বিসর্জন ২
একটা একটা করে নদী মুছে ফেলি দু’চোখের। রোজ রোজ। হয়তবা মাঝে মাঝে। কখনও কখনও। নদী মুছি। আবার নদী আঁকি নতুন। একা একা। সেই কবে থেকে। অনেকটা মন জুড়ে একা। তুলি হাতে বসেছি আবার, নির্লজ্জের মতো। কিছু একটা আঁকা হবে হয়তো। আঁকা তো ছেড়েছি প্রায় পনেরো বছর। তবুও মনখারাপের দিনগুলোতে আজও তুলি হাতে বসি। মুছে যায় কিছু নদী, ধুয়ে নিয়ে যায় অনেকটা আকাশ। একরাশ অভিমান? নাহ… রাগ? নাহ…
আবারও একা কার্ণিশে দাঁড়াই। কেউ বুঝে রাখেনি আমায়। আমাকেই বুঝে নিতে হয়, বার বার। তবু আমিই অবুঝ। তাই হাতের মুঠি আলগা করে খুলে, সেই কোন এক সাঁঝবাতি ডুবু ডুবু ভোরে, বৃষ্টি মেখে, আমাকে নিজের থেকে নিজেকে খুলে রেখে ভেসে গেছি নদী বেয়ে। নিজের বিসর্জনে। তারপর সে নদীর উৎস মুছে যায়। আচ্ছা, এতো ভুল কেন করছি বলোতো? বার বার বলছি আর হবে না এমনটা, তবু এমন। এত্তো বেমানান আমি? অহংকার তো কবেই টুকরো টুকরো করে রেখেছি ঈশ্বর তোমার পায়ের কাছে। সব দোষ আমার। এ আমারই তো অক্ষমতা। এত কেন ক্ষমতার কমতি হল বলতে পারো? গভীরতা কম? ….
অহংকার নেই, জেদ নেই, মান নেই, অভিমান নেই, রাগ নেই, হিংসে নেই, খুব কষ্টে ধরার মতো একটা হাতও নেই, কিচ্ছু নেই। তবু কি অবহেলে বলি আমার তো সব আছে, কোথাও কমতি পড়েনি কিছু। ভেবেছি একটা জানলা ছিল। বুঝলাম সেটাও আমার নেই। তবু আমি খুব ভালো আছি। তবু আমি খুব ভালো রাখি। তবু আমি খুব ভালো বাসি। তবু আমি তোমার কথা ভাবি। জানো?….
জানো না।কিচ্ছু জানো না তুমি।
হে ইশ্বর আমার।
সব কিছুর বাইরে যেখানে যেমন থাকেন অনেক অনেক ভালো থাকুন কবি বন্ধু।
শুভ সকাল।
অনুপ্রাণিত হলাম বন্ধু।