নির্যাতন
সমাজে সর্বস্তরে নির্যাতিত আজ নারী
জীবনখানি তোমার, পেলে যার হাত ধরি।
গর্ব, দর্প আরও তোমার যে অহংকার
ছিলে বোবা নির্বোধ ঘুচিয়েছে সে আঁধার।
কি ছিলো তোমার মেটাবে তৃষ্ণা ক্ষুধা
কত মমতা তার, বুক থেকে করেনি জুদা।
শিখলে হাটতে জীবনের যে পথখানি
সেতো নারী, বিনিময়ে পেলো শুধুই গ্লানি।
তুমিই বাপের বেটা, অতি দুরন্ত দুর্বার
করো দুর্জয় জয় সাধ্য যেন তোমার একার;
যৌতুকে লোভ, চাও অর্থ, বাড়ি গাড়ি
জীবন রণ করে বড় হও সেই তো বাহাদুরি।
এসিড নিক্ষেপ, নয়ত তার অঙ্গ হানি
কাটা হয় গলা, না হয় তুলে নেয় চক্ষু মনি;
সংসার গড়া, স্বপ্ন আশার এ কারবার
তুমি যে অথর্ব,অকর্মণ্য, জানা ছিলো কার।
দুশ্চিন্তা পিতামাতার লোকে তাই বলে
একটি মেয়ে পারে, কই পারে দশটি ছেলে।
কথাটি যেন মোটেই তবে অসত্য নয়
পরের ধনে বড় হলে, বড় তারে কে কয় ?
___________________________
আন্তর্জাতিক নির্যাতন দিবসে
নভেম্বর ২৫, ২০১৫
দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে, শহর অথবা গ্রামীন বাংলায় এই হেন পরিস্থিতি আজও খুব একটা বিরল নয়। কখনো সরবে কখনো নিরবে এমনটাই চলে আসছে।
আন্তর্জাতিক নির্যাতন দিবসের প্রতিপাদ্য প্রতিবছর বদলালেও সমাধান আসে না।
সমাজ ব্যবস্থা এবং মানসকতার আধুনিকায়ন প্রয়োজন।