নীল অশ্রু
কে বলে কান্নার কোন রং হয় না
যেদিন তোমায় প্রথম ভালোবাসার কথা জানালাম
সেই দিন তোমার চোখের জলে আমি সাত সাতটি
রং দেখেছিলেম। এর পর সময় ভেদে এক একটি
রং ঘুরে ফিরে আবিস্কার করেছি তোমার চোখ
থেকে ঝড়ে পরা অশ্রু বিন্দুতে। প্রাপ্তির রং,
হারানোর রং, অভিমানের রং, সুখের রং সহ
সব রং গুলো তোমার চোখ থেকে ঝড়ে পরেছে
আমাদের ধূসর দেয়ালে, ধীরে খুব ধীরে
নিজের তারল্য ভেঙ্গে জেগে উঠতে চেয়েছি ত্রেতা যুগে,
তবুও ত্র্যহস্পর্শ ছুঁয়েছে আমাদের সুখের থালা বাসন।
রাতের গাঢ় ঘুম আমার চোখে এঁকে দিয়ে গেছে
আগুনে পোড়া মাটির পদবিন্যাস; আর তোমাকে দিয়েছে
অবিচ্ছেদ অশ্রু ভয়। তারপর থেকে
আমাদের নাদুসনুদুস সুখের হাঁড়ি পাতিলে
শুধু রং বে রং এর অশ্রু।
আমাদের সাংসারিক ললাটে দুধে দাঁত
ওঠার আগেই দমকা বাতাসে তোমার চোখে
জমে থাকা শেষ রং এর অশ্রু গড়িয়ে পরে,
বরাবরে মত তোমার অশ্রু ছুঁয়ে দেখি
দুই হাতে শুধু নীল রং লেগে আছে।
_______________________
*ত্র্যহস্পর্শ – ত্র্যহস্পর্শ – [বিশেষ্য পদ] একই দিনে তিথিত্রয়ের মিলন।
*ত্রেতা যুগ – (দেবনাগরী: त्रेता युग) হিন্দুধর্ম অনুযায়ী, চার যুগের দ্বিতীয় যুগ।
২৮/১১/১১
সুন্দর গদ্য৷ ভালোলাগা রেখে গেলাম৷
ভালো লাগা জমা রাখলাম যেন সুদে আসলে ভালোবাসা হয়।
গদ্য নয় এটা কুবিতা
অসম্ভব উপমা আর শব্দ শৈলীতে অনুভবের নান্দনিক প্রকাশ। দ্য বেস্ট ওয়ান।
আপনার জন্য শুভকামনা
বেশ গভীর লেখা। বিন্যাসে মুগ্ধ।
সাংসারিক ললাটে দুধে দাঁত ওঠার আগেই দমকা বাতাসে তোমার চোখে
জমে থাকা শেষ রং এর অশ্রু গড়িয়ে পরে, বরাবরে মত তোমার অশ্রু ছুঁয়ে দেখি
দুই হাতে শুধু নীল রং লেগে আছে।
কী অসাধারণ করেই না কবিতাটি লিখেছেন কবি খেয়ালী মন ভাই।
যথারীতি সুন্দর লিখেছেন কবি খেয়ালী মন। অভিনন্দন জানবেন।
অসাধারণ এবং সুন্দর চিত্রায়ণ।
ভালো লেগেছে।