হাঁক দেয় হাকালুকি

হাঁক দেয় হাকালুকি

সতীর্থ নদীনিদ্রা ঘোরে কেটে গ্যাছে ছয়ত্রিশ বছর। যে স্বর্ণালী রোদের ব্যাপৃতি হতে চেয়েছিল আমাদের নিজস্ব জীবন, হারিয়েছে ভিন্ন মেরুতে। প্রতারক সূর্যসমক্ষে,
শুধুই বয়েছি ছিন্ন সময়ের দায়।

কখন উঠবে জেগে এই কটি উষ্ণ আঙুল? কখন শাপলা সোহাগে আবার জড়াবে এই হাওর চত্বর? হাঁক দেয় হাকালুকি, এসো ফের নক্ষত্র-নাগর। আবার সাজাই কোনো সমবায়ী যুদ্ধরঙ জাহাজ।

এতোদিন হিমাগারে ছিলো যে অনুক্ত অংকন, কার্তিকের শস্যদানা দিয়ে আঁকি তার অসমাপ্ত ছবি। কবি হয়ে যাও হে মাঠ, পংক্তি ও পরশে ঢেকে দাও শোষকের মুখ, ঘাতকের রক্তাক্ত চোখের আদল।

দূরগামী ধূলিকণাও শিখেছে সবুজ অধ্যয়নপর্ব। নিশ্চয়ই একদিন বর্ধিত রঙ ঢেলে পাখিভোর জেগে উঠবে আমাদের পাথর আকাশে, দৃশ্যও খুঁজে পাবে নিজস্ব আকৃতি, ছিলাম যোদ্ধা, ফিরে এসে যুদ্ধেই যাবো।

2 thoughts on “হাঁক দেয় হাকালুকি

  1. চমৎকার লিখা নিঃসন্দেহে। অভিনন্দন প্রিয় কবি প্রিয় ইলিয়াস ভাই।

  2. অসাধারন সুখপাঠ্য কবিতা ! ভালো থাকবেন জনাব !

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।