বৃষ্টি কথন
আজ বৃষ্টি বিলাসের দিন !!!
শ্রাবণের এমন ইলশে গুড়ি খিচুড়ি বৃষ্টির দিনে আমার মত যারা অফিস করছেন তাদের প্রতি সমবেদনা ! গান শুনতে ভীষণ ইচ্ছে করছে, কিন্তু অফিসে বসে নয়। তাহলে কোথায় ? ভাবতে ভাবতে মনে হল নদীতে ছৈ ওয়ালা নৌকায় চুপটি করে বসে বসে গান শুনতে পাড়লে ভালো লাগতো ভীষণ । আফসোস, কি আর করা ?
আপনাদেরও কি আফসোস হচ্ছে আমার মত ? কে কিভাবে বৃষ্টি উপভোগ করলেন আড্ডায় সবার সাথে শেয়ার করতে পারেন। জানাতে পারেন বৃষ্টি দিনে আপনার দুর্ভোগের কথা। অথবা বৃষ্টি দিনে আপনার পছন্দের খাবারের কথা। অথবা যে কোন কিছু !
আর বাড়তি কথা শুনতে নিশ্চয় কারো ভালো লাগছে না। তাহলে আসুন কিঞ্ছিত বিনোদিত হই বৃষ্টির গানে।
শ্রাবণী সেন- এর কণ্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত এমনও দিনে তারে বলা যায় !
www.youtube.com/watch?v=6vYJeMqhMZ0
বৃষ্টি বিলাসী এই মনটাকে দাফন চাপা দিয়ে ফিরছি সন্ধ্যায়।
আফসোস আপনার জন্য স্যার ! এমন দিনে তাকে কি আর কথাটা বলাই হবে না ?
ফ্যামলি রিইউনিয়ন জমতে না জমতেই বৃষ্টিই তো পালালো স্যার !!
আফসোস আবারো স্যার । সকালে খুব খুশি হয়েছিলাম। সারাদিনতো ভালোই ঝড়লো। এখন আবার পালালো কোথায় ? আমি চাই চারিদিক অন্ধকার করে টানা সাত দিন অঝোরে বৃষ্টি ঝরুক। কিন্তু সেই বৃষ্টির দেখা বহুকাল পাই না ! আফসোস !!!
youtu.be/ebOziRhatG4
সংসার যবে মন কেড়ে লয়, জাগে না যখন প্রাণ,
তখনো, হে নাথ, প্রণমি তোমায় গাহি বসে তব গান।
অন্তরযামী, ক্ষমো সে আমার, শূন্য মনের বৃথা উপহার–
পুষ্পবিহীন পূজা-আয়োজন, ভক্তিবিহীন তান।
ডাকি তব নাম শুষ্ক কণ্ঠে, আশা করি প্রাণপণে–
নিবিড় প্রেমের সরস বরষা যদি নেমে আসে মনে।
সহসা একদা আপনা হইতে ভরি দিবে তুমি তোমার অমৃতে,
এই ভরসায় করি পদতলে শূন্য হৃদয় দান।
হেমন্তের কণ্ঠে এই প্রাচীন কিন্তু চির নতুন রবীন্দ্র সঙ্গীতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ স্যার। সত্যি ভীষণ উপভোগ করলাম !
টানা সাত দিন অঝোরে বৃষ্টি ঝরলে আমার অবস্থা এরচে ভালো হবে না।
আফসোস আবারো। তাইতো বলি, কার কথা ভেবে বৃষ্টির এত অভিমান ? কেন সে বার বার উকি দিয়ে পালায় দুরে। কেন আমার সাথে ভাব জমেনা আর আগের মত ? বুঝলাম অবশেষে !
এইবার ঠিক বলছেন স্যার। আপনার বৃষ্টির জন্য সমবেদনা।
বৃষ্টির দিনে অফিসে আছি বসে
আপনিতো আমার পথেরই পথিক । আর কেউ না বুঝলেও আপনার কষ্টটা আমি ঠিকই বুঝতে পারছি ।
বৃষ্টি আমার ভাল লাগে। রাস্তায় নৌকা চললেও ভাল লাগে।
রাস্তায় নৌকা চললে যে সব জিনিস বোধগম্য হয় তারমধ্যে অন্যতম হল দুইটা জিনিসঃ
১। খুব বৃষ্টি হইতাছে এইটা বুঝা যায়, অঝোর ঢলের মত বৃষ্টি নাহলে রাস্তায় নৌকা চলে না। (খুব বৃষ্টি ছাড়া কেবল গাঁজার নৌকা রাস্তায় চলে, শুধু রাস্তায় না, শুনেছি পাহাড়েও চলে।)
২। আমাদের জনদরদী সরকার কতটুকু দায়িত্বকর্তব্যহীন আর আমরা জনসাধারণের শোষণের যাঁতাকলে কতটুকু পিষ্ঠ তা স্পষ্ট হয়। আমাদের নেতাদের মিথ্যা বলার অভ্যাসও ধারালো হয় সাথে সাথে।
বি বি সি বাংলার খবর অনুসারে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের কর কার্যালয়ের একটি অফিস তাদের কর্মচারীদের অফিসে যাতায়াতের জন্য ২৬ হাজার টাকা করে দুইটি নৌকা কিনে দিয়েছেন। তাহলে তো আর বৃষ্টিতে কোন সমস্যা থাকলো না ভাই ! তাই না ! বৃষ্টির জয় হোক । শুধু পাহাড় যেন ধ্বসে না পড়ে সেই দোয়া করেন ভাই !
কবি মাত্রই মনে হয় বৃষ্টি প্রেমিক ! রাস্তায় গাড়ি ঘোড়ার জ্যামের চেয়ে মনে হয় নৌকার জ্যামে হলেও অনেক ভালো হতো তাই না ? আমার অন্তত তাই মনে হয় !
আমার দেওয়া শ্রাবণী সেন- এর কণ্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীতটি কেউ কি শুনেছেন ? আপনাদের কেমন লাগলো কিছুই বুঝলামই না ! কেউ কি একটু জানাবেন দয়া করে ? এর পর থেকে না হয় আর গান নাই পোস্ট দিলাম !
শ্রাবণী সেন- এর কণ্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত এমনও দিনে তারে বলা যায় !

___ আমি আমি শুনেছি স্যার। জানাতে দেরি হলো। ক্ষমা প্রার্থী।
ধন্যবাদ স্যার ! আমি জানি আপনি শুনেছেন ! আমি আরও কারো কাছ থেকে জানতে চাচ্ছিলাম ! কিন্তু কোথাও কেউ নাই !
youtu.be/nMwN0r5SA_Y
যদি মন কাঁদে
তুমি চলে এসো, চলে এসো
এক বরষায়…
এসো ঝর ঝর বৃষ্টিতে
জল ভরা দৃষ্টিতে
এসো কোমল শ্যামল ছায় ।
যদিও তখন আকাশ থাকবে বৈরি
কদম গুচ্ছ হাতে নিয়ে আমি তৈরি ।
উতলা আকাশ মেঘে মেঘে হবে কালো
ছলকে ছলকে নাচিবে বিজলী আরো
তুমি চলে এসো, চলে এসো
এক বরষায়…
নামিবে আঁধার বেলা ফুরাবার ক্ষণে
মেঘ মাল্লা বৃষ্টিরও মনে মনে ।
কদম গুচ্ছ খোঁপায়ে জড়ায়ে দিয়ে
জল ভরা মাঠে নাচিব তোমায় নিয়ে
তুমি চলে এসো, চলে এসো
এক বরষায়…
_________________
শিল্পীঃ মেহের আফরোজ শাওন
গীতিকারঃ হুমায়ুন আহমেদ
সুরকারঃ এস আই টুটুল
অ্যালবামঃ চল বৃষ্টিতে ভিজি
এই গানটি আমার শুধু বর্ষায় নয় সবসময়ই প্রিয় । গ্রীষ্মের প্রচণ্ড খরতাপে এই গানের মাঝে আমি বর্ষার আমেজ খুজে পাই । ধন্যবাদ স্যার প্রিয় গানটির জন্য !
নদীর দিকে যাওয়ার পথে বকের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল কচ্ছপের। জানতে চাইল বক, কোথায় যাচ্ছ?
কচ্ছপ বলল, নদীতে। কী গরমটাই না পড়েছে দেখেছ? ভাবছি নদীর পানিতে শরীরটা জুড়িয়ে আসি।
বক বলল, এখন তো গ্রীষ্মকাল। এক ফোঁটা পানি নেই নদীতে। এখন গিয়ে কী করবে?
কচ্ছপ হাসতে হাসতে জবাব দিল, আমি যেতে যেতেই বৃষ্টির দিন চলে আসবে।
ভাই মজা নিলেন ? নেন নেন সমস্যা নাই।
আরো একটা তথ্য দেই। গরমের দিনে আমি বিভিন্ন রকম বজ্র সহ বৃষ্টির অডিও প্লে করে শুনি। বৃষ্টির মজা উপভোগ করে শান্তি পাই। এই সুখ সত্যিই অকল্পনীয় । কাউকে বলে বোঝানো যাবে না ।
বক কচ্ছপের কাহিনী। এইটা বড় চরম হৈছে জনাব আনু সাব।
সত্যই শ্রাবণের এমন দিনে,,,,,,,,,শুধু তারেই বলা যায়


হুম !
“যে কথা আ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়”