এক পেত্নীর আত্মকথা
♦
গণ ভবন নয়
গণ কবরস্থান
তার পাশের নদীর ধারে শ্মশানঘাট…
ঐ যে দেখা যায় উজ্জ্বল পতিত জমিনটা
তার পিছনেই এক পেত্নীর বসবাস
অল্পদিনের খুব প্রিয় একজন হয়ে উঠেছে
একাকিত্বে তার অনুপস্থিতি খুব অনুভব করি
যদিও সে কখনোই আমার নয়, তবুও…
তারও দুঃখ আছে, আছে সুখানুভবের অনুভূতি
রাত গভীর হলেইসুখ আর দুঃখের আলাপ করতে
চলে আসে, কখনো জানালার ওপাশে কখনো শিথানে
তাকে কেউ ভালোবাসে না, তার এজগতের কেউ না
বেঁচে থেকে যদি ভালোবাসা পাওয়া না যায় তবে নাকি
অন্য জগতের কেউ ভালোবাসে না, অতীত কর্ম টেনে আনে বারংবার
উঠবস থাকা খাওয়া সব কিছুতেই নাকি বৈষম্য,
এই যে পতিত জমি এখানে নির্বাসিত সে,
আজ সে আনন্দিত, উল্লাসিত, সে শুধু একটি কথাই বলে
পৃথিবীর ভালেবাসা ছাড়া কোনো জগতেই সুখ নেই।
বেঁচে থেকে যদি ভালোবাসা পাওয়া না যায় তবে নাকি
অন্য জগতের কেউ ভালোবাসে না, অতীত কর্ম টেনে আনে বারংবার
আমার খুব পছন্দ হয়েছে কবি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইজান। ভালোবাসা সতত।
লিখাটির সূচনা থেকে শেষাবধি অসাধারণ একটি বার্তা আছে।
ফিনিশিং টাচ্ দুটি লাইন যথেষ্ঠ সুন্দর হয়েছে। অভিনন্দন কবি।
মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগছে ভাই। সত্যিই এ পৃথিবী যদি আমাকে ভালো না বাসে তবে আর কোন পৃথিবী আছে যেখানে ভালোবাসা পাবো? যা কিছু পাবার যা কিছু করার সবটুকু এই পৃথিবীতের করে যেতে হবে…যেকারণে যেখানেই যাবো সেখানেই ভালোবাসা পাবো।