তন্দ্রাচ্ছন্ন ভোর কোন প্রাণি জেগে উঠেনি
তখনো সূর্য্যরে লাল টুকটুক আভা ফুটেনি
হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গলো দেখি বিজলী চমকানি
ঘরেই সতর্ক বৈশাখি ঝড়ের হাতছানি।
বিছানা থেকে উঠি বেলকুনিতে দাঁড়ায়
মেঘের ঘর্ষন যেনো সম্মুখ যুদ্ধে লড়াই
ঘরের ফাঁকে সুরু পথ আম বনের বেড়া
ক্লান্তির মন জুড়ায় সবুজ প্রকৃতিই সেরা।
মেঘলা আকাশে ঝড়োভাব বৈশাখি উত্তাপ
বজ্রপাত বিকট শব্দে প্রাণে বাড়ে হৃদচাপ
বিকট শব্দ শুনে শয়নের শিশু করে কাঁদ
মুষূলধারে বৃষ্টির পর মেঘে উজ্জ্বল চাঁদ।
ধুয়েমুছে ধূলোবালি প্রকৃতির চিকচাক ভাব
সবুজ সমারোহ চারপাশ ঘেরা সতেজ সাঁজ
পথঘাটে যত কাঁদা পথিকের চলতে বাঁধা
কৃষাণের মুখে হাসি ক্ষেতে ফসলের গাঁদা।
ছয় বৈশাখ বৃষ্টির পরে প্রকৃতির শান্ত ভাব
বাঁশবন হতে ভেসে আসে পাখির মিষ্টি ডাক
ষড়ঋতুর সেনার বাংলা নদীমাতৃক দেশ
চৌদ্দশ চব্বিশ বাংলা হোক সুন্দর নীড় বেশ।
১৯.০৪.২০১৭
7 thoughts on “সুন্দর নীড়”
মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।
“ছয় বৈশাখ বৃষ্টির পরে প্রকৃতির শান্ত ভাব
বাঁশবন হতে ভেসে আসে পাখির মিষ্টি ডাক
ষড়ঋতুর সেনার বাংলা নদীমাতৃক দেশ
চৌদ্দশ চব্বিশ বাংলা হোক সুন্দর নীড় বেশ।”
____ গুড জব মি. এম এ বাসেত। চমৎকার লিখেছেন।
আমার জন্য দোয়া রাখবেন। আর পরামর্শ দিবেন। আশা করি আপনার পরামর্শ আমার জীবনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগাবে। আপনার শুভ কামনা করি।
অসাধারণ শব্দের প্রয়োগ ও ছন্দ শৈলীতে প্রকৃতির রুপ মাধুর্যের বর্ণনা হৃদয় গ্রাহী ।
আহা !
শত ব্যস্ততার মাঝে কষ্ট করে আমার লিখা কাব্যটি পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ হলাম। আপনার শুভ কামনা করি।
“ষড়ঋতুর সেনার বাংলা নদীমাতৃক দেশ
চৌদ্দশ চব্বিশ বাংলা হোক সুন্দর নীড় বেশ।”
ধন্যবাদ আপনাকেও
চমৎকার কাব্য গাঁথুনি। শুভ কামনা, কবি।

