মায়ার মোহ ত্যাগ

মায়ার মোহ ত্যাগ
আর কখনো ছায়াও চাইবো না দীর্ঘ পথের কান্তে,
ছায়ার মায়া বেঁধে রাখে গণ্ডির বৃত্তে; দাহিকার নৃত্যে
আমাকে যুক্ত করো না
শিখা হতে চাইনা আমি; চাইছি পূর্ণভার বহ্নি হতে!
নীলাভ জোছনা স্নানে সিক্ত হতে চাইনা, এবং কি-
ভরা পূর্ণিমার উদ্যানে মহামায়ায় জড়ানো হাসনাহেনার ঘ্রাণ;
আমি চাই অনির্বাণ তূর্য, চাঁদ হাসানো আড়ালের সূর্য!
কি করে তৃপ্ত হই স্ফুলিঙ্গের স্ফুটনে-
যেখানে চেয়েছি গনগনে আগুন, বিস্ফোরিত আগ্নেয়গিরি, সমগ্র ঐশ্বর্য…
ত্যাগ; কুয়াশা ঢাকা প্রভাতের মহামায়া , ঝরা সিউলির ভালবাসা
ত্যাগ- মহিমাময় ঊষার মায়াঘোর… জাগতিক কু-আশা!
যেখানে বৃষ্টি নয়, দৃষ্টি কেড়ে নেয় বৃষ্টির শেষ বিন্দু ফোটা
আমি সেই অরবিন্দ সৃষ্টি… সেই শাশ্বত বিন্দু- সিন্ধুর ধরিত্রী…
সুতরাং…
মুছে দাও ধূলির প্রলেপ, খুলে দাও মায়ার বাঁধন-
রঙের প্রলোভন;
তৃষ্ণার আগলে পুড়ুক তৃষ্ণার্তরা… সময় এলে হবো ধারাবর্ষণ!

মায়ার মোহ ত্যাগ ।। দাউদুল ইসলাম
১১/৮/১৭

দাউদুল ইসলাম সম্পর্কে

সব সময় নিজেকে বলি- মানুষ হবি যদি- অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ। কতটা তোর সভ্যতা কতটা তোর ভদ্রতা! স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস- তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি! জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

2 thoughts on “মায়ার মোহ ত্যাগ

  1. প্রথমত : আপনার প্রায় প্রতিটি লিখায় প্রচ্ছদের ব্যবহার থাকে। সেটা পেলাম না।
    দ্বিতীয়ত : ‘শিখা হতে চাইনা আমি; চাইছি পূর্ণভার বহ্নি হতে! ‘__ প্রত্যয় ভালো লাগলো।

    শুভেচ্ছা সহ বিনম্র সালাম রইলো স্যার। শুভ সন্ধ্যা। :)

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।