নিহত শিশুদের প্রতি
পৃথিবী আজ রক্তাক্ত।
জল্লাদের বন্দুকের মাথায় লাগানো
নিষ্পাপ শিশুদের করোটি,
সারি সারি সাজানো সাদা কাফনে
ঝলসানো পৃথিবীর আগামী-
“আয় আয় চাঁদ মামা টি দিয়ে যা
চাঁদের কপালে চাঁদ টি দিয়ে যা”
আকাশেও আজ জ্বলজ্বল করছে
মৃত্যুর নক্ষত্র
চাঁদের গায়েও আজ লেগে রয়েছে
নিষ্পাপ শিশুদের রক্ত।
ধীরে ধীরে মাটির গভীরে
নেমে যাচ্ছে একটি সভ্যতা
সমাধির ওপরে অবহেলায়।
ঝলসানো গোলাপের স্তুপ,
রক্ত পিশাচেরা আজ চেটে পুটে খাবে
শিশুগুলোর রক্ত-মাংস-মজ্জা।
আর পৃথিবী সকলকে শুনিয়ে যাবে
শোকাতুর মায়ের প্রলাপ –
“হাঁটি হাঁটি পা পা
সোনা হাঁটে দেখে যা”…
কামানের লোহার গোলা আর বারুদের ঝাঁঝালো গন্ধে,
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার আজ উত্তপ্ত।
চৌকাঠ পেরোলেই কানে বাজে কর্কশ হুঙ্কার।
স্বর্গের পাঁচিলেও যে আজ নরকের অভিশাপ, অশনি সংকেত।
বারুদের আঘাতে,
ঢলে পড়ছে নিষ্পাপ ফুলগুলো
মৃত্যুর বিছানায়।
প্রাচ্য বা আফ্রিকা বা আমাদের প্রতিবেশে অনাহার ক্লিষ্ট শিশু কিশোর যুবা মহিলা
সবার জন্যই আমাদের মানবিক ভালোবাসা। নিহত শিশু দেখতে চাইনা।
আমাদের কাঁদায়। কাঁদায় অন্তরাত্মা। অস্থির হয় আমাদের বিবেক।
শুভেচ্ছা অফুরান বন্ধু
অনেক ভালো বিষয় তুলে এনেছেন কবিতায়।
শুভকামনা থাকলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে