ে। আনন্দ কিংবা ব্যথার সমারোহে। এ যেন অমোঘ প্রেম, নিঃশব্দে এসে কড়া নাড়ে। কালেভদ্রেও যাকে নিয়ে ভাবার ফুসরত নেই তবুও যদি অযাচিত মনে পড়ে তাকে প্রেম ছাড়া আর কি’বা বলা যায়!
শেষবার যখন দেশে গিয়েছিলাম তখনই অনুভব করেছিলাম, কোথায় যেন জীবনের তাল কেটে গেছে। অথচ অকালিক ছন্দপতনের মাঝেও দিন কেটে যাচ্ছে তরতর করে। অনেকটা জোর করেই ধুলো পড়া বইগুলোর গায়ে হাত রাখলাম। সাথে সাথেই শুরু হলো আকাশে দুদ্দাড় মেঘের আনাগোনা। এই বুঝি বৃষ্টি নামবে। মেঘে মেঘে বিদ্যুতের ঝলকানি, ম্লান হয়ে এলো সুর্যের আলো। কালো হয়ে আসা আকাশটাকে মনে হলো বিষন্নতার চাঁদরে ঢাকা কোনো চঞ্চল যুবতী। এইতো সময় খোলা আকাশের নিচে, ছাদের এক কোণে বসে সমরেশকে হাতে তুলে নেবার। আহা কি আনন্দ!
সেদিন সমরেশের পঞ্চমীর চাঁদকে পাশে রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে গেলো। মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়াটা অনেকের কাছে অস্বস্তিকর মনে হলেও আমার কাছে এ যেন সৌভাগ্য মনে হয়। রাতের আয়নায় নিজেকে দেখার সময়। রাতের চোখে চোখ রেখে কথা বলার সময়।
রাতেরও একটা নিজস্ব ধ্বনি আছে, শব্দ আছে। মাঝরাতে চুপচাপ নিস্তব্ধতার মাঝে আরো নিশ্চুপ থেকে সেই শব্দ শুনি। মনে হয় পৃথিবীর বাহিরে কোথাও ধূলিঝড় হচ্ছে। আর আমি সেই বাতাসের ঘূর্ণির শব্দ শুনছি। মোহিনীশক্তিরূপে সে শব্দ আমাকে ডাকে। ইচ্ছে হয় ঘরের কপাট পেরিয়ে সেই শব্দের পিছু নেই, হারিয়ে যাই কোনো অপার্থিব জগতে। কখনো দৌঁড়ে যেতে ইচ্ছে করে খোলা মাঠের মাঝে। মনে হয়, সেই মাঠ জুড়ে শব্দটা ছুটে বেড়াচ্ছে অবোধ শিশুর মতো। মেঘাকাশে ভাসা ভাসা চাঁদের আলোর নিচে কুয়াশার সমাবেশ, মধ্যমণি হয়ে আছে সেই শিশুটি!
আবার নিজেকে দেখি, চারিদিক থেকে ঘিরে থাকা ধোঁয়াশার মাঝখানে। যেখানে পায়ের নিচে পানি আর পানির নিচে ছোট ছোট গাছ। অবাক চোখে কিছুক্ষণ এদিক ওদিক তাকিয়ে আবার যেনো সেই রাতের শব্দ শুনতে পাই। এবার সেই শব্দের পেছনে পেছনেই বেরিয়ে পড়ি ভিন্নজগতের টানে।
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজও চমৎকার?
আমিও তোমার মতো বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব
কালীদহে বেনো জলে পার;
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার।
বাহ্ বাহ্ কি চমৎকার বললেন। নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনাকে। শুভ হোক নববর্ষ।
…………….কালেভদ্রেও যাকে নিয়ে ভাবার ফুসরত নেই তবুও যদি অযাচিত মনে পড়ে তাকে প্রেম ছাড়া আর কি’বা বলা যায়!
……………কোথায় যেন জীবনের তাল কেটে গেছে। অথচ অকালিক ছন্দপতনের মাঝেও দিন কেটে যাচ্ছে তরতর করে।
…………….রাতেরও একটা নিজস্ব ধ্বনি আছে, শব্দ আছে। মাঝরাতে চুপচাপ নিস্তব্ধতার মাঝে আরো নিশ্চুপ থেকে সেই শব্দ শুনি। মনে হয় পৃথিবীর বাহিরে কোথাও ধূলিঝড় হচ্ছে। আর আমি সেই বাতাসের ঘূর্ণির শব্দ শুনছি। মোহিনীশক্তিরূপে সে শব্দ আমাকে ডাকে।
………………….আবার যেনো সেই রাতের শব্দ শুনতে পাই। এবার সেই শব্দের পেছনে পেছনেই বেরিয়ে পড়ি ভিন্নজগতের টানে।
ধন্যবাদ ভাইয়া
** মাঝে মাঝে পাই তব দেখা…
ভালো থাকুন কবি।
কবিকে ভালবাসা। আশা রাখি ভাল আছেন। শুভ নববর্ষ।
বধূ শুয়ে ছিল পাশে – শিশুটিও ছিল;
প্রেম ছিল,আশা ছিল-জোৎসনায়,-তবু সে দেখিল
কোন ভূত? ঘুম কেন ভেঙে গেলো তার?
অথবা হয়নি ঘুম বহুকাল – লাশকাটা ঘরে শুয়ে ঘুমায় এবার।
দীলখুশ মিঞাকে জানাই বাঙলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। নতুন বছরেও সন্দেশ চালু রাখবে আশা রাখছি। শুভ নববর্ষ।
দীলখুশ মিঞার পক্ষ থেকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা গ্রহন করুন।
হাই হ্যালো।
আপনার ভাল হোক।
চেনা মুখ আজ অচেনা খুব
হৃদয় জুড়ে স্মৃতির শামুক;
চুপচাপ তাকিয়ে থাকা চোখ
বাড়ছে শুধু অনাবৃত শোক!
যদি না দেখা হতো কোনদিন
থাকতে চাই আরো রঙহীন!
শিশিরের গন্ধ নিশ্বাসে ধরে
মুছে যেতাম সকালের তীরে;
তবু হাতছানি দেয় অবেলা
করতে চায় বুঝি আরো খেলা!
ঘুমিয়ে পড়ার একটু আগে
রূপকথা শোনায় তন্দ্রালোকে;
হারান সে কবিতার মতোই
ধরতে চাই গোপন চড়ুই;
পুড়ে পুড়ে যাই আগুন ছাড়া
উড়ে উড়ে যাই কোন অজানা…
শুভ নববর্ষ আমীন ভাইয়া। শেষ বলে কিছু নেই, শুরু হোক…
বেশ লিখেছেনতো। ভালো লেগেছে খুব। সংরক্ষণ করে রাখলাম। আশা করি ভালো আছেন? দিন কাল যাচ্ছে কেমন?
ইনশাআল্লাহ ভালো আছি। দিন কাল যাচ্ছে স্বপ্নের ভেতর! নিয়মিত হোন।।
ব্লগে যখন এলেনই প্রিয় মানুষ … তবে কেন এতো কম আসা !!
আসুন না নিয়মিত … না হোক বা না থাক নিত্যদিনের লিখা।
নিয়মিত হবার আশা রাখছি এবার শ্রদ্ধেয়। শব্দনীড় এ যে নিজেরই নীড়।
খুশি হলাম মি. প্রহেলিকা।