হিরণের প্রথম ও শেষ প্রেম

বন্ধু-হিরণের ফোন পেয়ে রাফী আজ খুব সকালে ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার গেটের সামনে একটা নিরাপদ জায়গায় এসে দাঁড়ালো। নিরাপদ জায়গা মানে হলো: আজ সর্বত্র এখানে মানুষের ভিড়। আর এখানেই তার দাঁড়াবার কথা। এতো মানুষের ভিড়ে এখানে এখন দাঁড়াবার মতো জায়গা নেই। তবুও সে নাছোড়বান্দা হয়ে এখানেই দাঁড়িয়ে থাকে।
এখানে পহেলা বৈশাখের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। আজ পহেলা বৈশাখ বলেই এখানে লোকের ভিড়টা একটু বেশি। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীর সংখ্যাটাই সর্বাধিক। আজ যেন এখানে মানুষের ঢল নেমেছে। এতো মানুষের ভিড়ে আর দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। তাই, এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে রাফীর মনটা কেমন যেন উসখুস করছে। আর তার বারবার মনে হচ্ছে: হিরণ এখনও আসছে না কেন?

হিরণ এখনও কেন আসছে না, তা ভেবে-ভেবে রাফীর সারাদেহে যেন ঘাম ঝরছে। তবুও সে নিজেকে শান্ত রেখে এই ভীষণ ভিড়ের মাঝেই দাঁড়িয়ে থাকে।

রাফী তার বন্ধুকে কয়েকবার ফোন করলো। ফোনের রিংটোন হচ্ছে। অথচ, বন্ধুটি তার ফোন ধরছে না। রাফী একসময় বন্ধুর উপর খুব বিরক্ত হয়। সে রাগে অন্য কোনোদিকে সরে যাবে, এমন সময় সে দেখলো: লোকের ভিড় ঠেলে হিরণ এগিয়ে আসছে। আর হিরণের মুখে হাসি লেগে আছে। আর তার সাজসজ্জা দেখে আজ তাকে নায়কের মতেই মনে হচ্ছে।

হিরণকে দেখে রাফীর রাগ একমুহূর্তে দূর হয়ে গেল। কারণ, এই অকৃত্রিম হাসির সামনে পৃথিবীর কোনো রাগ জায়েজ হবে না। তাই, সে বন্ধুকে দেখে খুব শান্তস্বরে বললো, “এতো দেরি করলি যে! আমি তো ভাবছিলাম: তুই বুঝি আমাকে এপ্রিল-ফুলের পাঁঠা বানিয়েছিস।”
হিরণ আগের মতো হাসতে-হাসতে বললো, নারে বন্ধু। তাই কি হয়? তুই কি আমার ঠাট্টার বন্ধু? তু্ই তো আমার একমাত্র বিশ্বস্ত-বন্ধু। আর দেরির কথা বলছিস! এর জন্য কিন্তু আমি দায়ী নই। আজ সহজে কোনো সিএনজি-গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি রিক্সাও না। পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে তো আর আজকের এমন দিনে পাবলিক বাসে আসা যায় না। তাই, একটা সিএনজি ম্যানেজ করে আসতে একটু দেরি হলো। তুই আবার রাগ করিসনে!”
রাফী প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে বললো, “আজ এই ভিড়ের ভিতরে কোথায় ঘুরবি?”
হিরণ বলে, “দাঁড়া, আগে একটু মানুষজন দেখি। তারপর ভাবা যাবে, কোথায় যাবো আর না যাবো। তবে আজ রমনার বটমূলে একবার যাবোই।”
রাফী বললো, “বেশ ভালো। আমিও তা-ই ভাবছিলাম।”

ওরা দুজনে চারুকলার সামনের দিকেই একটা অপেক্ষাকৃত ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে। আর মানুষজন দেখতে থাকে। আসলে, ওরা কোনো মানুষজন দেখছে না। বিশেষ করে হিরণ শুধু মেয়েদের দিকে খুব মনোযোগসহকারে তাকিয়ে থাকে। তবে তার দেখার মধ্যে কোনো অভদ্রতা নেই। সে এখনও বিয়ে করেনি। মাত্র বত্রিশ বছরের এক দুর্দান্ত যুবক সে। তার সবই আছে। শুধু নেই একটা বউ। তবে সে বউয়ের চেয়ে আগে একটা প্রেমিকা চায়। এই জীবনে একটুখানি প্রেম করার তার বড় শখ। তাই, এটি অপূর্ণ রাখা চলবে না।
সে বিশ্ববিদ্যালয়-জীবন শেষ করেছে কয়েক বছর আগে। আর তখন সে প্রেম করতে পারেনি তার রক্ষণশীল বাবার ভয়ে। তখন সে তার বাবার পুরাপুরি নিয়ন্ত্রণে ছিল। আর এখন সে স্বাধীন। তার বাবা ইতোমধ্যে ব্যবসা থেকে অবসরগ্রহণ করেছে। তাই, ব্যবসাটাও এখন তার হাতের মুঠোয়। তাদের পারিবারিক ব্যবসাটা একেবারে মন্দ না। পুরান-ঢাকায় তাদের বড়সড় একটা প্লাস্টিকের কারখানা আছে। আর এটা চলছেও ভালো। আর সে বাবা-মায়ের একমাত্র পুত্রসন্তান হওয়ায় সবকিছু তার হস্তগত। সুতরাং, এখন সে একটা প্রেম করতে পারে। তাই, সে আজ এই পহেলা বৈশাখের দিনে ঘনিষ্ঠবন্ধু রাফীকে একপ্রকার ঘুম থেকে জোর করে উঠিয়ে এখানে ধরে এনেছে।

রাফী এসবে নাই। সে একটা চাকরির চেষ্টা করছে। আর তার জীবনে সবচেয়ে বড় একটা সরকারি চাকরি। সে নিম্নমধ্যবিত্ত-পরিবারের সন্তান। তার জীবনে প্রেম একটা উটকো ঝামেলা মাত্র। তাই, সে প্রেমের পথে কখনও পা বাড়ায় না। সে এই জীবনে প্রেমকে একপ্রকার ভয়ই পায়। কিন্তু হিরণ এর বিপরীত। সে একটা প্রেমের জন্য ইদানীং একেবারে মরীয়া হয়ে উঠেছে। তার এই প্রেমের সফলতার জন্য সে সবসময় তার বন্ধুবর রাফীকে সঙ্গে রাখে।
হিরণ আজ খুব সুন্দর পায়জামা-পাঞ্জাবি পরে এসেছে। আর রাফী সাধারণ পোশাকেই নিজেকে বেশ মানিয়ে নিয়েছে আজকের এই দিনে। সে সহজেই সবকিছুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।

ওরা দুজন মানুষজন দেখতে থাকে। আর একটুখানি পরে চারুকলা থেকে পহেলা বৈশাখের মঙ্গলশোভাযাত্রার মিছিল বের হবে। আর দলে-দলে মানুষ এই মিছিলে শামিল হচ্ছে।

মেয়েদের শাড়িপরার স্টাইল দেখে রাফীর দিকে তাকিয়ে হিরণ বলে, “বন্ধু, এতো সুন্দর মেয়ে আছে আমাদের দেশে! এখানকার প্রতিটি মেয়ে খুব সুন্দর! আর কী সুন্দর তাদের স্টাইল!”
এমন সময় একটি মেয়ে বৈশাখীশাড়ি পরে কী সুন্দর এক ভঙ্গিতে এসে মঙ্গলশোভাযাত্রার স্থানে এসে দাঁড়ালো। মেয়েটি খুব হন্তদন্ত হয়ে এসেছে। তার চিবুকে কী সুন্দর বিন্দু-বিন্দু ঘাম জমেছে। আর তার চিবুকের ঘামের কণাগুলোকে সকালের সোনালি-রোদে মুক্তোদানার মতো মনে হচ্ছে।
হিরণ পলকহীন চোখে চেয়ে থাকে মেয়েটির দিকে। সে জোর করেও আর তার চোখ দুটিকে ফেরাতে পারে না। মেয়েটি তাদের খুব কাছে এসে দাঁড়িয়েছে। আর তা-ও মাত্র কয়েক হাত দূরে। হিরণ শুধু চেয়ে থাকে ওই মেয়েটির মুখের দিকে। আর শুধু মন-প্রাণ দিয়ে সে মেয়েটিকে দেখে। আর মেয়েটিকে দেখতে-দেখতে একসময় তার মনে হলো: এতো সুন্দর কোনো মেয়ে হয়?
এমন সময় মেয়েটির সঙ্গে তার একরকম চোখাচোখি হয়ে গেল। এতে হিরণ শিহরিত ও আশান্বিত হয়ে উঠলো। আর সে ভাবলো: এবার তার জীবনে একটাকিছু হতে পারে। আর তার জীবনের প্রথম ও শেষ প্রেম হবে এটি। তার আরও মনে হলো: সে এই মেয়েটির প্রেমে পড়েছে।
মেয়েটি ভয়ানক সুন্দরী। সকালের সোনালি-রোদের মতো ঝলমল করছিলো তার সবকিছু। হিরণ মনে-মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে: সে এই মেয়েটিকে ভালোবাসবে।
সে রাফীর দিকে চেয়ে কিছু-একটা বলার আগেই রাফী তার হাবভাব লক্ষ্য করে বললো, “তোর বুঝি মেয়েটিকে খুব পছন্দ হয়েছে?”
হিরণ একেবারে আবেগে আপ্লুত হয়ে লাফিয়ে উঠে বললো, “পছন্দ মানে বন্ধু। আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আর আমি তার প্রেমে পড়েছি। আর তাকে মনে-মনে খুব ভালোবেসে ফেলেছি। আর বন্ধু, মেয়েটিকে না পেলে আমি সুইসাইড খাবো!”
রাফী কিছুটা চিন্তিত বললো, “খুব ভালো করেছো, প্রেমকুমার! কিন্তু এমন একটা ময়নাপাখিকে পোষ মানাবে কেমন করে? এ-কে বশ করাই তো কঠিন!”
হিরণ তবুও আশা ছাড়ে না। সে মিনমিন করে বলে, “বন্ধু, তুই আমাকে একটুখানি সাহায্য করলে আমি তাকে পাবো।”
হিরণের মনের অবস্থা বুঝে রাফী বন্ধুকে সাহায্য করতে রাজী হয়ে গেল।
হিরণ এবার খুব খুশি হয়ে বন্ধুর মুখের দিকে চেয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললো, “বন্ধু, এটি আমার প্রথম প্রেম। আর এটিই আমার শেষ প্রেম। আমি আর কখনও কারও প্রেমে পড়বো না। আর তুই শুধু এই মেয়েটির সঙ্গে আমার আলাপ-পরিচয় করিয়ে দিবি।”

রাফী বুঝতে পারলো, বন্ধুটি তার সত্যি-সত্যি মেয়েটিকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে। এখন তাকে সাহায্য করাটা তার ধর্ম। একটু পরে সে বললো, “কিন্তু বন্ধু, ওই মেয়েটিকে তুমি যদি পেতে চাও, তবে তো আমাদের এই মঙ্গলশোভার মিছিলে অংশ নিতে হবে।”
হিরণ বললো, “হ্যাঁ, ঠিক তা-ই। আমিও তো তা-ই ভেবেছি। তাহলে, আমরা ওর সঙ্গে একটু কথা বলার সুযোগ পাবো।”
হিরণ রক্ষণশীল-পরিবারের ছেলে। ব্যাপারটা রাফী জানে। তাই, সে বললো, “তুমি কি এই মঙ্গলশোভাযাত্রায় শামিল হবে?”
হিরণ বললো, “আরে দূর! এখন আর জায়েজ-নাজায়েজের প্রশ্ন তুলে কোনো লাভ নাই। এখন আমি প্রেমে পড়েছি। আর এজন্য এখন যা-যা করা দরকার তা-ই করবো। এ নিয়ে এখন ভাবাভাবির সময় নাই।”
ওর কথা শুনে রাফী হাসতে-হাসতে বললো, “বেশ আমি চেষ্টা করে দেখবো। আর মেয়েটির নামধাম ও ফোন-নাম্বার জোগাড় করার চেষ্টা করবো।”
বন্ধুর আশ্বাসটুকু পেয়ে হিরণের ফর্সা-সুন্দর মুখখানি আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠলো।
রাফীর রাজী হওয়ার আরও কারণ আছে। তারা দুই বন্ধু একইসঙ্গে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সাবজেক্টে পড়েছে। সেই থেকে তাদের ঘনিষ্ঠতা আরও বেড়ে গেছে।

দেখতে-দেখতে মঙ্গলশোভাযাত্রার মিছিল শুরু হয়ে গেল। ওরা দুই বন্ধু এই মিছিলে মিশে গেল। আর ওরা দুজন সবসময় ওই মেয়েটির কাছাকাছি থাকতে চাচ্ছে। আর ওরা সে-ভাবেই হাঁটছে।
রাফী সবসময় হিরণের আগে-আগে হাঁটছে। ওই মেয়েটির একটু পিছনে। সে কেবলই একটা সুযোগ খুঁজছে মেয়েটির সঙ্গে একটু কথা বলার জন্য। কিছুতেই সে সুযোগ পাচ্ছে না। কারণ, এখন পুরাদমে মিছিল চলছে। আর এখানে কথা বলতে যাওয়াটা বোকামি।

একজায়গায় এসে মিছিলটা মিনিটখানেকের জন্য একটু থামলো। মানে, এর গতি একটুখানি শ্লথ হলো। আর এই সুযোগে রাফী মেয়েটির একেবারে কাছে গিয়ে খুব সাহস-সঞ্চয় করে বললো, “আপু, আপনার নামটা জানতে পারি?”
মেয়েটি এতে বেশ স্বাভাবিকভাবে বললো, “কেন?”
রাফী আর-কোনো রাখঢাক না করে সরাসরি বলে ফেললো, “না, মানে, আমার এই বন্ধুটি আজ আপনাকে দেখামাত্রই ভালোবেসে ফেলেছে।”
কথাগুলো শুনে মেয়েটি কোনো রাগ করলো না। চব্বিশ-পঁচিশ বছরের একটি মেয়ে সে। তার তো সবকিছু বোঝার বয়স হয়েছে।
প্রথমে মেয়েটি একটু গম্ভীর হলো। তারপর সে খুব সুন্দর করে হেসে রাফীর দিকে চেয়ে বললো, “কিন্তু ভাইয়া, আমার যে আগে থেকে একটা স্বামী আছে! তার কী হবে?”
রাফীর পাশেই দাঁড়িয়েছিলো হিরণ। কথাটা শোনামাত্র সে রাফীর হাতধরে অমনি বেরিয়ে এলো মঙ্গলশোভাযাত্রার মিছিল থেকে। এখন তার কাছে পৃথিবীর সবকিছু অমঙ্গলজনক মনে হচ্ছে। তার জীবনের প্রথম ও শেষ প্রেম এভাবে খতম হবে তা সে স্বপ্নেও ভাবেনি।
মেয়েটি পিছন ফিরে আরেকবার হেসে দূরে মিলিয়ে গেল।
আর ওরা দুজন কিছুটা সময় পাথরের মূর্তির মতোই সেখানে দাঁড়িয়ে রইলো।

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
পহেলা বৈশাখ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ।

সাইয়িদ রফিকুল হক সম্পর্কে

সাইয়িদ রফিকুল হক ( Syeed Rafiqul Haque) তিনি একজন সাহিত্যসেবী, গ্রন্থপ্রেমিক ও রাজনীতি-সচেতন মানুষ। বাংলাদেশ, বাংলাভাষা ও বাংলাসাহিত্য তাঁর কাছে সবসময় প্রিয়, এবং এই তিনটি তাঁর কাছে চিরদিন পবিত্র শব্দ। তিনি বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষশক্তি। তাঁর লেখালেখিতেও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনার ছাপ সুস্পষ্ট। আর তিনি সবসময় ঘৃণা করেন রাজাকার, ধর্মান্ধ ও ধর্মব্যবসায়ীচক্রকে। ধর্মবিশ্বাসে তিনি ত্বরীকতপন্থী সুন্নীমুসলমান। আর জীবনের সর্বক্ষেত্রে তিনি একজন পুরাপুরি আস্তিক। তিনি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক। একজন খাঁটি বাঙালি ও বাংলাদেশী। সাহিত্যচর্চা: তিনি নামে-বেনামে ও ছদ্মনামে লেখালেখি করছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। মূলত তিনি কবি, লেখক ও ঔপন্যাসিক। তিনি স্কুলজীবন থেকে আপনমনে সাহিত্যচর্চা করছেন। তখন লেখাপ্রকাশের তেমন-একটা সুযোগ না থাকায় তিনি তাঁর লেখাসমূহ প্রকাশ করতে পারেননি। বর্তমানে ‘শব্দনীড় ব্লগ’সহ বিভিন্ন ব্লগে তাঁর লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। তাঁর লেখার মূল বিষয়: মানুষ, মানবতা আর দেশ-জাতি-সমকাল। আত্মপ্রচারবিমুখ এক কবি তিনি। স্কুলজীবন থেকে সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করে অদ্যাবধি কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস ইত্যাদি রচনায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। পনেরো বছর বয়সে কবিতা লেখার মাধ্যমে তিনি সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। তিনি লিখেছেন অনেক। কিন্তু প্রকাশ করেছেন খুব কম। ইতঃপূর্বে কয়েকটি সাহিত্যপত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে তাঁর লেখাসমূহ আধুনিক-ব্লগগুলোতে প্রকাশিত হচ্ছে। এজন্য তিনি ব্লগগুলোর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। তিনি বাস্তববাদী লেখক। আর তাঁর লেখায় কোনো কৃত্রিমতা নাই। তাঁর প্রায় সমস্ত লেখাই দেশ ও জাতির জন্য নিবেদিত। তাঁর লেখার বিষয়: কবিতা, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস ইত্যাদি। তিনি ‘মানবজীবনের গল্প’ রচনায় যথেষ্ট পারদর্শী। এ পর্যন্ত তাঁর রচিত গল্পের সংখ্যা ৩২টি। আর উপন্যাসের সংখ্যা ১৮টি। ছড়াসাহিত্যেও তিনি সমভাবে পারদর্শী। শিক্ষা: প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রতি তাঁর কোনো আগ্রহ নাই। তাঁর কাছে সার্টিফিকেট-সর্বস্ব সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কঠোর সাধনায় অর্জিত প্রকৃত জ্ঞানের মূল্য অনেক বেশি। তিনি নিজেকে সবসময় একজন স্বশিক্ষিত মনে করেন। তবে প্রচলিত প্রথার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক উচ্চতর গবেষণাকর্মে নিয়োজিত। জন্মস্থান: বাংলাদেশ। তাঁর জীবনের লক্ষ্য: লেখালেখির মাধ্যমে আমৃত্যু দেশ, মানুষ আর মানবতার পক্ষে কাজ করা।

6 thoughts on “হিরণের প্রথম ও শেষ প্রেম

  1. ইন্টারেস্টিং বেদনা। হিরণের জন্য কষ্টই পেলাম বৈকি।

    1. আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর সুন্দর মন্তব্যের জন্য রইলো শুভকামনা।
      আর শুভেচ্ছাসহhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

      কিন্তু দাদাভাই,
      ই-বুকের জন্য এখনও লেখা পোস্ট করতে পারিনি। আপনি যে লিংকটি দিয়েছেন তাতে মন্তব্যের কোনো ঘর খুঁজে পাচ্ছি না। তাই, লেখা পোস্ট করতে পারিনি। যদি দয়া করে আরেকটু সহজ করে দিতেন।
      আপনাকে ধন্যবাদ।

    2. আপনি বরং এখানে আপনার লিখার লিংক দিয়ে দিন।
      আমি পৌঁছে দিতে পারবো। :)

      1. দাদাভাই, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আপনার সহযোগিতা অতুলনীয়। নিচে আমি এখানে প্রকাশিত তিনটি লেখার লিংক দিলাম।
        আর আপনাকে সবসময় শুভেচ্ছাসহhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

        গল্পের লিংক: https://www.shobdonir.com/syeed-rafiqul-haque/110503
        প্রবন্ধের লিংক: https://www.shobdonir.com/syeed-rafiqul-haque/110328
        কবিতার লিংক: https://www.shobdonir.com/syeed-rafiqul-haque/109148

      2. পৌঁছে দেয়া হলো। ধন্যবাদ। :)

      3. শুকরিয়া দাদাভাই।
        আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছাসহhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif
        https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।