তারপর

তারপর কত গল্প মিশে গেছে পৃথিবীর পথে,
কত তারা ঝরে গেছে মধ্যরাতে।
বহু শতাব্দী আগে কোনো এক শেষরাতে
ঘুম ভেঙে গিয়েছিল বলে দেখেছিলে অকৃত্রিম জ্যোৎস্না,
আর আমি আকণ্ঠ জ্যোৎস্নাপানে অতৃপ্ত হয়ে
ছুটেছিলাম তোমার নগরে এক বিন্দু জলের আশায়।

তারপর কেটে গেছে অনেক শতাব্দী,
নদী আর সাগর ভরে গেছে বরফ গলে গলে।
তারা চায়নি তবুও পেয়েছে তারা জল;
অথচ যে আমি আজন্ম তৃষ্ণার্ত
শতাব্দী থেকে শতাব্দী ছুটেছি তোমার নগরে
বারবার তোমার দুয়ারে বাড়িয়েছি হাত-
তাকে তুমি তৃষ্ণার্ত-ই রাখলে, শ্যামা মেয়ে!
দেখলে না একটি বার-
এই ব্যস্ত শহরের একটি নির্জন ঘরে
কত নির্ঘুম রাত একা একা কেটে গেল তার।

প্রবাল মালো সম্পর্কে

ক্রমশ অবচেতনে বেড়ে যায় জয় আর পরাজয়ের বোঝা, ক্লান্ত আমি- নিজেকে লুকোই বালকের প্রথম প্রেমের চিহ্নের মতো। কোনো অর্জন নেই আমার- কেবলই অবক্ষয়-ধ্বংস-মৃত্যু, জয়ের আনন্দে বিহ্বলতা নেই- আছে গোপন কান্না, প্রতিটি প্রাপ্তির পেছনে উপলব্ধি ঘৃণার-সংশয় বোধের, প্রকৃতির নীরবতা-নম্রতার পেছনে হিংস্রতার প্রেতছায়া, মৃত্তিকার অগভীরে শেকড়ের ভয়ংকর নগ্নতার ছাপ, নদীর ঢেউয়ের গোপনীয়তা থেকে দোয়েলের সুমিষ্ট শিসের ঘ্রাণ, ঘাসের বেড়ে ওঠা নীরবে- কিছুই তো অজানা নয় মানুষগুলোর, তবু কেন এই অশনি সংকেত! ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে স্বীকারোক্তি দেবে কে? তোমার স্মৃতিগুলোতো ক্রমে অস্পষ্ট, তবুও তোমার দেহের ভঙ্গিমা সবচেয়ে সুখকর- সরল জীবনের মতো, সে-জীবন খোঁজে কবি, কবিতা, প্রেমিক, ঘাস, হৃদয়; তবু কেন মানুষ নয়!

6 thoughts on “তারপর

  1. আপনার লিখা পড়লে কবিতা পড়ার যে ক্লান্তি … সেটা আসে না। উপভোগ করি। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

  2. প্রত্যেকটা নির্ঘুম রাত ও কবির প্রতি সমবেদনা !

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।