সুপ্তবাসনা_অণুগল্প
লাঞ্চের আর আধা ঘন্টা বাকি।
রফিক সাহেব ওজু করে এসেছেন। নিজের সীটে বসা। এই অবস্থায় মোবাইলে ফোন এলো।
ছেলের ফোন!
মুহুর্তেই অন্যরকম এক ভালো লাগা মনের আঙ্গিনায় এসে ভীড় করে। সবসময়ই এরকম হয়। দুই মেয়ে আর এই একমাত্র ছেলেটিকে নিয়েই রফিক সাহেবের জগত। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। সে ঘরে দুই নাতি। ছেলেটি মেঝ। এম,বি, এ শেষ করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে জুনিয়র অফিসার হিসাবে জব করছে। তা প্রায় বছরখানেক হয়ে গেল। ছোট মেয়েটি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছে। সে বাড়ীতে মায়ের সাথে থাকে।
ঢাকায়- একই শহরে থাকার পরেও বাবা-ছেলের ভিতর দেখা খুব কমই দেখা হয়। রফিক সাহেব প্রতি মাসে বেতনের পরে শুক্রবার মিলিয়ে একদিন ছুটি নিয়ে বাড়ীতে যান। সবাই একত্রিত হন তখন। বড় মেয়ে জামাই সহ আসে। ছেলের শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকাতে সেও আসে। জীবনটাকে কেমন সম্পুর্ণ মনে হয় তখন।
আর মাসের বাকি সময়টা সেই একঘেয়ে মেস জীবন…। আসলে রফিক সাহেবের এই বয়সে সবাইকে নিয়ে একসাথে থাকার সময়। নাতিদেরকে নিয়ে ফুর্তি করবেন… অথচ বাস্তবতা কি নির্মম!
তিনি এখনো কল্পনাই করতে পারেন না, এই চাকরিটা ছেড়ে দিবেন… কিংবা তাঁকে ভদ্রভাবে চলে যেতে বলা হবে।
কত কাজ এখনো বাকি!! ছোট মেয়ের বিয়ে দিতে হবে… ছেলের বিয়ে… তাঁর আগে পুরনো টিনশেড ঘরটাকে ভেঙ্গে একটা ছোট বিল্ডিং…
কবে যে হবে!
#সুপ্তবাসনা_অণুগল্প_৩০৭
সুপ্তবাসনায় যেন এই স্বপ্নবাসনা। সুন্দর অণুগল্প মি. মামুন।
সুপ্তবাসনা বাসনাগুলো মানুষকে দিনের পর দিন বাঁচতে শেখায় নানা প্রতিকূলতার ডিঙ্গিয়ে৷ সুন্দর লেখা৷