অনলাইন গেম

অনলাইন গেম কি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তা বলার নয়? কিন্তু সেই সব গেম খেলা ছেলে মেয়ের জন্য সেই ফ্যামিলির কতজন অনলাইন ছেড়ে দিয়েছেন? একটু বলবেন কি?
আমার মনে হয় কেউ না। সবাই অনলাইনে আছেন। কেউ গেম খেলছে, কেউ খেলছে না। কিন্তু ফেসবুক হোয়াটস অ্যাপস ইস্ট্রাগ্রাম ও অন্যান্য কেনাকাটা থেকে শুরু করে ফিল্ম দেখা সবই চালিয়ে যাচ্ছেন।
অথচ ছেলেমেয়েকে চোখ রাঙানি। এই, গেম খেলবি না? এ কি সম্ভব।
কেন? আমি তো কোন খারাপ কিছু করছি না। ছেলে মেয়ে কেন করবে? কিন্তু ছেলে মেয়ে তো ভাবছে, তুমি তোমার কাজ করছ আমি আমার কাজ।
তোমার দিক থেকে খারাপ ভাবলেও তার দিক থেকে তো সে মনে করছে ঠিকই করছি।
আমরা ও ছেলেমেয়ে দুজনেই অনলাইনে। আমরা বিজনেস বা লাভজনকে ঘুরছি বন্ধু প্রীতি করছি।
ছেলেমেয়েও তার দিক থেকে তার মত ভেবে অন লাইনে আছে। অনলাইন গেম খেলছে। গান শুনছে। ছবি দেখছে।
এখন দুরবস্থায় হায় হায় করছি। আবেগকে ধরে রেখে বাধ্য ছেলে মেয়েকে বাধ্য করাচ্ছে এই অনলাইন গেম। তুমি অনলাইনে যা যা কর সেগুলো ছেড়ে দাও। দেখি কতটা কি হয়ে যায়? কিছু হবে না। হয়তো কিছু আর্থিক ক্ষতি হতে পারে এছাড়া আর কিছু নয়। তা না। তুমিই অনলাইন ছাড়তে পারবে না বা পারার মানসিকতায় নেই। ওমা, ফেসবুকে সে কি লিখল? কি ছবি দিল? কি শেয়ার করল? মেলটা খুব ইম্পর্টেণ্ট। হোয়াটস অ্যাপ্সে ম্যাসেজটা খুব দরকারী। যেন মনে হয় যুগ যুগ এই মেল ছিল।
আপনি অনলাইন থেকে সরছেন না আর ছেলেকে মেয়েকে আজ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বলছেন – অনলাইন ছেড়ে দাও। কিংবা দিয়ে রেখেছেন কিন্তু ওয়াচ করছেন।
অথচ আপনি ছেড়ে দিলে ও ছাড়তে বাধ্য। সেই ভাবনাই এই টিন এজে ঘোরাফেরা করছে। যা সে বলতে পারছে না। তাই অনলাইনে থেকে আজ এই ভয়ঙ্কর ছেড়ে দিলেও অন্য ভয়ঙ্করে জড়িয়ে পড়বে না তার নিশ্চয়তা কোথায়।
আপনার অফিসে লাগে ভাল কথা। মেবাইলে নেট রিচার্জ আছে তো।  
তার পরেও আমরা অনলাইন থেকে কতটা সরছি।

3 thoughts on “অনলাইন গেম

  1. দ্রুত ক্ষয়ে যাওয়া এই সব পরিস্থিতিকে পারিবারিক ভাবেই মোকাবেলা করা উচিত।

মন্তব্য প্রধান বন্ধ আছে।