জীবন যেমন
হঠাৎ সেদিন পথের বাঁকে, কি জানি কার ডাকে, পেছনে ফিরে খুঁজে পেলাম নিজেকে। অনেক আলোর দিনেও, সেই বৃষ্টি ভেজা পাতার গন্ধ-ছায়ায় নিজেকেই খুঁজি। সেদিনেও গুঁড়ো গুঁড়ো বৃষ্টিরা এসে জল-চোখে চোখ মিলিয়েছে। দৃষ্টির এতটুকু আকাশ, চাইতে গিয়ে গুটিয়ে গিয়েছি নিজের কোলের ভিতরে। রাতের পর রাত নিজের কোলে কোল পেতে ঘুম পাড়াই আমি। অগুন্তি তারার গাঢ় পর্দার ওদিকে আস্তে আস্তে বড় হয় রাত। একটু একটু করে নীল রঙা রাতভোর। আর একটু একটু করে রোদ পেয়ে মুছে যাস তুই। এখন আমি একাই চলি। নিজেই নিজেকে ভালোবাসি। এখনও আমি নদী খুঁজি রোজ। নদী খুঁজি রোজ, চুপি চুপি আনমনে, শহরের পথে পথে, মনে মনে, বিসর্জনের সময় এসেছে বোধে-অবোধে। তোকে কি চেয়েছে কেউ? বা আমি? পাঁজরের খাঁচার একটা একটা করে আগল উপড়ে নিচ্ছি রোজ। আর একটু একটু করে তোকে রোজ ভাসিয়ে দিচ্ছি জলে। জানি তোকে দু’হাত দিয়ে আগলে রেখেছে সকলে, জানি তোর অনেকেই আছে। আমার কিন্তু শুধু ছিলিস তুই।
তবু কেউ জানবে না, এখন, ঠিক এই সব মুহূর্তেরা বড় বেশি নিঃসঙ্কোচে নিঃসঙ্গ। নিজেকেই বলি “একলা হবি সই?” হাতের মুঠি খুলে গেলো হঠাৎ হাওয়ার টানে। এলোমেলো এক পলকে সব বোঝাবুঝি। আঙুলের আলগা হলো ফাঁক। একে একে চলে গেলি তুই, এক পা এক পা করে; তোর শেষ আকারটুকু মিশে গেলো ছায়াপথে। অনেকক্ষণ তারপর থেকে, হঠাৎ একা হয়ে যাওয়া। হয়তো কিছুক্ষণ আগলে রেখেছিলি, কিছু মুহূর্ত দিয়ে ছিলিস উপহার। আমি যে মুহূর্তেই বাঁচি। এখন এই চাঁদ-রঙা সন্ধ্যেতে, প্রতিটা কোণে, মনের প্রতিটা আলপথে, ছাদের সেই সব কার্ণিশের আনাচে কানাচে, ছলছলে আর্শীতে, অপলকে চেয়ে থেকেছি, যদি পাই তোকে। তুই নেই। এখন অনেকখানি কাজ জড়ো হয়ে গেছে শুধু। যে শব্দেরা কোথায় উড়ে গেছিলো তোর ডানা হয়ে, আজ তারা হাওয়া পথে ফিরে এসে ঘিরে আছে আমায়। হাঁটু দুটো বুকের কাছে নিয়ে এসে মাথা রেখে জড়িয়ে নিয়েছি নিজেকে, আচমকা নিজের কাছে বড় বেশি বেআব্রু আমি। তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করি রক্তক্ষরণ। ফোঁটা ফোঁটা লবণাক্ত হয় যখন সময়, ‘অস্ফুটে বোলে ফেলা স্বীকারক্তি’ কেউ হতে পারে না, তোর মতো। কেউ নেই তোর মতো। তবু জানি, আমি বেঁচে থাকি। এ এক অন্যরকম বাঁচা, অন্য জীবন, তবু আমি বাঁচি। জীবনের প্রতি এ আমার অন্তহীন সন্ন্যাস।
নিজেকে নিজেই ভালবাসা এক প্রকার আর্ট, যা সবাই পারে না। সুন্দর জীবন যেমনের কথামালা।
অসংখ্য ধন্যবাদ কবি শাহাদাত হোসাইন দা।
‘আঙুলের আলগা হলো ফাঁক। একে একে চলে গেলি তুই, এক পা এক পা করে; তোর শেষ আকারটুকু মিশে গেলো ছায়াপথে। তারপর থেকে, হঠাৎ একা হয়ে যাওয়া। হয়তো কিছুক্ষণ আগলে রেখেছিলি, কিছু মুহূর্ত দিয়ে ছিলিস উপহার। আমি যে মুহূর্তেই বাঁচি।’
আপনার এমন জীবনঘেঁষা লিখা অতুলনীয় প্রিয় শব্দ বন্ধু রিয়া রিয়া। ভালো থাকুন।
দারুণ অনুপ্রাণিত হলাম প্রিয় বন্ধু।
মুগ্ধ হলাম জীবনের অনুভব পড়তে পেরে কবি রিয়া রিয়া।
খুশি হলাম আপনার মন্তব্যে কবি দিদি ভাই।
'এ এক অন্যরকম বাঁচা, অন্য জীবন, তবু আমি বাঁচি। জীবনের প্রতি এ আমার অন্তহীন সন্ন্যাস।' অসাধারণ এবং অন্য রকম জীবনের গল্প। অভিনন্দন কবি।
ধন্যবাদ কবি সুমন আহমেদ দা।
নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে নেবার চেষ্টা করলাম কবি দিদি। অনেকাংশে মেলে।
আমার লেখা সার্থক হলো মনে করি কবি দি।
গাঢ় পর্দার ওদিকে আস্তে আস্তে বড় হয় রাত। একটু একটু করে নীল রঙা রাতভোর। একটু একটু করে রোদ পেয়ে মুছে যাস তুই। মুহূর্তেরা নিঃসঙ্কোচে নিঃসঙ্গ। অসাধারণ।
সমস্বরের উচ্চারণে আনন্দিত হলাম আবু সাঈদ আহমেদ। শুভেচ্ছা।
ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।
ধন্যবাদ প্রিয় অর্ক দা।
ধন্যবাদ দিদি ভাই।
তোমার লেখার স্বাদটাই ভিন্ন দিদিভাই।
খুব সুক্ষ্ম দর্শন। শুভেচ্ছা রইলো।
অনুপ্রাণিত হলাম কবি দিদি ভাই।
এখন এই চাঁদ-রঙা সন্ধ্যেতে, প্রতিটা কোণে, মনের প্রতিটা আলপথে, ছাদের সেই সব কার্ণিশের আনাচে কানাচে, ছলছলে আর্শীতে, অপলকে চেয়ে থেকেছি, যদি পাই তোকে।

দারুন কথামালা
শুভেচ্ছা প্রিয় মন দা। স্বপ্ন দেখছি না তো !! অনেকদিন পর।
জীবন হচ্ছে একটা সাইকেল।ইহাকে যে পথে চালাবেন ইহা সেই পথেই যাবে।
ঠিক বলেছেন দাদা। শুভেচ্ছা নিন।
নিজেকে ভালবাসতে পারলেই অন্যকে প্রকৃত ভালবাসা সম্ভব।
শুভকামনা আপনার জন্য।
ধন্যবাদ প্রিয় কবি দা। স্বাগতম।
শুভ কামনা রিয়া দি
শুভেচ্ছা প্রিয় কবি দা।